
আমাদের ইতিহাস
১৯৪৭ সনের ১৮ই আগষ্ট কুষ্টিয়া জেলা হিসাবে রূপ নেয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রথমে রাজশাহী বিভাগে ও পরে খুলনা বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হয়। কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার প্রাণ। ১৮৬০ সালে কলকাতার সাথে রেল যোগযোগ স্থাপন, রেনউইক ও যজ্ঞেশ্বর ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা, মোহিনী মিলস কুষ্টিয়া সদরে গড়ে ওঠে।
শুরু থেকেই কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ধান,পাট, আখ ও বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফসল উৎপাদন হয়ে আসছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ঝাউদিয়া গ্রামে চৌধুরী বাড়ীর উপর একটি প্রাচীন মসজিদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুরাকীর্তির একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। ঝাউদিয়ার এই মসজিদটির ভিতরে মোঘল শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন নানা কারুকার্যে শোভিত রয়েছে। মোঘল সম্রাট শাজাহানের আমলে ঝাউদিয়ার মসজিদটি নির্মিত হয়। এমন অপূর্ব কারুকার্য শোভিত মসজিদ খুব কম দেখা যায়। এ মসজিদে একটি বড় গম্বুজ ও অনেক মাঝারী এবং ছোট গম্বুজ রয়েছে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতিতে ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া সুগার মিলস অবস্থিত। অত্র উপজেলায় বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠায় এখানে অনেকগুলো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে বিআরবি গ্রুব অব ইন্ডাস্টিজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। অত্র উপজেলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় একদিকে যেমন কুষ্টিয়া জেলাসহ বাংলাদেশের সকল জেলার শিক্ষারদার উন্মুক্ত হয়েছে। তেমনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা ঐতিহ্য বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর যুদ্ধ হয়। ৮নং সেক্টরের অধীনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় যুদ্ধ হয়। তন্মধ্যে উজানগ্রাম ইউনিয়নের বংশীতলা , আবদালপুর ইউনিয়নের করিমপুর উল্লেখযোগ্য। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বৃত্তিপাড়া বধ্যভূমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য বধ্যভূমি।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ইতিহাস
- পঠিত হয়েছেঃ 5276
দূর্বাচারা গ্রামে জিয়াউল বারী নোমানের নেতৃত্বে বি এল এফ এর একটি দল ছিল। তাদের পৃথক ক্যাম্প ছিল। এমন একটি ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন শামসুল হাদী। ৫ই সেপ্টেম্বর তার অনুপস্থিতিতে ক্যাম্প ইনর্চাজ ছিলেন শাহাবুব আলী ও বাহার তাদের নেতৃত্বে প্রায় ২০০মুক্তিযোদ্ধা ছিল। রাজাকার বাহিনী কুষ্টিয়ার পিস কমিটিকে জানিয়ে দেয়। পিস কমিটি আর্মি ক্যাম্পে জানালে পাকিস্তানী বাহিনী ভাদালিয়া হয়ে দূর্বাচারার দিকে অগ্রসর হয় । পাকসেনা আসছে এ খবর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে পৌছে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা দূর্বাচারার ২ মাইল পশ্চিমে বংশীতলায় মধ্যরাত থেকে এ্যাম্বুশ করে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ইতিহাস
- পঠিত হয়েছেঃ 4270
১৯৭১ সমসাময়িক উত্তাল বাংলাদেশের ঢেউ বেশ ভালোভাবেই আছড়ে পড়ে কুষ্টিয়াতে। ১৯৭১ এ এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কুষ্টিয়া জেলার ভূমিকা ছিল নেতৃস্থানীয়। আমরা আমাদের প্রবন্ধ শুরুর সময়কাল হিসেবে বেছে নিয়েছি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসকে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ইতিহাস
- পঠিত হয়েছেঃ 4120
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য । ০৩ মার্চ কুষ্টিয়াতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ এর ১৭ই এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বৈদ্যনাথতলাতে (বর্তমান মেহেরপুরের মুজিবনগর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এই সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ কুষ্টিয়া চূড়ান্তভাবে দখলদারমুক্ত হয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: প্যারী সুন্দরী
- পঠিত হয়েছেঃ 3649
জমিদার প্যারী সুন্দরী ছিলেন করগণ্য নীল বিদ্রোহী জমিদারদের মধ্যে অন্যতম। দুপুরের সূর্যের মতো দীপ্যমান নারী। নীলকরের সর্বগ্রাসী থাবা থেকে প্রজাদের রক্ষা করাই ছিল তাঁর ধ্যানজ্ঞান। তাই নীল আন্দোলনের ইতিহাসে ও মীর মশাররফ হোসেনের সাহিত্যের বদৌলতে শিক্ষিত মহলে তিনি পরিচিতি পান প্রজাপ্রেমের সুবাদে। তৎকালীন নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া-সদরপুরের জমিদার ছিলেন প্যারী সুন্দরী।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 2472
সাময়িকপত্র-সম্পাদনা, প্রকাশনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমানের আদিপর্বের উদ্যোগ ও অবদান সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে ওই সমাজের আধুনিক যুগের সাহিত্যচর্চার সূচনার ইতিহাসটিও স্মরণে রাখতে হয়। সাহিত্যের মতো সাময়িকপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রেও বাঙালি মুসলমানের বিলম্বিত আত্মপ্রকাশ ঘটে। তার কারণও ওই একই সূত্রে গাঁথা।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 1817
মীর মশাররফ হোসেন (নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - ডিসেম্বর ১৯, ১৯১২) ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক যিনি ঊনবিংশ শতাব্দাীর দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা গদ্যের ঊণ্মেষকালে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বিষাদ সিন্ধু নামক ঐতিহাসিক রচনার জন্য সপুরিচিত ও সাধারণ্যে জনপ্রিয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ইতিহাস
- পঠিত হয়েছেঃ 4387
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি: Islamic University) স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটিই দেশের সর্বোচ্চ ইসলামী বিদ্যাপীঠ। দেশে শুধুমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতেই ধর্মতত্ব ও ইসলামী আইনের উপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি আর্থিকভাবে ইসলামী সম্মেলন সংস্থার সাহায্য পরিচালিত হয়। ইসলামী শিক্ষার উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিষ্ঠানটি গঠন করা হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন তাদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2681
লালনের গানের যেসব সংকলন প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোর ওপর আমি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে পারিনি। কারণ, সেগুলো দুর্বলভাবে সম্পাদিত ও ভুলে পরিপূর্ণ। বহু ক্ষেত্রে পাঠ কোনো অর্থ বহন করে না এবং এসব পাঠ স্পষ্টত বিকৃত। অন্যান্য ক্ষেত্রে আমি দেখেছি যে ভুলভ্রান্তি সহজে লক্ষযোগ্য নয়। আমি বুঝতেও পেরেছি যে সরাসরি পরিবেশনা থেকে আমি যেসব গান টেপ রেকর্ডারে তুলে নিয়েছি, তার ওপরও পুরোপুরিভাবে নির্ভর করা যায় না। প্রকৃতপক্ষে শিল্পীরাও আমাকে এ ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন। কারণ, গান গাওয়ার সময় যখন তাঁরা গানের কোনো অংশ ভুলে যান, তখন যেভাবে পারেন সে ফাঁকটুকু পূরণ করে নেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2503
বাঙালি সমাজের সঙ্গে বাউলের পরিচয় ও যোগ অনেককালের। বেশ কয়েক শতক ধরে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে বাউল তার বিকাশের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় মূলত ফকির লালন সাঁইয়ের কল্যাণে। লালনই বাউল সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি—কি গানে, কি সাধনায়, কি তত্ত্বজ্ঞানে। এই লোকমনীষী আজ আর বাংলাদেশ বা বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের গণ্ডিতে আবদ্ধ নন, তাঁর আসন আজ বিশ্বলোকে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2465
মানুষ ভজন-সাধন, মানুষকে ভালোবেশে মানবতার নিগুড় প্রেমের ভাবধারাকে প্রতিষ্ঠিত করতে একটি অসাম্প্রদায়ীক সাম্যের সমাজ চেয়ে ছিলেন বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ। তিনি অহিংস মানবতার ব্রত নিয়ে দেহতত্ব, ভাবতত্ব, গুরুতত্বসহ অসংখ্য গান সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁর এই অমর সৃষ্টি সঙ্গীত কোন ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সকল ধর্মের উর্দ্ধে থেকে মরমী সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ মানব মুক্তির জন্য সৃষ্টি করেছিলেন ফকিরী মতবাদ। সাঁইজির ফকিরী মতবাদ জাতহীন মানব দর্শন ও সঙ্গীত দেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। তিনি সকল ধর্মের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে সদা সত্য পথে চলতে মানুষকে মানবতাবাদীর পথে ডাক দিয়েছিলেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 2630
তার সাহিত্যিক জীবন ছিল নির্লিপ্ত। রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না তিনি প্রত্যক্ষভাবে। কলমের যুদ্ধে অংশ নেন তিনি নির্ভীক সৈনিকের মত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 4038
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়া বাড়ির মূল বৈশিষ্ট্যই নষ্ট হয়ে গেছে, হারিয়েছে নিজস্ব ভাবগত চরিত্রটি। ঝকঝকে আধুনিক ভবনের নিচে চাপা পড়ে গেছে বাউল, ফকিরদের দীনভাবসম্পন্ন সাধনার আদি পরিবেশ।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন গৌতম কুমার রায়
- ক্যাটfগরি: রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 5711
১৯৪৭ সাল সময়বর্তী ভারতবর্ষের নদীয়া জেলা, তত্পরবর্তী সময়ের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়ার পদ্মার নিকটবর্তী মৃতপ্রায় হিসনা নদীর তীরঘেঁষা স্বনামধন্য গ্রাম সালিমপুর। যেখানে ১৮৮৬ সালের ৭ জানুয়ারি মহাকালের ইতিহাস রচনার জন্য বাবা বিপিনবিহারী পাল আর মাতা মগ্নোময়ী দেবীর কোলে আশ্রিত হয়েছেন কর্মবহুল বৈচিত্র্যময় এক বর্ণাঢ্য মনীষীর। তিনি বাঙালির অহঙ্কার, বিস্ময়কর মানব জাস্টিস রাধাবিনোদ পাল।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: মীর মশাররফ হোসেন
- পঠিত হয়েছেঃ 3088
বহু প্রতিভার অধিকারী, মানব দরদী, সমাজ হিতৈষী মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার নিকটবর্তী লাহিনী পাড়া গ্রামে বিখ্যাত সৈয়দ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2751
স্বার্থান্বেসী মহলের ঘোলা পানিতে মৎস্য শিকার, সত্যান্বেষণ এবং একটি পর্যালোচনা
কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন কুমারখালী থানাধীন ছেঁউড়িয়া গ্রামের বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের মাজার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। জাতি-ধর্ম-গোত্র-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষ ও মানবতার জয়গান গেয়ে গেছেন মরমী সাধক ফকির লালন শাহ। তাইতো লালন গান বিশ্ব জুড়ে মানবতাবাদের অমোঘ বাণী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং লালন ফকিরের স্মৃতিবিজড়িত ছেঁউড়িয়ার লালন মাজার আজ সমগ্র বিশ্বে সুপরিচিত একটি ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। আর লালন অনুসারী ও বাউল সম্প্রদায়ের কাছে এটি তো রীতিমতো তীর্থস্থান হিসেবে পরিগণিত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: কবি আজিজুর রহমান
- পঠিত হয়েছেঃ 2358
“মনরে ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়” গানের এই মর্মবাণীর প্রতিপাদ্যে দেশের আধুনিক বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম পথিকৃৎ একুশে পদক প্রাপ্ত কুষ্টিয়ার গর্ব কবি ও গীতিকার আজিজুর রহমান (জন্ম: অক্টোবর-১৮, ১৯১৪, মৃত্যু: সেপ্টেম্বর-১২, ১৯৭৮) এর ১০৩তম জন্ম বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়েছে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2134
খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া বলেছেন, কারো কারো মতে নিরক্ষর বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের সৃষ্টি গানে গভীর জ্ঞান আমাকে সত্যিকার অর্থে বিমোহীত করেছে। তিনি জ্ঞানভান্ডারে এক অনাবিস্কার পৃথিবী। তাঁকে চিনতে অনেক দেশ বহুভাবে উপস্থাপন করেছেন। আধ্যাত্মিক সিদ্ধ পুরুষ হিসেবে সত্য ও জাতহীন সমাজ গড়তে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: ফকীর লালন শাঁহ
- পঠিত হয়েছেঃ 2580
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মাহবুবউল-আলম হানিফ বলেছেন- বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের কোন ধর্ম ও জাত ছিলনা। লালনের একটি মাত্র পরিচয় ছিল সেটি হচ্ছে মানবতা। তিনিই একমাত্র বাউল সাধক যিনি সকল ধর্মের সীমাবদ্ধতাকে ছাড়িয়ে সদা সত্য পথে চলতে মানুষকে মানবতাবাদীর পথে ডাক দিয়ে ছিলেন।
উপ ক্যাটেগরি সমূহ
ফকীর লালন শাঁহ
লালন (জন্মঃ ১৭৭৪ - মৃত্যুঃ ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ ইং) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ‘বাউল-সম্রাট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
মীর মশাররফ হোসেন
মীর মশাররফ হোসেন (জন্ম: নভেম্বর ১৩, ১৮৪৭ - মৃত্যু: ১৯ ডিসেম্বর ১৯১২) ছিলেন একজন বাঙ্গালী ঔপন্যাসিক,নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি তৎকালীন বৃটিশ ভারতে (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর লেখাপড়ার জীবন কাটে প্রথমে কুষ্টিয়ায়, পরে ফরিদপুরের বর্তমান রাজবাড়ী পদমদীতে ও শেষে কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় ফরিদপুরের নবাব এস্টেটে চাকরি করে। তিনি কিছুকাল কলকাতায় বসবাস করেন।
কাঙ্গাল হরিনাথ
Which means "Penniless Harinath"(1833-1896), was a well-known Baul of Bengal, also known as "Fakir Chand Baul". He was born in Kushtia District, now in Bangladesh, named Harinath Majumdar. He lost his parents at an early age.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
He was awarded a knighthood by King George V in the 1915 Birthday Honours, but Tagore renounced it after the 1919 Jallianwala Bagh massacre.
মোহিনী মোহন
মোহিনী মোহন (১২৪৫-১৩২৯ বঙ্গাব্দ) ভারতের প্রখ্যাত সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। নদীপথে নিরাপদ যাতায়াত আর উন্নত রেল যোগাযোগের কারণে তিনি কুষ্টিয়ার বড় স্টেশনসংলগ্ন জায়গায় একটি সুতা মিল স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ১৯০৮ সালে মিলপাড়া এলাকায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করেন মোহিনী মিল। সে সময় সুদূর ইংল্যান্ড থেকে পিতলের হ্যান্ডলুম মেশিন আর পিতলের তৈরি প্রায় ২০০ তাঁত আমদানি করে বসিয়েছিলেন তার মিলে। এ সময় ভারতবর্ষের কয়েকটি জায়গায় এ ধরনের আধুনিক সুতার কলের মধ্যে মোহিনী মিল ছিল অন্যতম। এখানে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। এ মিলে উৎপাদিত সুতা ভারতবর্ষের সব প্রদেশ ছাড়াও বার্মা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যেত। সে সময় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল মোহিনী মিল ছিল অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
রাধা বিনোদ পাল
বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল Judge Radhabinod Pal (জন্ম: ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৮৬-মৃত্যু: ১০ই জানুয়ারি, ১৯৬৭) কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের "মধুরাপুর" ইউনিয়নের "মৌজা ছলিমপুর" অধীন "তারাগুনিয়া" গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। এলাকাটি এখন জজপাড়া নামে পরিচিত। পিতা বিপিন বিহারি পাল। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের গোলাম রহমান পণ্ডিতের কাছে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। কুষ্টিয়া হাইস্কুলে তিনি মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯০৮ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সিয়াল কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক মনোনীত হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করেন ১৯৪৪-৪৬ সাল পর্যন্ত। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ, অক্ষশক্তিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে নুরেমবার্গ এবং টোকিওতে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। হিটলারের মন্ত্রিপরিষদ এবং যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার করা হয় নুরেমবার্গে এবং জাপানের সমরবিদ জেনারেল হিদেকি তোজোর বিচার করা হয় টোকিও ট্রাইব্যুনালে। টোকিও ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রধান বিচারপতি ছিলেন ড. রাধা বিনোদ পাল। বিচারের একপর্যায়ে রাধা বিনোদ পাল বাদে অন্য সব বিচারপতি জেনারেল তোজোকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত নেন। অন্যান্য বিচারপতির ধারণা ছিল, বিচারপতি পালও মিত্রশক্তির পক্ষে অনুগত থাকবেন। কিন্তু বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের ৮শ' পৃষ্ঠার ঐতিহাসিক রায় মিত্রশক্তি এমনকি বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। আইনের শাসনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল বিচারপতি পাল কর্তৃক পূর্ববর্তী রায়কে বিতর্কিত প্রমাণ করে যুক্তি দেন। রাধা বিনোদ পালকে জাপানিরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। মাত্র কয়েক বছর আগে জাপানি প্রধানমন্ত্রী "মিস্টার আবে" ( যিনি বর্তমান জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাবা) ভারতে এসে বিশেষ করে কলকাতায় এসেছিলেন রাধা বিনোদ পালের পুত্রকে সমগ্র জাপানের তরফে কৃতজ্ঞতা জানাতে |
প্যারী সুন্দরী
প্যারী সুন্দরী (১৮০০-১৮৭০) নীল বিদ্রোহের অবিস্মরণীয় চরিত্র। অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুরের জমিদার রামানন্দ সিংহের কনিষ্ঠ কন্যা। আজীবন লড়েছেন মাটি ও মানুষের পক্ষে, দেশমাতৃকার স্বার্থে। অত্যাচারী নীল করের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষ ও লাঠিয়ালদের নিয়ে তার সংগ্রাম কিংবদন্তিতুল্য।
কবি আজিজুর রহমান
একজন বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার। তিনি ১৯৭৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন। একুশে পদকধারী কবি, গীতিকার ও বেতার ব্যক্তিত্ব আজিজুর রহমান ১৯১৪ সালের ১৮ই অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি একাধারে কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া (নদীয়া) ফুড কমিটির সেক্রেটারি, বেঞ্চ অ্যান্ড কোর্ট ডিভিশনের চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া জেলা বোর্ড ও ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্যের পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন। ছাত্র থাকা অবস্থায় মুসলিম ছাত্র আন্দোলনেও ভূমিকা রেখেছেন এবং প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি প্রায় ৩০০-এর উপরে কবিতা রচনা করেছেন। তার মধ্যে নৈশনগরী, মহানগরী, সান্ধ্যশহর, ফেরিওয়ালা, ফুটপাত, তেরশপঞ্চাশ, সোয়ারীঘাটের সন্ধ্যা, বুড়িগঙ্গার তীরে, পহেলা আষাঢ়, ঢাকাই রজনী, মোয়াজ্জিন, পরানপিয়া, উল্লেখযোগ্য। এ কবিতাগুলো এক সময় নবযুগ, নবশক্তি, আনন্দবাজার পত্রিকা, শনিবারের চিঠি, সওগাত, মোহাম্মাদী, আজাদ, বুলবুল পত্রিকায় নিয়মিত ছাপা হতো।১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকা বেতারে প্রথমে অনিয়মিত এবং পরে নিয়মিতভাবে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বেতারে চাকরীতে বহাল ছিলেন।
ধর্মতত্ত্ব
ধর্মতত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায়: Theology) দর্শন কেন্দ্রিক জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে ধর্মীয় অনুমান এবং আত্মপক্ষসমর্থনবিদ্যা (apologetics) সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচিত হয়। উৎপত্তির প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব খ্রিস্টান ধর্মের সাথে বেশি সম্পৃক্ত যদিও পরবর্তীকালে সকল ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম এবং ইহুদি ধর্ম) অধ্যয়নই এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেদিক থেকে বলা যায়, ধর্ম, ধর্মের প্রভাব এবং ধর্মীয় সত্যের প্রকৃতি নিয়ে পদ্ধতিগত ও যৌক্তিক অধ্যয়নের নামই ধর্মতত্ত্ব। জ্ঞানের এই শাখার বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বর, মানবতা, বিশ্বজগৎ, নির্বাণ বা মুক্তি এবং পরলোকতত্ত্ব।