কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে।
-
লালন দর্শন
লালনের গানে মানুষ ও তার সমাজই ছিল মুখ্য। লালন বিশ্বাস করতেন সকল মানুষের মাঝে বাস করে এক মনের মানুষ। তিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে মানবতাবাদকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। তার বহু গানে এই মনের মানুষের প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করতেন মনের মানুষের কোন ধর্ম, জাত, বর্ণ, লিঙ্গ, কূল নেই।
-
আজীবন সংগ্রামী সৈনিক শ্রমিক নেতা কমরেড জসিম মন্ডল
কমরেড জসিম উদ্দিন মণ্ডল (জন্মঃ ১৯২২ইং মৃত্যুঃ ২ অক্টোবর, ২০১৭ইং) অগ্নী-যুগের বিপ্লবী আজীবন সংগ্রামী শ্রমিক নেতা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সন্তান এবং ঈশ্বরদী টেংরীর মুক্তি মোড়ের বাসিন্দা অনলবর্ষী বক্তা, শোষিত-নিপীড়িত, বঞ্চিত শ্রমজীবি মেহনতি মানুষের নেতা কমরেড জসিম উদ্দিন মন্ডল।
-
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাঁইজীর ১২৭তম তিরোধান দিবস
127th Departure Day Of Fakir Lalon Shah
তিনি ১লা কার্ত্তিক ১২৯৭ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৭ অক্টোবর ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান এবং তিনি বেঁচে ছিলেন ১১৬ বছর।
-
স্মৃতির মিছিলে হাতড়ে বেড়াই আব্দুল জব্বারকে
বাংলা গানের কিংবদন্তি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে সংগীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তার একমাত্র অ্যালবামের গীতিকার আমিরুল ইসলাম। আমিরুল ইসলাম বর্তমান সময়ের একজন সৃষ্টিশীল গীতিকার। ১৯৭৯ সালের ১৫ই নভেম্বর লালনের চারণভূমি কুষ্টিয়ায়। পদ্মা গড়াই বিধৌত কুষ্টিয়ার শ্যামল স্নিগ্ধ প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা আমিরুল ইসলাম ছেলেবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি ভীষণ টান ও ভালবাসা অনুভব করতেন।
-
শিশু সংগঠক, লেখক ও সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাই
রোকনুজ্জামান খান (জন্মঃ ৯ এপ্রিল, ১৯২৫ - মৃত্যুঃ ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংগঠক ছিলেন। দাদাভাই নামেই সম্যক পরিচিত ছিলেন তিনি। ছেলেবুড়ো সবার প্রিয় দাদা ভাই রোকনুজ্জামান খান ১৯২৫ সালের ০৯ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় সাহিত্য-সংস্কৃতিসমৃদ্ধ একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং অনুরূপ পরিমন্ডলেই তাঁর জীবন অতিবাহিত হয় ৷ দাদাভাইয়ের আসল বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভবানীপুর গ্রামে।
-
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং কুষ্টিয়া
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বা মির্জা মুহাম্মাদ সিরাজ-উদ-দৌলা ( জন্ম: ১৭৩২ - মৃত্যু: ৩রা জুলাই ১৭৫৭) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব। পলাশীর যুদ্ধে তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে প্রায় ২০০ বছরের ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়।
-
আমি এক পতিতার প্রেমিক
দুঃখে অনলে পুড়ে হয়েছি ভবহারা পথিক
আমি এক পতিতার প্রেমিক
দুঃখে অনলে পুড়ে হয়েছি ভবহারা পথিক।। -
রায় বাহাদুর জলধর সেন
জলধর সেন (১৩ মার্চ ১৮৬১ - ১৫ মার্চ ১৯৩৯) সাহিত্যিক, সাংবাদিক, পর্যটক। ১৮৬০ সালের ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি গ্রামে তাঁর জন্ম। বঙ্গবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাপ্তাহিক গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তাঁর শিক্ষাগুরু।
-
সাহিত্যিক মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা
মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা (জন্মঃ ১৬-১২-১৯০৬ মৃত্যুঃ ০২-০৫-১৯৭৭) সাহিত্যিক। তাঁর পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার নিয়ামত বাড়ী গ্রামে। জন্ম পাবনায়, পিতা খানবাহাদুর মোহাম্মদ সোলায়মান ছিলেন একজন বিভাগীয় স্কুল পরিদর্শক এবং মা সৈয়দা রাহাতুননেসা খাতুন ছিলেন সাহিত্য ও সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগী। ছয় বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মাহমুদা ছিলেন দ্বিতীয়। কৈশোরে রচিত কবিতা ও রূপকথায় তাঁর নাম পাওয়া যায় শ্রী রকিবননেছা মহম্মদা খাতুন। তাছাড়া সে সময়ে তাঁর ডাক নাম ছিল বাতাসী।
-
এডভোকেট বদরুদ্দোজা গামা
এডভোকেট বদরুদ্দোজা গামা (জন্মঃ ১৯৩৭, মৃত্যুঃ ২৯ জুলাই ২০১৭) তিনি ছিলেন কুষ্টিয়ার প্রবীণ অভিবাবক। অনেকগুলো পরিচয় অর্জন করেছিলেন এই ছোট্র জীবনে। মোটা দাগে যেমন সংসদ সদস্য, পৌর পিতা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সমাজবিদ।
-
নতুন সূর্য লিপি - আজিজুর রহমান
রবিবার ১৮ই পৌষ, ১৩৭৭ দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকা।
-
কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান দীপু মাহমুদ পেলেন সেরা শিশু সাহিত্যিকের পুরস্কার
দীপু মাহমুদ জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ মে। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে চুয়াডাঙ্গা জেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা স্নেহময়ী কালিশংকরপুর কুষ্টিয়া।
-
নাট্যকার মাসুম রেজা
মাসুম রেজা জন্মগ্রহণ করেন ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৩ কোর্টপাড়া কুষ্টিয়া। তিনি একজন বাংলাদেশী নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্য নির্দেশক। তিনি তার টেলিভিশন ধারাবাহিক রঙের মানুষ (২০০৩-০৪) এর চিত্রনাট্যের জন্য বেশি পরিচিত। এই ধারাবাহিকের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নাট্যকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।
-
গীতিকার আমিরুল ইসলাম
শিশু অভিনয় শিল্পী হিসেবে চৌড়হাস মুকুল সংঘ স্কুল থিয়েটার থেকে যাত্রা শুরু আমিরুল ইসলামের। এরপর রাসেল স্মৃতি সংসদ, নুপুর, বোধন, পরিমল থিয়েটারসহ কুষ্টিয়ার সবগুলো থিয়েটারেই কমবেশি অবদান আছে তাঁর। সেই সাথে সমান গতিতে চলেছে লালনের মাজার কেন্দ্রিক বাউল গানের চর্চা।
-
মোহিনী মোহন চক্রবর্তী আঠার টাকার এক কেরানী থেকে বিচারপতি এবং শিল্পপতি
সেই সময়ের নদীয়া এবং এখনকার কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি সর্ব কালেই এক অভিন্ন ও স্বতন্ত্র ধারার পরিচয়ে পরিচিত। রাজনীতি থেকে সমাজ ব্যবস্থা, প্রশাসনিক বিন্যাস থেকে সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অর্থনৈতিক স্তর যেন সব কিছুতেই অন্যসব এলাকার সাথে বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য ছিল। কুমারখালিতে জল যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল। এক সময়ের গৌড় বা এখনকার গড়াই নদীর তীর ঘেষা, আবার পদ্মা নদীর তীরবর্তী হওয়াতে এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে তেমন চেষ্টা করতে হয় নাই। ১৮৫৭ সালে কুমারখালি প্রথম মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।
-
কাঙ্গাল হরিনাথ ও কালান্তরের ইতিহ ভাবনা
বাঙলা এবং বাঙালির অস্তিত্ব সৃষ্টির পর হতে নানা কারনে বাঙালির জীবন কখনও গৌরবের আবার কখনও বিষাদের। মহাকালের পরিক্রমায় কিছু কিছু সময় ও সূচীর ঘটনা সমূহ আমাদের জীবনকে বিশেষভাবে সীলমোহর দিয়ে আবদ্ধ করে রেখেছে। যে কারনে আমরা কখনও কাঁন্না করি, আবার কখনও হাসি। কখনও উদ্ভাস বা উদ্বেলিত হয়, আবার কখনও নিস্তব্ধ হয়।
-
হাটশ হরিপুর কুষ্টিয়ার অন্যতম একটি গ্রাম
হাটশ হরিপুর কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম। এই গ্রামে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পপতি, প্রকৌশলী, পীর-দরবেশ, বাউল এবং অসংখ্য গুণী মানুষের জন্মস্থান। কুষ্টিয়া শহরে ব্যবসায়িক উন্নয়নে হরিপুরবাসী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ঘুম থেকে উঠেই কাজের জন্য চলে আসেন কুষ্টিয়া শহরে সারাদিন কর্ম-ব্যস্ত সময় পার করে সন্ধ্যায় ফিরে যান আপন নীড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন আগামীতে উপশহর হিসেবে পরিচিত লাভ করবে এই হাটস হরিপুর ইউনিয়ন।
-
আল্লারদর্গা নামকরণের ইতিহাস
আল্লারদর্গা কথাটি শুনলেই মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি জাগে যে, নিশ্চয় আল্লারর্দগায় কোন মাজার বা দরগা আছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আল্লারদর্গাতে এ ধরণের তেমন কোন মাজার বা দরগা নেই। তবে আল্লারদর্গা নাম করণের ইতিহাস রয়েছে চমকপদ ঘটনা। আল্লারদর্গা নামকরণের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে লোক মুখে পাওয়া গেছে, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে বৃটিশ শাসন আমলে ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে আসা একটি পরিবার কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নে মিরপুর নামক গ্রামে কয়েকটি তালুক নিয়ে বসবাস করতেন। ঐ পরিবারটির কর্তা ছিলেন ছুটি মন্ডল, তাহার ছিল পাঁচটি সন্তান মিলন, আলম, চাঁদ, সুবাদ ও ফতাব মন্ডল।
-
কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্, গগন হরকরা, কালজয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, ওহাবী আন্দোলনের অগ্রপথিক কাজী মিয়াজান এর মত বিদগ্ধ মানুষের পদচারণায় ধন্য পদ্মা-গড়াই বিধৌত সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার জনপদ।
-
কুষ্টিয়ার মোহিনী মিল
মানুষের মৌলিক অধিকারের অন্যতম হলো বস্ত্র। শীতাতপ ও লজ্জা নিবারণের জন্যই মানুষ গড়ে তোলে বস্ত্রশিল্প। হস্তচাালিত তাঁতবস্ত্র এক সময় এদেশের গণচাহিদা মেটাতো। সে সময়ে গড়ে উঠেছিল বাঙালির সুতি বস্ত্রের শিল্প গৌরব। ঔপনিবেশিক কালে যান্ত্রিক তাঁতশিল্প এসে সেই স্থান জবরদখল করে বসলো। গড়ে উঠলো কল-কারখানা।
পাতা 7 এর 17