
আমাদের ইতিহাস
প্রাচীন বাংলার অধিবাসীরা ভারত মহাসাগরে অবস্থিত বিভিন্ন দ্বীপে উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। পারস্য, আরব এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সাথে বাংলার দৃঢ় বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। এই অঞ্চল মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য সহ আরও অনেক ভারতীয় সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। বাংলা বিভিন্ন সময়ে আঞ্চলিক শাসকদের রাজধানী রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 7852
উনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ট মুসলিম সাহিত্যিক রুপে খ্যাত 'বিষাদ সিন্ধুর' অমর লেখক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। মীর মশাররফ হোসেনের বংশতালিকাঃ সৈয়দ সা’দুল্লাহ-মীর উমর দরাজ-মীর ইব্রাহীম হোসেন-মীর মোয়াজ্জম হোসেন-মীর মশাররফ হোসেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 4294
‘বাংলা সাহিত্যে মুসলিম নবজাগরণের পথিকৃৎ’ মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১) সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান তৎকালীন নদীয়া জেলার অন্তর্গত কুষ্টিয়া মহকুমা, বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার লাহিনী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৩ নভেম্বর। পিতা মীর মোয়াজ্জম হোসেন এর আর্থিক অবস্থা সচ্ছল হলেও মীর মশাররফ হোসেন চারিত্রিক শৈথিল্যের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় বেশিদূর এগোতে পারেননি।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ইতিহাস
- পঠিত হয়েছেঃ 7812
কাজী আরেফ আহমেদ (জন্ম- ৮ই এপ্রিল ১৯৪২ , মৃত্যু- ১৬ই ফেব্রুয়ারী ১৯৯৯) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে জন্ম। ১৯৬২ এর নিউক্লিয়াসের সদস্য ও মুজিব বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি ।পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরে মুজিব বাহিনীর ডিপুটি প্রধান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কাজী আরেফ, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপকার।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 14153
শেষ হল ১২৪তম তিরোধান দিবস লালন স্মরণ উৎসব গত ২০শে অক্টোবর ২০১৪। লক্ষ লক্ষ লালন পাগলের পদধূলিতে মুখরিত ছিল লালন শাঁইজির আঁখড়াবাড়ী। দেশ বিদেশের অসংখ্য লালন ভক্ত ভিড় জমায় এই লালন স্মরণ উৎসবে। পাঁচ দিনের এই স্মরণ উৎসবে প্রতিদিন রাত দশ থেকে টানা ভোর চারটা পযন্ত লালনের গান পরিবেশন হয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 19536
লালনের গান সঙ্গীত জগতে এক অভিনব সৃষ্টি। তাঁর গানের সুরের মধ্যে একটা বৈচিত্র রয়েছে। তাঁর গান ভাব প্রধান হলেও সুর ও তালের মিলনে এই গান সত্যিই অপূর্ব। তার গানে রয়েছে ভক্তি রসের আবেশ। রয়েছে বিহ্বলতা। এই বিহ্বলতা শুধু গায়ক নয়, শ্রোতার মনেও শিহরণ তোলে। গায়ক যখন তন্ময় হয়ে গান গায়, শ্রোতা তখন বিহ্বল হয়ে শোনে। তাঁর গানে বাংলার সোঁদা মাটির গন্ধ রয়েছে। মানুষের মনের সুর ব্যাক্ত হয়েছে। তার গান তাই মানুষকে অভিভূত করে, মানুষের হৃদয়কে বিগলিত করে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 15691
বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল Judge Radhabinod Pal (জন্ম: ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৮৬-মৃত্যু: ১০ই জানুয়ারি, ১৯৬৭) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ী মিত্রশক্তির বিপক্ষে এবং জাপানিদের পক্ষে যুগান্তকারী রায় দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। খ্যতিমান এই বিচারপতির নাম এদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কুষ্টিয়ার মিরপুর কাকিলাদহের এই কৃতীসন্তানকে নিয়ে সরকারি উদ্যোগে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের কথা থাকলেও সেটি আজও তেমন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: প্যারী সুন্দরী
- পঠিত হয়েছেঃ 14273
প্যারী সুন্দরী নীল বিদ্রোহের অবিস্মরণীয় চরিত্র। অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুরের জমিদার রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা। আজীবন লড়েছেন মাটি ও মানুষের পক্ষে, দেশমাতৃকার স্বার্থে। অত্যাচারী নীল করের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও লাঠিয়ালদের নিয়ে তার সংগ্রাম কিংবদন্তিতুল্য।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- পঠিত হয়েছেঃ 8932
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (জন্ম: ৭ই মে, ১৮৬১ - মৃত: ৭ই আগস্ট, ১৯৪১) (জন্ম: ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ - মৃত: ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) বাংলা সাহিত্যের দিকপাল কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার ও দার্শনিক। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। তিনি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি তার সারা জীবনের কর্মে সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে তিনি বিশ্বকবি, কবিগুরু ও গুরুদেব নামে পরিচিত। বলা যায় তাঁর হাতে বাঙ্গালীর ভাষা ও সাহিত্য,শিল্পকলা ও শিল্প চেতনা নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 4845
মীর মশাররফ হোসেন (জন্ম: নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - মৃত্যু: ১৯ ডিসেম্বর ১৯১২) ছিলেন একজন বাঙ্গালী ঔপন্যাসিক,নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি তৎকালীন বৃটিশ ভারতে (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে ফরিদপুরের পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুকাল কলকাতায় বসবাস করেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: প্যারী সুন্দরী
- পঠিত হয়েছেঃ 4498
বর্তমান মিরপুর উপজেলার সদরপুরের মহিলা জমিদার ছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া অঞ্চলের নীল বিদ্রোহের নেত্রী ছিলেন। ১৮৬০ সালে বাংলাদেশে যে নীল বিদ্রোহ দেখা দেয় তা প্রকৃতপক্ষে কুষ্টিয়ায় শুরু হয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 4296
তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে বিচার কার্য পরিচালনা করেছিলেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: কাঙ্গাল হরিনাথ
- পঠিত হয়েছেঃ 5256
কাঙ্গাল হরিনাথ তথা হরিনাথ মজুমদার (জন্ম: ১২৪০ সালের ৫ই শ্রাবণ - ২০শে জুলাই ১৮৩৩ইং - মৃত্যু: ১৩০৩ সালের ৫ বৈশাখ - ১৬ এপ্রিল, ১৮৯৬ইং) বাংলা লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত বাউল সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি সর্বসমক্ষে ফকির চাঁদ বাউল নামেও পরিচিত ছিলেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 10724
কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম কৃতিসন্তান, স্বদেশী আন্দোলনের নিরলস কর্মী এবং মোহিনী মিলের প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন চক্রবর্তী বঙ্গদেশের বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 9075
প্রতিবারের ন্যায় এবারও লালন ভক্তরা চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে। কখন আসবে সেই ক্ষণ? লালন ফকির শাইজি ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ (১১৬ বছর) রে তিনি মৃত্যু বরন করেন। বাংলা মাসের পহেলা কার্ত্তিক মৃত্যু বরন করেন যত দূর জানা যাই। তিনি ছিলেন গান পোকা।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- পঠিত হয়েছেঃ 4661
কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ীতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়া পৌরসভার আয়োজনে সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরে কবি আজিজুর রহমান সড়কে অবস্থিত রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়া কুঠিবাড়ীতে (টেগর লজ) আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উপ ক্যাটেগরি সমূহ
ফকীর লালন শাঁহ
লালন (জন্মঃ ১৭৭৪ - মৃত্যুঃ ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ ইং) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
মীর মশাররফ হোসেন
মীর মশাররফ হোসেন (জন্ম: নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - মৃত্যু: ১৯ ডিসেম্বর ১৯১২) ছিলেন একজন বাঙ্গালী ঔপন্যাসিক,নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি তৎকালীন বৃটিশ ভারতে (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে ফরিদপুরের বর্তমান রাজবাড়ী পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুকাল কলকাতায় বসবাস করেন।
কাঙ্গাল হরিনাথ
Which means "Penniless Harinath"(1833-1896), was a well-known Baul of Bengal, also known as "Fakir Chand Baul". He was born in Kushtia District, now in Bangladesh, named Harinath Majumdar. He lost his parents at an early age.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
He was awarded a knighthood by King George V in the 1915 Birthday Honours, but Tagore renounced it after the 1919 Jallianwala Bagh massacre.
