রাধা বিনোদ পাল
বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল Judge Radhabinod Pal (জন্ম: ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৮৬-মৃত্যু: ১০ই জানুয়ারি, ১৯৬৭) কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের "মধুরাপুর" ইউনিয়নের "মৌজা ছলিমপুর" অধীন "তারাগুনিয়া" গ্রামে মাতুলালয়ে তাঁর জন্ম। এলাকাটি এখন জজপাড়া নামে পরিচিত। পিতা বিপিন বিহারি পাল। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের গোলাম রহমান পণ্ডিতের কাছে তাঁর শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি। কুষ্টিয়া হাইস্কুলে তিনি মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯০৮ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সিয়াল কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণীতে গণিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক মনোনীত হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজ করেন ১৯৪৪-৪৬ সাল পর্যন্ত। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষ, অক্ষশক্তিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে নুরেমবার্গ এবং টোকিওতে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। হিটলারের মন্ত্রিপরিষদ এবং যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার করা হয় নুরেমবার্গে এবং জাপানের সমরবিদ জেনারেল হিদেকি তোজোর বিচার করা হয় টোকিও ট্রাইব্যুনালে। টোকিও ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রধান বিচারপতি ছিলেন ড. রাধা বিনোদ পাল। বিচারের একপর্যায়ে রাধা বিনোদ পাল বাদে অন্য সব বিচারপতি জেনারেল তোজোকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে ফাঁসিতে ঝুলানোর সিদ্ধান্ত নেন। অন্যান্য বিচারপতির ধারণা ছিল, বিচারপতি পালও মিত্রশক্তির পক্ষে অনুগত থাকবেন। কিন্তু বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের ৮শ' পৃষ্ঠার ঐতিহাসিক রায় মিত্রশক্তি এমনকি বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। আইনের শাসনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল বিচারপতি পাল কর্তৃক পূর্ববর্তী রায়কে বিতর্কিত প্রমাণ করে যুক্তি দেন। রাধা বিনোদ পালকে জাপানিরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। মাত্র কয়েক বছর আগে জাপানি প্রধানমন্ত্রী "মিস্টার আবে" ( যিনি বর্তমান জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাবা) ভারতে এসে বিশেষ করে কলকাতায় এসেছিলেন রাধা বিনোদ পালের পুত্রকে সমগ্র জাপানের তরফে কৃতজ্ঞতা জানাতে।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 2806
ইটের গায়ে আজও লেখা রয়েছে আর বি ডি (রাধা বিনোদ পাল)। শান বাঁধানো ঘাটটি কালের আবর্তে ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ফলের বাগানটিও নেই। দেশ স্বাধীনের পর একতলা বাড়িটি ক্ষয়ে ক্ষয়ে হারিয়ে গেছে। কিন্তু আজও তাঁর নাম সবাই জানে। চাকরিজীবনের সুনাম, খ্যাতি তাঁকে দিয়েছে বিশ্বপরিচয়। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লি কাকিলাদহ। জাপানিদের কাছে দেবতুল্য ড. রাধা বিনোদ পালের শৈশব কেটেছে এ গ্রামে। এলাকাটি এখন জজপাড়া নামে পরিচিত। বিপিন বিহারি পালের ছেলে রাধা বিনোদ পাল আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারক ছিলেন।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ গৌতম কুমার রায়
- ক্যাটাগরিঃ রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 6829
১৯৪৭ সাল সময়বর্তী ভারতবর্ষের নদীয়া জেলা, তত্পরবর্তী সময়ের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়ার পদ্মার নিকটবর্তী মৃতপ্রায় হিসনা নদীর তীরঘেঁষা স্বনামধন্য গ্রাম সালিমপুর। যেখানে ১৮৮৬ সালের ৭ জানুয়ারি মহাকালের ইতিহাস রচনার জন্য বাবা বিপিনবিহারী পাল আর মাতা মগ্নোময়ী দেবীর কোলে আশ্রিত হয়েছেন কর্মবহুল বৈচিত্র্যময় এক বর্ণাঢ্য মনীষীর। তিনি বাঙালির অহঙ্কার, বিস্ময়কর মানব জাস্টিস রাধাবিনোদ পাল।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 16644
বিচারপতি ডঃ রাধা বিনোদ পাল Judge Radhabinod Pal (জন্ম: ২৭শে জানুয়ারি, ১৮৮৬-মৃত্যু: ১০ই জানুয়ারি, ১৯৬৭) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ী মিত্রশক্তির বিপক্ষে এবং জাপানিদের পক্ষে যুগান্তকারী রায় দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। খ্যতিমান এই বিচারপতির নাম এদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। কুষ্টিয়ার মিরপুর কাকিলাদহের এই কৃতীসন্তানকে নিয়ে সরকারি উদ্যোগে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের কথা থাকলেও সেটি আজও তেমন ভালোভাবে বাস্তবায়ন হয়নি।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ রাধা বিনোদ পাল
- পঠিত হয়েছেঃ 5431
তিনি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে বিচার কার্য পরিচালনা করেছিলেন।