স্রোতহীন প্রাচীন নদী কালী গঙ্গা। বর্তমানে এটি কালী নদী নামে পরিচিত। এ নদীতেই ভেলায় ভেসে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় এসেছিলেন ফকীর লালন শাহ।
ইতিহাস বিখ্যাত প্রাচীন নদী কালী গঙ্গা, নদীটি কুষ্টিয়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর শাখা নদী হিসেবে কালী গঙ্গা নদীটির উৎপত্তি লাভ করেছে, নদীটি কুষ্টিয়া শাহরের পাশ দিয়ে ফকীর লালন শাহের মাজার প্রাঙ্গন হয়ে বাঁধবাজার, কমলাপুর বাজার, খালবাজার , বাঁশগ্রাম বাজার, হরিনারায়নপুর বাজার এর পাশ দিয়ে নদীটি বয়ে চলেছে।
আগের দিনে এই নদী দিয়ে স্রোত বয়ে চলত, নৌকা চলত জেলেরা মাছ ধরত। কিন্ত বর্তমান নদী ভরাট হবার কারনে এই নদীতে কচুরী পানায় ভাসছে। বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যেমে মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হয় বিভিন্ন অংশ। এছাড়াও এই নদীতে বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক মাছ পাওয়া যায়, যা খেতে আজও সুস্বাদু। আজও এই নদীর উপর নির্ভর করে অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে।