মোহিনী মোহন
মোহিনী মোহন (১২৪৫-১৩২৯ বঙ্গাব্দ) ভারতের প্রখ্যাত সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। নদীপথে নিরাপদ যাতায়াত আর উন্নত রেল যোগাযোগের কারণে তিনি কুষ্টিয়ার বড় স্টেশনসংলগ্ন জায়গায় একটি সুতা মিল স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ১৯০৮ সালে মিলপাড়া এলাকায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করেন মোহিনী মিল। সে সময় সুদূর ইংল্যান্ড থেকে পিতলের হ্যান্ডলুম মেশিন আর পিতলের তৈরি প্রায় ২০০ তাঁত আমদানি করে বসিয়েছিলেন তার মিলে। এ সময় ভারতবর্ষের কয়েকটি জায়গায় এ ধরনের আধুনিক সুতার কলের মধ্যে মোহিনী মিল ছিল অন্যতম। এখানে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। এ মিলে উৎপাদিত সুতা ভারতবর্ষের সব প্রদেশ ছাড়াও বার্মা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যেত। সে সময় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল মোহিনী মিল ছিল অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ নূর মোহাম্মদ রবিউল
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 2489
এক সময়ের এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল কুষ্টিয়ার মোহিনী মিল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক অর্থনৈতিক জোয়ারে প্রসিদ্ধ ছিল। কিন্তু আজ সারা দেশের এত উন্নয়ণের মাঝেও মিলটির এই করুণ পরিণতির অবস্থার দিকে তাকালে কুষ্টিয়াবাসী দুঃখ প্রকাশ করে থাকেন। অনেকে মনে করেন, এখনও মিলটি রাষ্ট্রের শিল্প উন্নয়ণের স্বার্থে ফিরিয়ে নিয়ে পুণঃরায় নতুন প্রযুক্তিতে চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকার যথাযথ উদ্যোগী হলে হয়তো মোহিনী মিল আবারও পেতে পারে হারানো দিনের সেই ঐতিহ্য।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ গৌতম কুমার রায়
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 6340
সেই সময়ের নদীয়া এবং এখনকার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি সর্ব কালেই এক অভিন্ন ও স্বতন্ত্র ধারার পরিচয়ে পরিচিত। রাজনীতি থেকে সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক বিন্যাস থেকে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অর্থনৈতিক স্তর যেন সব কিছুতেই অন্যসব এলাকার সাথে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য ছিল। কুমারখালিতে জল যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল। এক সময়ের গৌড় বা এখনকার গড়াই নদীর তীর ঘেষা, আবার পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়াতে এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে তেমন চেষ্টা করতে হয় নাই। ১৮৫৭ সালে কুমারখালি প্রথম মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 6794
মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম হলো বস্ত্র। শীতাতপ ও লজ্জা নিবারণের জন্যই মানুষ গড়ে তোলে বস্ত্রশিল্প। হস্তচাালিত তাঁতবস্ত্র এক সময় এদেশের গণচাহিদা মেটাতো। সে সময়ে গড়ে উঠেছিল বাঙালির সুতি বস্ত্রের শিল্প গৌরব। ঔপনিবেশিক কালে যান্ত্রিক তাঁতশিল্প এসে সেই স্থান জবরদখল করে বসলো। গড়ে উঠলো কল-কারখানা।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 3599
সেই সময়ের নদীয়া ও এখনকার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী সর্বকালেই এক অভিন্ন ও স্বতন্ত্র ধারার পরিচয়ে পরিচিত। রাজনীতি থেকে সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক বিন্যাস থেকে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অর্থনৈতিক স্তর— সবকিছুতেই যেন অন্য সব এলাকার সঙ্গে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য ছিল। কুমারখালীতে জল যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল। একসময়ের গৌড়ি বা এখনকার গড়াই নদীর তীরঘেঁষা আবার পদ্মার তীরবর্তী হওয়ায় এটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে দ্রুত প্রতিষ্ঠা পায়।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 11600
ভারতের প্রখ্যাত সুতা ব্যবসায়ী মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। নদীপথে নিরাপদ যাতায়াত আর উন্নত রেল যোগাযোগের কারণে তিনি কুষ্টিয়ার বড় স্টেশনসংলগ্ন জায়গায় একটি সুতা মিল স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ১৯০৮ সালে মিলপাড়া এলাকায় ১০০ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করেন মোহিনী মিল। সে সময় সুদূর ইংল্যান্ড থেকে পিতলের হ্যান্ডলুম মেশিন আর পিতলের তৈরি প্রায় ২০০ তাঁত আমদানি করে বসিয়েছিলেন তার মিলে। এ সময় ভারতবর্ষের কয়েকটি জায়গায় এ ধরনের আধুনিক সুতার কলের মধ্যে মোহিনী মিল ছিল অন্যতম। এখানে প্রায় ৩০০ শ্রমিক কাজ করতেন। এ মিলে উৎপাদিত সুতা ভারতবর্ষের সব প্রদেশ ছাড়াও বার্মা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যেত। সে সময় কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী বস্ত্রকল মোহিনী মিল ছিল অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 4556
সচল অবস্থায় মোহিনী মিল সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মিল।
- বিস্তারিত
- লিখেছেনঃ সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটাগরিঃ মোহিনী মোহন
- পঠিত হয়েছেঃ 11678
কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম কৃতিসন্তান, স্বদেশী আন্দোলনের নিরলস কর্মী এবং মোহিনী মিলের প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন চক্রবর্তী বঙ্গদেশের বিখ্যাত ব্যক্তি ছিলেন।