
আমাদের ঐতিহ্য
বাংলার বিশ্ব ঐতিহ্য বা বাঙালীর বিশ্ব ঐতিহ্য বা বাংলা অঞ্চলের বিশ্ব ঐতিহ্য বলতে মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অর্থাৎ সমগ্র বাংলা অঞ্চলের যেসকল স্থাপত্য-স্থাপনা, এলাকা ও সংস্কৃতি জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে সীকৃত সেসবকে বোঝায়। বর্তমানে বাংলা অঞ্চলে মোট ৭টি বিশ্ব ঐতিহ্য রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি সংস্কৃতিভিত্তিক (বাউল সঙ্গীত,মঙ্গল শোভাযাত্রা ও কলকাতার দুর্গাপূজা), ২টি স্থাপত্যভিত্তিক (ষাট গম্বুজ মসজিদ ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার), ১টি প্রাকৃতিক (সুন্দরবন) ও ১টি প্রযুক্তিগত (দার্জিলিং হিমালয়ান রেল) বিশ্ব ঐতিহ্য।
বর্তমানে বাংলা অঞ্চলের ৭টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে এককভাবে ৪টি বাংলাদেশে ও ২টি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় অঞ্চলেই অবস্থিত। বাংলাদেশের পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার এবং বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ - এ দুটি ঐতিহাসিক স্থান স্থাপত্যের ভিত্তিতে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রা, বাংলা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত বাউল সঙ্গীত এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার দূর্গাপূজা।প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য হলো বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন।
এছাড়া প্রযুক্তিগত বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে রয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল। এছাড়া মহাস্থানগড়, লালমাই-ময়নামতি, লালবাগ কেল্লা, হলুদ বিহার এবং জগদ্দল বিহার - এই পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে (২০২২ পর্যন্ত)। তদুপরি সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।বাংলাদেশে এককভাবে ৪টি বিশ্ব ঐতিহ্য হলো ষাট গম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বাউল সঙ্গীত ও মঙ্গল শোভাযাত্রা। পশ্চিমবঙ্গে এককভাবে ২টি ইউনেস্কো সীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য হলো দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এবং কলকাতার দুর্গাপূজা। সুন্দরবন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় অঞ্চলেই অবস্থিত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2565
বাংলা ভাষাভাষীদের অনেক ধরনের গান শুনে অভ্যস্ত। বিশেষ করে বাংলা, হিন্দি, উর্দু, আরবি, ফারসি, ইংরেজি প্রভৃতি। তবে বাংলার মানুষের প্রাণে সবার উপরে যে গান জয় করেছে, সেটা হলো বাউল গান। এক কথায় বাংলার প্রাণ বাউলের গান।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 1986
বাউল মতবাদকে একটি মানস পুরাণ বলা হয়। দেহের আধারে যে চেতনা বিরাজ করছে, সে-ই আত্মা। এই আত্মার খোঁজ বা সন্ধানই হচ্ছে বাউল মতবাদের প্রধান লক্ষ্য। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে একে পৃথক দর্শন বুঝায়। কিন্তু আসলে এ কোন পৃথক মতবাদ নয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2768
বাংলা গানের কিংবদন্তি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে মহান এই শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তাঁর একমাত্র অ্যালবামের গীতিকার মোঃ আমিরুল ইসলাম।
নন্দিত সঙ্গীত শিল্পী মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার হলেন বাংলা সঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ, বাংলা গানের কিংবদন্তি। তাঁর মাতাল কণ্ঠের মাদকতায় মোহাবিষ্ট হত অসংখ্য দর্শক-শ্রোতা। তাঁর হাত ধরে বাংলা গান পেয়েছিল পূর্ণতা, পৌঁছেছিল অনন্য এক উচ্চতায়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2657
পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বঙ্গাব্দের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 3193
দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ অঞ্চলের স্থানীয় ভাষা, এই অঞ্চলটি বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত। এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, অসমরাজ্যের বরাক উপত্যকা এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জেও বাংলা ভাষাতে কথা বলা হয়। এই ভাষার লিপি হল বাংলা লিপি। এই অঞ্চলের প্রায় বাইশ কোটি স্থানীয় মানুষের ও পৃথিবীর মোট ৩০ কোটি মানুষের ভাষা হওয়ায়, এই ভাষা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত ভাষাগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত, এবং ভারতের জাতীয় স্তোত্র এই ভাষাতেই রচিত এবং তা থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় এই ভাষার গুরুত্ব বোঝা যায়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 3497
বাঙালি জাতির ইতিহাসের বাংলায় বসবাসকারী অন্য যেকোনো সম্প্রদায়ের চেয়ে জাতীয় জীবনে অবদানের ক্ষেত্রে মুসলমানরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষাকে বাঙালি জাতির ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাদের বীরোচিত ভূমিকার কোনো তুলনা হয় না।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2302
ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন'স ডে একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত হয়। দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকে, যদিও অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2951
বাংলা গানের কিংবদন্তি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে সংগীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তার একমাত্র অ্যালবামের গীতিকার আমিরুল ইসলাম। আমিরুল ইসলাম বর্তমান সময়ের একজন সৃষ্টিশীল গীতিকার। ১৯৭৯ সালের ১৫ই নভেম্বর লালনের চারণভূমি কুষ্টিয়ায়। পদ্মা গড়াই বিধৌত কুষ্টিয়ার শ্যামল স্নিগ্ধ প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা আমিরুল ইসলাম ছেলেবেলা থেকে সঙ্গীতের প্রতি ভীষণ টান ও ভালবাসা অনুভব করতেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 4168
রোকনুজ্জামান খান (জন্মঃ ৯ এপ্রিল, ১৯২৫ - মৃত্যুঃ ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক ও সংগঠক ছিলেন। দাদাভাই নামেই সম্যক পরিচিত ছিলেন তিনি। ছেলেবুড়ো সবার প্রিয় দাদা ভাই রোকনুজ্জামান খান ১৯২৫ সালের ০৯ এপ্রিল রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় সাহিত্য-সংস্কৃতিসমৃদ্ধ একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং অনুরূপ পরিমন্ডলেই তাঁর জীবন অতিবাহিত হয় ৷ দাদাভাইয়ের আসল বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভবানীপুর গ্রামে।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 5511
নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বা মির্জা মুহাম্মাদ সিরাজ-উদ-দৌলা ( জন্ম: ১৭৩২ - মৃত্যু: ৩রা জুলাই ১৭৫৭) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব। পলাশীর যুদ্ধে তাঁর পরাজয় ও মৃত্যুর পরই ভারতবর্ষে প্রায় ২০০ বছরের ইংরেজ-শাসনের সূচনা হয়।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2900
দীপু মাহমুদ জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ মে। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে চুয়াডাঙ্গা জেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা স্নেহময়ী কালিশংকরপুর কুষ্টিয়া।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 2593
মাসুম রেজা জন্মগ্রহণ করেন ২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৩ কোর্টপাড়া কুষ্টিয়া। তিনি একজন বাংলাদেশী নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, নাট্য নির্দেশক। তিনি তার টেলিভিশন ধারাবাহিক রঙের মানুষ (২০০৩-০৪) এর চিত্রনাট্যের জন্য বেশি পরিচিত। এই ধারাবাহিকের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নাট্যকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 3353
শিশু অভিনয় শিল্পী হিসেবে চৌড়হাস মুকুল সংঘ স্কুল থিয়েটার থেকে যাত্রা শুরু আমিরুল ইসলামের। এরপর রাসেল স্মৃতি সংসদ, নুপুর, বোধন, পরিমল থিয়েটারসহ কুষ্টিয়ার সবগুলো থিয়েটারেই কমবেশি অবদান আছে তাঁর। সেই সাথে সমান গতিতে চলেছে লালনের মাজার কেন্দ্রিক বাউল গানের চর্চা।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 4130
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্, গগন হরকরা, কালজয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, ওহাবী আন্দোলনের অগ্রপথিক কাজী মিয়াজান এর মত বিদগ্ধ মানুষের পদচারণায় ধন্য পদ্মা-গড়াই বিধৌত সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার জনপদ।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 7419
মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার ( জন্মঃ ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮ - মৃত্যুঃ ৩০ আগস্ট, ২০১৭) একজন বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী। আব্দুল জব্বার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত "সালাম সালাম হাজার সালাম", "জয় বাংলা বাংলার জয়" সহ এরকম আরো অনেক উদ্বুদ্ধকরণ গানের গায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 5204
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেশবরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী মোঃ আব্দুল জব্বারের মৌলিক গানের অ্যালবাম ‘কোথায় আমার নীল দরিয়া’ সম্প্রতি অনলাইনে মুক্তি পেয়েছে। অ্যালবামটিতে ৯টি গান আছে। গানগুলো লিখেছেন মোঃ আমিরুল ইসলাম। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন গোলাম সারোয়ার।

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 3701
সাহিত্যে আধুনিকতা বলতে সাম্প্রতিক রচিত, পূর্ব যুগের সৃষ্ট থেকে আলাদা, নতুন আবেদনে ভরপুর এবং সমসাময়িক কালের ভাবনায় উদ্দীপ্ত সৃজনশীল রচনাবলীর যথার্থ প্রকৃতিকে বুঝায়। এই প্রকৃতি বিচারে ‘সাহিত্যকে আধুনিক অভিধায় চিহ্নিত করা যায় তখন, যখন কোন অন্তর্নিহিত মূল্যবোধের প্রকাশে সে সাহিত্য পূর্ব যুগের সাহিত্য থেকে পৃথক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সাহিত্যের মেজাজ এবং স্বাদ যেমন নতুন, তেমনী সমসাময়িক যুগ-প্রবৃত্তির পরিচয় ওঠে সেখানে প্রকট হয়ে।’

- বিস্তারিত
- লিখেছেন সালেক উদ্দিন শেখ
- ক্যাটfগরি: আমাদের ঐতিহ্য
- পঠিত হয়েছেঃ 4478
যে কোন জীবন-সচেতন কবি সমাজ-মানস ও জাতীয় সংস্কৃতি- ক্ষেত্রে এমন এক অবদান রেখে যান, যা উত্তরকালের দেশ ও দশের কল্যাণকর জ্ঞানালোকের সন্ধান দেন। সে কারণে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তাঁর কাব্য-চিন্তার বিচার-বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরী হয়ে ওঠে। কেননা সাহিত্য আজকের জন্য যতটা উপযোগী, আগামী দিনের জন্য তার উপযোগীতা তার চেয়ে আরো বেশি। আর সে সাহিত্য যদি মানব-মনের পরমতত্ত্ব-জিজ্ঞাসার ভিত্তিতে রচিত হয় এবং তা যদি মানবিক আবেদনে ভরপুর থাকে, তাহলে কাল থেকে কালান্তরে তার দূর্বার গতি কেউ রোধ করতে পারে না। কবি পাঞ্জু শাহের কাব্য-অবদান সম্পর্কেও একথাটি বিশেষভাবে স্মরণীয়।