মোহিনী মোহন
মোহিনী মোহন (১২৪৫-১৩২৯ বঙ্গাব্দ) ভারতের প্রখ্যাত সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। নদীপথে নিরাপদ যাতায়াত আর উন্নত রেল যোগাযোগের কারণে তিনি কুষ্টিয়ার বড় স্টেশনসংলগ্ন জায়গায় একটি সুতা মিল স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ১৯০৮ সালে মিলপাড়া এলাকায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করেন মোহিনী মিল। সে সময় সুদূর ইংল্যান্ড থেকে পিতলের হ্যান্ডলুম মেশিন আর পিতলের তৈরি প্রায় ২০০ তাঁত আমদানি করে বসিয়েছিলেন তার মিলে। এ সময় ভারতবর্ষের কয়েকটি জায়গায় এ ধরনের আধুনিক সুতার কলের মধ্যে মোহিনী মিল ছিল অন্যতম। এখানে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। এ মিলে উৎপাদিত সুতা ভারতবর্ষের সব প্রদেশ ছাড়াও বার্মা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যেত। সে সময় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল মোহিনী মিল ছিল অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
রাধা বিনোদ পাল
বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল Judge Radhabinod Pal (জন্ম: ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৮৬-মৃত্যু: ১০ই জানুয়ারি, ১৯৬৭) কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের "মধুরাপুর" ইউনিয়নের "মৌজা ছলিমপুর" অধীন "তারাগুনিয়া" গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। এলাকাটি এখন জজপাড়া নামে পরিচিত। পিতা বিপিন বিহারি পাল। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের গোলাম রহমান পণ্ডিতের কাছে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। কুষ্টিয়া হাইস্কুলে তিনি মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯০৮ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সিয়াল কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক মনোনীত হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করেন ১৯৪৪-৪৬ সাল পর্যন্ত। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ, অক্ষশক্তিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে নুরেমবার্গ এবং টোকিওতে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। হিটলারের মন্ত্রিপরিষদ এবং যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার করা হয় নুরেমবার্গে এবং জাপানের সমরবিদ জেনারেল হিদেকি তোজোর বিচার করা হয় টোকিও ট্রাইব্যুনালে। টোকিও ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রধান বিচারপতি ছিলেন ড. রাধা বিনোদ পাল। বিচারের একপর্যায়ে রাধা বিনোদ পাল বাদে অন্য সব বিচারপতি জেনারেল তোজোকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত নেন। অন্যান্য বিচারপতির ধারণা ছিল, বিচারপতি পালও মিত্রশক্তির পক্ষে অনুগত থাকবেন। কিন্তু বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের ৮শ' পৃষ্ঠার ঐতিহাসিক রায় মিত্রশক্তি এমনকি বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। আইনের শাসনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল বিচারপতি পাল কর্তৃক পূর্ববর্তী রায়কে বিতর্কিত প্রমাণ করে যুক্তি দেন। রাধা বিনোদ পালকে জাপানিরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। মাত্র কয়েক বছর আগে জাপানি প্রধানমন্ত্রী "মিস্টার আবে" ( যিনি বর্তমান জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাবা) ভারতে এসে বিশেষ করে কলকাতায় এসেছিলেন রাধা বিনোদ পালের পুত্রকে সমগ্র জাপানের তরফে কৃতজ্ঞতা জানাতে |
প্যারী সুন্দরী
প্যারী সুন্দরী (১৮০০-১৮৭০) নীল বিদ্রোহের অবিস্মরণীয় চরিত্র। অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুরের জমিদার রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা। আজীবন লড়েছেন মাটি ও মানুষের পক্ষে, দেশমাতৃকার স্বার্থে। অত্যাচারী নীল করের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও লাঠিয়ালদের নিয়ে তার সংগ্রাম কিংবদন্তিতুল্য।
কবি আজিজুর রহমান
একজন বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার। তিনি ১৯৭৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন। একুশে পদকধারী কবি, গীতিকার ও বেতার ব্যক্তিত্ব আজিজুর রহমান ১৯১৪ সালের ১৮ই অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি একাধারে কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া (নদীয়া) ফুড কমিটির সেক্রেটারি, বেঞ্চ অ্যান্ড কোর্ট ডিভিশনের চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া জেলা বোর্ড ও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যের পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় মুসলিম ছাত্র আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন এবং প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি প্রায় ৩০০-এর উপরে কবিতা রচনা করেছেন। তার মধ্যে নৈশনগরী, মহানগরী, সান্ধ্যশহর, ফেরিওয়ালা, ফুটপাত, তেরশপঞ্চাশ, সোয়ারীঘাটের সন্ধ্যা, বুড়িগঙ্গার তীরে, পহেলা আষাঢ়, ঢাকাই রজনী, মোয়াজ্জিন, পরানপিয়া, উল্লেখযোগ্য। এ কবিতাগুলো এক সময় নবযুগ, নবশক্তি, আনন্দবাজার পত্রিকা, শনিবারের চিঠি, সওগাত, মোহাম্মাদী, আজাদ, বুলবুল পত্রিকায় নিয়মিত ছাপা হতো।১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বেতারে প্রথমে অনিয়মিত এবং পরে নিয়মিতভাবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারে চাকরীতে বহাল ছিলেন।
ধর্মতত্ত্ব
ধর্মতত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায়: Theology) দর্শন কেন্দ্রিক জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে ধর্মীয় অনুমান এবং আত্মপক্ষসমর্থনবিদ্যা (apologetics) সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচিত হয়। উৎপত্তির প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব খ্রিস্টান ধর্মের সাথে বেশি সম্পৃক্ত যদিও পরবর্তীকালে সকল ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম এবং ইহুদি ধর্ম) অধ্যয়নই এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেদিক থেকে বলা যায়, ধর্ম, ধর্মের প্রভাব এবং ধর্মীয় সত্যের প্রকৃতি নিয়ে পদ্ধতিগত ও যৌক্তিক অধ্যয়নের নামই ধর্মতত্ত্ব। জ্ঞানের এই শাখার বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বর, মানবতা, বিশ্বজগৎ, নির্বাণ বা মুক্তি এবং পরলোকতত্ত্ব।