লালন গীতি

রসিক সুজন ভাইরে দুইজন

রসিক সুজন ভাইরে দুইজন
বসে আছো কার আশে

তাঁর মরণের ভয় কি আছে

প্রেম পাথারে যে সাঁতারে
তাঁর মরণের ভয় কি আছে।
স্বরূপ মরণে সদা মত্ত যারা
ঐ কাজে।।

এ বড় আজব কুদরতি

এ বড় আজব কুদরতি
আঠার মোকামের মাঝে

জ্বলছে একটি রুপের বাতি।।

কে কথা কয় রে দেখা দেয় না

কে কথা কয় রে দেখা দেয় না।
নড়ে চড়ে হাতের কাছে

এই দেশেতে এই সুখ হল

এই দেশেতে এই সুখ হল
আবার কোথায় যাই না জানি।

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি

নিগূঢ় প্রেম কথাটি তাই আজ আমি
শুধায় কার কাছে।
যে প্রেমেতে আল্লাহ নবি মেরাজ করেছে।।

করিয়ে পাগল পারা নিল তাঁরা সব লুটে

শহরের ষোল জনা বোম্বেটে
করিয়ে পাগল পারা নিলো তার সব লুটে।

বল কারে খুঁজিস ক্ষ্যাপা দেশ-বিদেশে

বল কারে খুঁজিস ক্ষ্যাপা দেশ-বিদেশে
আপন ঘর খুঁজলে
রতন পাই অনাসে।।

ভেদ পরিচয়

হায় চিরদিন পোষলাম এক অচিন পাখী
পাখী ভেদ পরিচয় দেয়না মোরে
ঐ খেদে ঝোরে আঁখি।।

কর লাফালাফি সার কাজে শুন্যকার

কর লাফালাফি সার কাজে শুন্যকার
টাকশালে পড়লে যাবে জানা।।

রুপের গাছ

চাঁদ আছে চাঁদে ঘেরা
কেমন করে সে চাঁদ
ধরবি গো তোরা।।

এই দেশে যা পাপ গন্য অন্য দেশে পূণ্য তাই

পাপ পূণ্যের কথা আমি কারে বা শুধাই
এই দেশে যা পাপ গন্য
অন্য দেশে পূণ্য তাই।।

যেখানেতে আছে মানুষ চন্দ্র সূর্যের বারাম নাই

বড় নিগুমেতে আছেন গোঁসাই
যেখানেতে আছে মানুষ
চন্দ্র সূর্যের বারাম নাই।।

একবার আপনারে চিনলে পরে যাবে অচেনারে চেনা

আমার আপন খবর আপনার হয় না
একবার আপনারে চিনলে পরে যাবে অচেনারে চেনা।।

বেদে নাই যার রূপরেখা

পাবে সামান্যে কি তাঁর দেখা
বেদে নাই যার রূপরেখা।।

সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সব দেখি তা না না না

জাত গেল জাত গেল বলে এ কি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি সব দেখি তা-না-না-না।।

অনায়াসে দেখতে পাবি কোনখানে কার বারামখানা

আপন ঘরের খবর নে না
অনায়াসে দেখতে পাবি
কোনখানে কার বারামখানা।।

অগাধ জলের মাঝে জ্বলছে বাতি

কে বুঝিতে পারে আমার সাঁইয়ের কুদরতি
অগাধ জলের মাঝে জ্বলছে বাতি।।

আইল ভেজিলেন রাসুলুল্লাহ

মুখে পড় রে সদাই
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আইল ভেজিলেন রাসুলুল্লাহ।।

তাঁরে চিনতে হয়

এক অজান মানুষ ফিরসে দেশে
তাঁরে চিনতে হয়
তাঁরে চিনতে হয়, তাঁরে মানতে হয়।।