বাউল

Rabindranath Tagore 154 birth anniversary celebration in 2015

শতবর্ষ ধরে বিশ্বকবির অনন্য প্রতিভার আলো উদ্ভাসিত করে চলেছে বাঙালির জীবন ও দর্শন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষাকে পরিচিত করেছেন বিশ্ব দরবারে।

Dol purnima festival

লালন স্মরণে দোল পূর্ণিমা উৎসবের আজ শেষ দিন। এবারের উৎসবে দেশের সব জেলা থেকেই লালন ভক্তরা ছুটে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশের বাহির থেকেও অনেক লালন ভক্তরা এসে তার ধামে ভিড় জমিয়েছে।

বাউল আব্দুর রব ফকির ওরফে গোপাল শাহ্‌, কালো রংয়ের খর্বকায় রব ফকির গলায় দোতারা ঝুলিয়ে অপূর্ব ভঙ্গিমায় গান করেন, তাঁর ভাষায় –

মনোহর শাহ্‌ এর বাড়ী কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়ায়, তখন তাঁর বয়স সাত কি আট, নিজের পাড়ার এক পাঠশালায় পড়তে যেতেন। পাঠশালা বলতে খড়ের একখানা ঘর, বাঁশের বেঞ্চিতে ৭/৮ জনের ক্লাস।

লেখাপড়া না জানা ফকির ইয়াসিন শাহের আনুমানিক বয়স ৬৫ বছর।

মনটা আমার জন্ম বোকা
সহজ পথেই খেলো ধোকা

- ফকির মোকসেদ আলী শাহ্‌

খোদা বকস শাহ্‌ (১৩৩৪-১৩৯৭) চুয়াডাঙ্গা জেলার অধীন আলমডাঙ্গা থানার অন্তর্গত জাহাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

পুরো নাম ফকির নিজামুদ্দিন শাহ্‌, ডাক নাম নিজাম, ছেউড়িয়াতেই জন্ম বাংলা ১৩২৯ সালে। একুশ-বাইশ বছর বয়সে কুষ্টিয়া মোহিনী মিলে চাকুরী করতেন। চাকুরী বলতে তাঁতের কাজ।

অনেকটাই নিভৃতচারী ফকির আব্দুল করিম শাহের বয়স সাতাশি বছর, কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার অঞ্জনগাছী গ্রামে জন্ম নেয়া এই সাধক এক হাতে একতারা এবং কোমরে ডুগি বাজিয়ে হেঁটে হেঁটে গান করতেন। ছেলেবেলায় বাবা ঝুমুর আলী জোয়াদ্দারের সাথে পালাগান করতেন।

শিষ্যদের বললেন, আমি চললাম। লালন চাঁদর মুড়ি দিয়ে বিশ্রাম নিলেন, শিষ্যরা মেঝেতে বসে থাকলেন। এক সময় লালন কপালের চাঁদর সরিয়ে বললেন, তোমাদের আমি শেষ গান শোনাব।

লালনের ভাবশিষ্যরা বিশ্বাস করে যে শারিরীক প্রেম ভালোবাসার মধ্যে প্রকৃত শান্তি নেই; প্রকৃত শান্তি আছে স্বর্গীয় ভালোবাসায়। গুরুর নিকট দীক্ষা গ্রহনের পর সাধনার বিশেষ স্তরে পৌঁছুলেই কেবল শিষ্যকে খেলাফত প্রদান করা যায়।

লালন ফকির ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্য যে গভীর ভাববিনিময় ছিলো তাঁর একটি তথ্য বহুল বিবরণ পাওয়া যায় আবুল আহসান চৌধুরী রচিত “লালন শাঁয়ের সন্ধানে” নামক গবেষণা মূলক গ্রন্থে। লালনের গান রবীন্দ্রনাথকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিলো তা তাঁর কবিতা পাঠ করলেই বোঝা যায়।