বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

দৌলতপুর ইতিহাস
দৌলতপুর ইতিহাস

Doulotpur History

দৌলতপুর বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি কুষ্টিয়ার শেষ উপজেলা ভারতের পাসে অবস্থিত।

দৌলতপুর উপজেলা কুষ্টিয়া জেলার অধীনে একটি উপজেলা। দৌলতপুর উপজেলার আয়তন ৪৬১বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে বাঘা ও লালপুর, দক্ষিণে গাংনী ও মিরপুর, পুর্বে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মাথাভাঙ্গা এবং পদ্মা এই উপজেলার প্রধান নদী। এছাড়া হিসনা নামের আরো একটি নদী দৌলতপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

১৯৮৩ সালে দৌলতপুর থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করা হয়। দৌলতপুর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন, ১৬১টি মৌজা ও ২৪২টি গ্রাম রয়েছে।

২০০১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারী অনুযায়ী দৌলতপুর উপজেলার জনসংখ্যা ৪,৪৩,৯৬০ জন। এর মধ্যে ৫১.৪২ শতাংশ পুরুষ ও বাকী ৪৮.৫৮ শতাংশ নারী। উপজেলার আঠারোর্ধ জনসংখ্যা ১,৭৮,৫৩৯ জন। এখানকার শিক্ষিতের হার ২০.৫% (৭+ বছর বয়সী) যেখানে জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষিতের হার ৩২.৪%। মোট জনসংখ্যার ৯৯.২৮% মুসলিম ও ০.৭২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এখানে ১৬০ টি মসজিদ , ১ টি মন্দির ও ১ টি গির্জা রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলার শিক্ষিতের হার ২০.৫%; যার মধ্যে ২৫% পুরুষ ও ১৫.৭% মহিলা। এই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মহাবিদ্যালয়ঃ ১১ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৪৫ টি, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ১০৫ টি, বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৮২ টি, মাদ্রাসাঃ ৩৫ টি, ভকেশনাল প্রশিক্ষন কেন্দ্রঃ ১ টি এবং এতিমখানাঃ ১ টি|

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: প্রাগপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্থাপিতঃ ১৯০৫), বাগোয়ান ক্ষিরোদচন্দ্র বিদ্যানিকেতন এবং খাস মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় (স্থাপিতঃ ১৯৪৮)

মুক্তিযুদ্ধে দৌলতপুরঃ ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর দৌলতপুরে মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর মধ্যে একটি লড়াই সংঘটিত হয়। এতে বহু লোক হতাহত হয়। দৌলতপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ৬টি গণকবর রয়েছে। এছাড়া এখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে একটি সৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। দৌলতপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নামে ১০ টি রাস্তার নামকরন করা হয়েছে।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনাঃআল্লার দর্গার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমূহ, ক্রফোর্ড নগরের বাধ, পদ্মা নদীর পাড়, প্রাগপুর স্থল বন্দর দেখার মত স্থান এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত।

কৃতী ব্যক্তিত্বঃ

  • শাহ আজিজুর রহমান: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শাহ আজিজুর রহমান কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলাই জন্মগ্রহণ করেন।
  • প্রকৌশলী খিজির খান: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(পিডিবি) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রকৌশলী খিজির খান দৌলতপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

অর্থনীতিঃ এই উপজেলা যেমন কৃষিতে এগিয়ে তেমনি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অনেক উন্নত। এখানে বিশ্বাস পরিবাবের বেশ কয়েক টি বড় শিল্প প্রতিষ্টান আছে, যেমনঃ নাসির টোব্যাকো ইন্ডাষ্টিজ, নাসির বিড়ি, নাসির সিগারেট, রকেট ম্যাচ,২ স্টার ম্যাচ, বায়েজিত অ্যাটো রাইচ মিল ইত্যাদি কল কারখানা, এখানে অনুমানিক ১ লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে প্রত্যক্ষ -পরোক্ষ ভাবে। এছাড়া অনেক ছোট ছোট কল কারখানা আছে।

কৃষিঃ দৌলতপুর উপজেলা তামাক চাষের জন্যে বিশ্ব বিখ্যাত। এখানে প্রচুর তামাক উৎপাদন হয় যা দেশের চাহিদা পুরন করে বিদেশে রপ্তানি হয়। উপজেলার দিঘলকান্দী, আমদহ, হরিণগাছি (পাইক পাড়া), পিয়ারপুর, রিফাইতপুর এলাকায় শতকরা ৯৯.৯৯ ভাগ জমিতে তামাক চাষ হয়। এছাড়া তারাগুনি মাথরাপুর এলাকায় প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়, যা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে ঢাকাসহ দেশের অন্যে এলাকায় পাঠানো হয়।

নদ-নদীঃ দৌলতপুর উপজেলায় ২টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পদ্মা নদী ও মাথাভাঙ্গা নদী। এছাড়া হিশনা-ঝাঞ্চা নদী নামের আরো একটি নদী দৌলতপুর উপজেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

Comments  
IT SHOULD BE TAKE THE NAME OF FAMOUS HISTORIAN S.M. SHAWKAT ALI THE AUTHOR OF KUSHTIAR ETIHASH.
Amr dada bari. Nana. Bari. Sob akhane..valo lage. daulatpur. Er kono. Khobor. Dekhle
Itihas jene onek valo laglo.
Add comment

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন