বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

বাউল

বাউল

বাউল (Baul) একটি বিশেষ লোকাচার ও ধর্মমত। এই মতের সৃষ্টি হয়েছে বাংলার মাটিতে। বাউলকূল শিরোমণি লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচতি লাভ করে। বাউল গান যেমন জীবন দর্শনে সম্পৃক্ত তেমনি সুর সমৃদ্ধ। বাউলদের সাদামাটা কৃচ্ছসাধনার জীবন আর একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোই তাদের অভ্যাস। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করে।

বাউল (Baul) শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। কেউ বলেন 'বাতুল' থেকে 'বাউল' হয়েছে, কারো মতে 'বজ্রী' থেকে কিংবা 'বজ্রকুল' থেকে বাউল শব্দটি এসেছে। কেউ কেউ বলেন 'আউল' শব্দ থেকে 'বাউল হয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরো শতকে বাংলাদেশে বাউল মতের উদ্ভব হয়। এ মতের প্রবর্তক হলেন আউল চাঁদ ও মাধববিবি। বীরভদ্র নামে এক বৈষ্ণব মহাজন সেই সময়ে একে জনপ্রিয় করে তোলেন।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-পাবনা এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বোলপুর-জয়দেবকেন্দুলি পর্যন্ত বাউলদের বিস্তৃতি। বাউলদের মধ্যে গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই প্রকারই রয়েছে। বাউলরা তাদের গুরুর আখড়ায় সাধনা করে। প্রতি বৎসর পৌষ সংক্রান্তির দিন বীরভূমের জয়দেব-কেন্দুলিতে বাউলদের একটি মেলা শুরু হয়, যা "জয়দেব বাউলমেলা" নামে বিখ্যাত।

  • সেই কালা চাঁদ নদে এসেছে

    ও সে বাজিয়ে বাঁশি ফিরছে সদাই

    ও সে বাজিয়ে বাঁশি ফিরছে সদাই
    কুলবতীর কুলনাশে।।

  • দয়াল বাবা হযরত কদম আলী মস্তান (রহঃ)

    দয়াল বাবা কদম আলী মস্তানের জন্ম বিক্রমপুরের ডহরী নওপাড়া। আস্তানা ছিল মরহুম সাত্তার বেপারী সাহেবের বাড়ি তৎকালীন দিঘলী বাজারের পূর্ব পাশে। এই পাগলের আবির্ভাব বিক্রমপুরের মানুষের জন্য ছিল আশির্বাদের মতো। বিভিন্ন রোগ আর মহামারিতে বিক্রমপুরের মানুষেরা ছিলো দিশেহারা।

  • এসো হে প্রভু নিরঞ্জন

    এ ভব তরঙ্গ দেখে আতঙ্কেতে যায় জীবন

    এ ভব তরঙ্গ দেখে
    আতঙ্কেতে যায় জীবন
    এসো হে প্রভু নিরঞ্জন।।

  • নাপাকে পাক হয় কেমনে

    জন্ম বীজ যার নাপাক কয় মৌলভী গণে

    নাপাকে পাক হয় কেমনে।।
    জন্ম বীজ যার নাপাক কয় মৌলভী গণে।।

  • আরকুম শাহ্‌ আধ্যাত্মিক সাধক ও সূফী

    শাহ আরকুম আলী (জন্ম: ১৮৭৭ - মৃত্যু: ১৯ মার্চ ১৯৪১) ছিলেন বাংলাদেশের একজন আধ্যাত্মিক সাধক ও সূফী। জীবন ও সত্তার অর্থ আবিস্কারে ব্রতী এক সৃষ্টিশীল কবি আরকুম শাহ।

  • রাধারমণ দত্ত

    রাধারমণ দত্ত (১৮৩৩ - ১৯১৫) একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত। বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। তার রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতের বাঙ্গালীদের কাছে পরম আদরের ধন।

  • দুদ্দু শাহ্ - মরমি কবি বাউল

    দুদ্দু শাহ্ (জন্মঃ- ১৮৪১ - মৃত্যুঃ- ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে) লালনের পরেই দুদ্দু শাহ্‌ সবচেয়ে মান্য মহাজন হিসেবে বাউল সমাজে খ্যাত। তাঁর গানের পঙ্কত্তি বাউল তত্ত্বের ভাষ্য হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। বাউল-মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

  • আধ্যাত্নিক দর্শনবাদী হাছন রাজা

    দেওয়ান হাসন রাজা (২১ ডিসেম্বর, ১৮৫৪ - ৬ ডিসেম্বর, ১৯২২) - (বাংলা- ৭ পৌষ,১২৬১ - ২২ অগ্রহায়ণ,১৩২৯) বাংলাদেশের একজন মরমী কবি এবং বাউল শিল্পী। তাঁর প্রকৃত নাম দেওয়ান হাসন রাজা। মরমী সাধনা বাংলাদেশে দর্শনচেতনার সাথে সঙ্গীতের এক অসামান্য সংযোগ ঘটিয়েছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে লালন শাহ্‌ এর প্রধান পথিকৃৎ। এর পাশাপাশি নাম করতে হয় দুদ্দু শাহ্‌, পাঞ্জ শাহ্‌, পাগলা কানাই, রাধারমণ, আরকুম শাহ্‌, জালাল খাঁ এবং আরো অনেকে। তবে দর্শনচেতনার নিরিখে লালনের পর যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নামটি আসে, তা হাসন রাজার।

  • ঐতিহ্যবাহী মাদার গান

    মাদার গান বাংলার লোকসংস্কৃতির এক অমূল্য সৃষ্টি। এ গানের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের নাটোর জেলা‍র চলনবিল অঞ্চলে। এছাড়া দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনাসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে এ গান মাদারের বাঁশ তোলা বা মাদার বাঁশের জারি নামে প্রচলিত।

  • জারী সম্রাট মোসলেম উদ্দিন বয়াতী

    চারণ কবি জারী সম্রাট মোসলেম উদ্দিন বয়াতী (জন্মঃ- ১৯০৪ - মৃত্যুঃ- ১৯ আগস্ট ১৯৯০) বাল্যকাল হতেই তিনি সংগীতানুরাগী ছিলেন এবং জারী, ভাব, মুর্শিদী ও পয়ার ইত্যাদি গান গাইতেন। তৎকালের বিখ্যাত সব গায়কের সাথে তিনি গানের পাল্লা দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর গান শুনে প্রায় সকল দর্শকই কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন।

  • অমূল্য শাহ

    অমূল্য শাহ বা আমির আলী (জন্ম:১৮৭৯ - মৃত্যু:১৯৫২) ছিলেন লালন শাহ এর বাউল ধারার পরবর্তী প্রজন্মের অন্যতম প্রধান বাউল। তার পারিবারিক নাম আমির আলী হলেও তরুণ বয়স হতেই তিনি অমূল্য শাহ নামে পরিচিতি পাওয়ায় সে নামেই সকল প্রচার, প্রকাশনায় ও সমাজে পরিচিত। মূল নামে তার পরিচয় নাই বল্লেই চলে।

  • পাগলা কানাই

    পাগলা কানাই বা কানাই শেখ (Pagla Kanai) (জন্ম: ৮ মার্চ ১৮০৯-মৃত্যু: ১২ জুলাই ১৮৮৯) আধ্যাত্নিক চিন্তা চেতনার সাধক-অসংখ্য দেহতত্ত্ব, জারি, বাউল, মারফতি, ধূয়া, মুর্শিদি গানের স্রষ্টা।

  • তোমারে না দেখলে আমার ঘরে রয় না মন রে

    তুই আমার জীবন রে বন্ধু তুই আমার জীবন

    তোমারে না দেখলে আমার ঘরে রয় না মন রে
    তুই আমার জীবন রে বন্ধু তুই আমার জীবন।।

  • কি সুন্দর এক গানের পাখি

    মন নিয়া সে খেলা করে

    কি সুন্দর এক গানের পাখি
    মন নিয়া সে খেলা করে।।

  • সোনার মান গেল রে ভাই

    বেঙ্গা এক পিতলের কাছে

    সোনার মান গেল রে ভাই
    বেঙ্গা এক পিতলের কাছে।
    শাল পটকের কপালের ফের
    কুষ্টার বোনাতে দেশ জুড়েছে।।

  • ভাঙল কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্‌ এর তিরোধান দিবসের ৩ দিনের অনুষ্ঠান

    কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় সাঙ্গ হলো বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র ১২৯তম তিরোধান দিবস অনুষ্ঠান। “বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে” বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র এই আধ্যাত্মিক বানীর শ্লোগানে ১২৯তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালী ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে চলা তিনদিন ব্যাপী লালন স্বরনোৎসব শেষ হয়েছে।

  • লালন সাঁইজীর সঠিক দর্শন ছেড়ে অনেকেই এখন ভুল ব্যাখ্যা দিতে তৎপর !

    আজ থেকে ১২৯ বছরের ব্যবধানে সেই সময়ের মরমী সাধক বাবা লালন সাঁইজীর সঠিক দর্শন, দিক নিদের্শনা, শিক্ষা, পোশাক-পরিধান ও আদব-আচারণ না জেনে এখন ভুল ও মনগড়া ব্যাখ্যা দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে কিছু অসাধু ব্যক্তিগণ! অনেকেই লালন সাঁইজীর সঠিক আদর্শকে ধারণ না করে মনগড়া ব্যাখ্যা প্রকাশের পাশাপাশি নিজেরা পোশাকধারণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছেন।এই কথা জানালেন, ভারতের হুগলী থেকে আগত নব্বই বছরের বেশী বয়সী এক লালন প্রেমী।

  • যদি কাঁদিবার তরে পাঠালে সংসারে

    মুছায়ে দিও নয়ন বারি

    যদি কাঁদিবার তরে পাঠালে সংসারে
    মুছায়ে দিও নয়ন বারি।

  • আছে শ্যাম অঙ্গে রাই অঙ্গ হেলিয়া লো

    ও কীরূপ দেখি নয়ন মুদিয়া লো

    আছে শ্যাম অঙ্গে রাই অঙ্গ হেলিয়া লো
    ও কীরূপ দেখি নয়ন মুদিয়া লো।।

  • শাঁইজীর আখড়াবাড়ীতে মানুষ রতনের ভীড়

    “বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে” এই স্লোগানে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী বাউল সম্রাট মরমী সাধক ফকির লালন শাঁইজীর ১২৯তম তিরোধান (মৃত্যুবার্ষিকী) দিবসের অনুষ্ঠানমালা ও লালন গ্রামীণ মেলা। এ উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় শাঁইজীর বারামখানার আখড়া বাড়ীতে মানুষ রতনের ভীড় বাড়ছে।

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন