বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

কোয়ারেন্টাই ফ্ল্যাগ
কোয়ারেন্টাই ফ্ল্যাগ

হলুদ-কালো কোয়ারেন্টাইন ফ্লাগের ইতিহাস অনেক প্রাচীন, টিনটিনের কাহিনিতেও আছে। কোয়ারেন্টাইন একেবারেই নতুন কিছু নই। এর ইতিহাস অনেক পুরনো। আরও জানার কথা হল, কোয়ারেন্টাইনের জন্য একটি বিশেষ পতাকাও রয়েছে। নাম-- কোয়ারেন্টাই ফ্ল্যাগ (Quarantine Flag)

অনেকের কাছেই এ এক নতুন শব্দ। কারও কারও কাছে আতঙ্কেরও নাম কোয়ারেন্টাইন। কিন্তু আদৌ যে সেটা আতঙ্কের কিছু নয় তার জন্য শুধু বাংলাদেশ নই, বিশ্বব্যাপী চলছে প্রচার। তবে কোয়ারেন্টাইন একেবারেই নতুন কিছু নই। এর ইতিহাস অনেক পুরনো।

হলুদ আর কালো রঙের এই পতাকা একটা সময়ে জাহাজে ওড়ানো হত। যা দিয়ে বোঝানো হত, ওই জাহাজে সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন অসুখে আক্রান্ত যাত্রী রয়েছে। জাহাজে কোয়ারেন্টাইন-এর কথা রয়েছে জনপ্রিয় টিনটিন কাহিনিতেও।

পাঠকদের মনে পড়তে পারে টিনটিনের সেই কাহিনির কথা। ‘সূর্যদেবের বন্দি’ কাহিনিতেও বিচ্ছিন্ন করে রাখা জাহাজের মাথায় দেখা গিয়েছিল এমন হলুদ-কালো পতাকাই। তা ছিল কোয়ারেন্টাইনেরই সংকেত।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যাও যেমন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাটাও অনেক। জনমনে এখন একটাই আতঙ্কের নাম এই করোনাভাইরাস। সেই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

কোয়ারেন্টাইনের মানে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পৃথক থাকা। তবে কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে, সেই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেওয়া হল। যদি কারও কোভিড-১৯ এর উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে এবং ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলা হয়। মূলত কোয়ারেন্টাইন মানে বাড়িতে বা বদ্ধ ঘরে থেকে অথবা সম্পূর্ণ নিরাপদ স্থানে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কায় আলাদা করে রাখাই হল কোয়ারেন্টাইন। আর সেই বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার প্রতীকই হল এই হলুদ-কালো পতাকা। অনেক আগে কোনও জাহাজকে কায়ারেন্টাইনে রাখা হলে কেবল হলুদ পতাকা ‘কিউবেক’ ফ্ল্যাগ ওড়ানো হত। পরে তা বদলে হয়ে যায় হলুদ-কালো পতাকা। ‘লিমা’ ফ্ল্যাগ। কোনও জাহাজে এই পতাকা উড়তে দেখলেই বোঝা যায়, জাহাজটিকে জীবাণু সংক্রমণের কারণে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। মহামারী রুখতেই এই নিয়ম চালু হয়। সেই সময়ে অবশ্য কোয়ারেন্টাইন মানে ছিল ৪০ দিন বন্দি থাকার নিয়ম।

তবে এমন পতাকাই যে কোয়ারেন্টাইনের জন্য একমাত্র ব্যবহৃত হয় তা অবশ্য নয়। শুধুই হলুদ, সবুজ এমনকী কালো পতাকাকেও সংক্রমিত জাহাজকে কোয়ারেন্টাইন করার প্রতীক হিসেবে অতীতে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হলুদ ও কালোর মিশ্রনে তৈরি ফ্ল্যাগ। এটাকে ‘লিমা ফ্ল্যাগ’ ও বলা হয়। আবার শুধু ‘ইয়েলো ফ্ল্যাগ’ নামেও ডাকার চল রয়েছে। মনে করা হয় ‘ইয়েলো ফিভার’ থেকেই ‘ইয়েলো ফ্ল্যাগ’-এর প্রচলন হয়।

Add comment

সম্পর্কিত তথ্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
We use cookies

We use cookies on our website. Some of them are essential for the operation of the site, while others help us to improve this site and the user experience (tracking cookies). You can decide for yourself whether you want to allow cookies or not. Please note that if you reject them, you may not be able to use all the functionalities of the site.