বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে পতাকা উত্তোলন ও সাধীনতার ইস্তেহার পাঠের দৃশ্য।
১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে পতাকা উত্তোলন ও সাধীনতার ইস্তেহার পাঠের দৃশ্য।

মুক্তিসংগ্রামী ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম :
মুক্তিযুদ্ধের সংকটপুর্ন সময়ে ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলামের ভুমিকা ছিলো গৌরবময়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও এর পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার অন্তর্গত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে সরকারের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের সকল আয়োজনের দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছিলো ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলামকে। সে থেকে বাংলাদেশের রাজধানী 'মুজিবনগর ' বলে খ্যাত হলো দেশে বিদেশে।

এমনি ভাবে কুষ্টিয়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী হবার গৌরব অর্জন করেছিলো। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী করে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলামের গৌরবময় ভুমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপুর্ন। এ সময়ে তিনি প্রধান মন্ত্রীর প্রধান সহায়ক নিযুক্ত হন। এই দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে স্বীকৃতির জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পত্র প্রেরন করার ব্যবস্থা করেন তিনি। সে সময় বাংলাদেশের কোন আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না থাকায় আন্তর্জাতিক পত্র যোগাযোগ প্রায় অসাধ্য ছিলো। তাই পুর্ব জার্মানির সৌজন্যে সেগুলো প্রেরণ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠায় জনাব তাজউদ্দীনকে সাথে নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে দিল্লি এবং শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সাথে আলোচনা ও মুজিবনগরে সরকার গঠন করে একজন সুদক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি জাতির কাছে তার স্থান করে নেন। এ সময়ে তার ব্যক্তিগত বন্ধু ও আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গকে তিনি মুজিবনগর আমন্ত্রিত করে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা অবহিত করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও লেবার পার্টির নেতা মি.পিটার শোর, এম.পি. মি. জন হার্ডলষ্টোল, এম,পি ডোনাল্ড চেসওয়ার্থ, মাইকেল বার্নস, ডগলাস ম্যান, ফাদার হার্ডলষ্টোল প্রমুখ। এই নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও বাংলাদেশের গনহত্যার অবসান ও বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য সমগ্র যুক্তরাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে বৃটিশ পার্লামেন্টে প্রস্তাব গৃহীত হয়। এই ব্যক্তিগত বন্ধুদের মাধ্যমে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলামের অনুরোধ পৌছে যায় সকল বৃটিশ জনপ্রতিনিধির কাছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে দুই শতাধিক এম,পির সাক্ষর সম্বলিত আবেদন পত্র প্রকাশ পায়, লন্ডন টাইমস, ডেইলি টেলিগ্রাফ, সহ যুক্তরাজ্যর প্রায় সকল প্রধান দৈনিকে। মুক্তিবাহিনীর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয় এবং আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনে বৈদেশিক সাহায্য সংগ্রহ সে সময় অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলো। এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম আসাধারন সাফল্য দেখিয়েছিল। তিনি তার বন্ধু বৃটিশ এম,পি জন ষ্টোনহাউসের সহায়তায় প্রখ্যাত শিল্পী বিমান মল্লিককে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত ডাকটিকেটের ডিজাইন তৈরি করান। এই পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম অসামান্য মেধা ও অমুল্য শ্রম দিয়েছিলেন।

১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে পতাকা উত্তোলন ও সাধীনতার ইস্তেহার পাঠের দৃশ্য

১৯৭১ সালের ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে পতাকা উত্তোলন ও সাধীনতার ইস্তেহার পাঠের দৃশ্য।

করিমপুর মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্পে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম

করিমপুর মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্পে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল-ইসলাম।

১৯৭১ সালের পহেলা আগষ্ট উত্তরাঞ্চলের জেলার অন্তর্গত মুক্তাঞ্চল পাটগ্রামে বাংলাদেশর পোষ্ট অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলামের নেতৃত্তে লন্ডনস্থ মি,ডোনাল্ড চেসওয়ার্থ সহ অস্ট্রেলিয়ান টিম সেখানে যায় এবং তাদের মাধমে অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের ডাকটিকেটের বানী প্রেরন করা হয়।

ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম বিশ্বখ্যাত "ওমেগা" টিমকে মুজিবনগর থেকে হানাদার বাহিনীর দখলকৃত এলাকায় প্রেরণ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। হানাদার বাহীনি উক্ত টিমের সদস্যদের গ্রেফতার করে এবং এই সংবাদ অতি দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম এবং পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার বিশ্ববাসী অবগত হয়। যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল পাটগ্রামে পুলিশ লাইন, পোষ্ট অফিস, থানা, কোর্ট কাচারি ইত্যাদি চালু করে বাংলাদেশ সরকার এর প্রত্যক্ষ শাসনে নিয়ে আসতে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেন ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম। তিনি প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ কে পাটগ্রাম পরিদর্শনে নিয়ে যান এবং বিদেশে প্রদর্শনের জন্য নির্মিতব্য See Bangladesh শীর্ষক বিজ্ঞাপন চিত্র, একটি আন্তর্জাতিক টুরিস্ট সেন্টার, বিমান বন্দর, পাট ও তামাক রপ্তানির কর্মসূচী ইত্যাদির পরিকল্পনা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট পেশ করেন। UNHCR প্রধান সদরউদ্দিন আগা খান যশোরের মুক্তাঞ্চল কাশীপুরে সাক্ষাৎকার দেন এবং দেশের অভ্যন্তরে গনহত্যা, ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ, ও অত্যাচার এর দৃশ্য তুলে ধরেন এবং তাকে বুঝাতে সক্ষম হন যে এই হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে দেশ মুক্ত না করতে পারলে এ রক্তক্ষয় বন্ধ হবে না এবং স্বরনার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে না। Granada Television এর Veena kewly কে মুক্তিযুদ্ধের পুর্বাঞ্চল সেক্টর এ মেজর খালেদ মোশাররফ এর সেক্টর এ পাঠিয়ে যুদ্ধের যে প্রামাণ্যচিত্র প্রেরন করেন তা বিশ্ববাসীকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপকতা ও কার্যকারীতা এবং এর বাস্তব সম্ভবনার। এমনি ভাবে প্রতিনিয়ত মুক্তিযুদ্ধাদের ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় তথ্য রসদ ও সরঞ্জামাদি পৌছাবার ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিশ্বে এখবর পৌছে দেওয়া ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ জনমত গড়ে তুলতে নয় মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য প্রচারনা :
বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের যে কোন প্রচারনায় ব্যারিস্টার এম, আমীর-উল-ইসলাম অকুন্ঠ সহযোগীতা করেছেন। যেমন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অনুমোদনক্রমে ভারতের আলোকচিত্র শিল্পী শ্রী শুক দেবের পরিচালনায় নির্মীয়মাণ তথ্যচিত্র Nine Month to Freedom এর জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে তিনি ভ্রমন করেন এবং সব যায়গাতেই বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য প্রচারনা চালান। জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভের জন্য প্রচার কার্জে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ মুখপাত্র হিসেবে নিউইয়র্কে এবং জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সদস্য পদ লাভের জন্য যুগোস্লাভিয়া, তিউনিসিয়া, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ভ্রমন করেন। জনাব ইসলাম এই সব সফর কালে মার্শাল টিটো, হাবীব বুর্গীবা, ইয়াসির আরাফাত সহ, বিশ্বনেতৃত্তের অনেকের কাছে বঙ্গবন্ধুর আহবান পৌছে দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাপক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথ সুগম করে। তিনি আলজেরিয়ায় ছোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর আগাম প্রতিনিধি হিসেবে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছিলেন। FAO সদস্যপদ লাভের জন্য তিনি রোম ভ্রমন করেন এবং সেখানে বাংলাদেশের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী রুপে জাতিসংঘের FAO ভবনে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।

  • যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য কুষ্টিয়ায় টিনের ও খড়ের ৭০০০ এবং যশোরে কমপক্ষে ৩০০০ ঘর নির্মানের ব্যবস্থা করেন।
  • যুদ্ধকালীন সময়ে অধিকতর স্বাস্থ্য সুবিধা দেওয়ার জন্য সে সময়ে তিনি দুইটি ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনা করেছেন এবং পরে তিনটি হাসপাতাল নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া আরো পাঁচটি হাসপাতাল নির্মানে ইট, সিমেন্ট ও,ঔষধ পত্র দিয়ে সহোযোগীতা করেছেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে ব্যারিস্টার এম, আমীর-উল-ইসলাম :
তরুন বয়স থেকেই রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতভাবে জড়িয়ে পড়ার পর অদ্যাবধি ব্যারিস্টার এম, আমীর-উল-ইসলাম এ পথের এক নির্ভীক পথিক। তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন১৯৬৯ সালে। পরের বছর কুষ্টিয়া, খোকসা, কুমারখালী নির্বাচনী এলাকা থেকে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে কুষ্টিয়া সদর আসন থেকে বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ এর সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ের শুরুতে তিনি সংসদীয় দলের হুইপ ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা ও সহায়ক হিসেবে কাজ করেন যুদ্ধের পুরোটা সময়।

স্বাধীনতার পর তিনি সংসদীয় দলের চিফ হুইপ নিযুক্ত হন। এছাড়া সংবিধানের খসড়া প্রনয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে সংবিধান রচনার কাজে আত্তনিয়োগ করেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তির জন্য তার নেতৃত্বে জাতিসংঘে একটি প্রতিবিধি দল পাঠানো হয় ১৯৭২ সালে। যুগোস্লাভিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভে যে প্রস্তুতি কমিটি গৃহীত হয় তার সুত্র ধরে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে। তিনি কুটনীতিক অঙ্গনেও তার সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ইত্যবসরে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র রচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম জাতির প্রতি তার ঐতিহাসিক কর্তব্য পালন করেছেন।

আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম :-
ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল-ইসলাম এ উপমহাদেশর শির্ষস্থানীয় একজন আইনজীবী। দেশের বৃহত্তর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যার আইনি সমাধানে তিনি সব সময়ে অগ্রগণ্য ভুমিকা রেখেছেন। এর পাশাপাশি নির্যাতিত ও সুবিধাবঞিত মানুষের পাশে আইনের রক্ষাকবচ নিয়ে সর্বদা উপস্থিত হয়েছেন। এ দেশের জনগনের মানবাধিকার রক্ষায় আইনগত সহায়তা নিয়ে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসা মানুষটির নাম ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম সার্ক অঞ্চলের আইনজীবীদের একমাত্র স্বীকৃত সংগঠন SAARK LAW এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, LAW ASIA এর আইন শিক্ষা কমিটির সভাপতি। এছাড়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উদ্দোগে গঠিত LEGAL EDUCATION AND TRAINING INSTITUTE এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আমেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং তারপর অনেকদিন জাতিসংঘ সদর দপ্তর এ আইন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে অসংখ্য গুরুত্তপুর্ন মামলা তিনি পরিচালিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রদের রীট মামলা থেকে শুরু করে আগরতলা মামলা, ইত্তেফাক সংবাদ বন্ধ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা, মানিক মিয়ার আটকাদেশ, ধীরেন দত্তের অন্তরিন আদেশ, শওকত আলী আটকাদেশ এর বিরুদ্ধে, ছাত্র সাংবাদিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অসংখ্য আটক ও নির্যাতন মুলক আদেশের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেন। ষাট দশকের রেলওয়ের কর্মচারীদের মামলা বিনা পয়সায় পরিচালনা করেন। তাছাড়া হাই কোর্ট বিভক্ত করে অষ্টম সংশোধনী, মাসদার হোসেন মামলার বাস্তবায়ন ও কনটেম্পট মামলা পরিচালনা করে আইনাঙ্গনে ও আইনকে জনগনের অধিকার সংরক্ষনের সব সময় সোচ্চার ও বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখে চলেছেন। আইনকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে ও অধিকার রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছেন। অন্যায় অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করে চলেছেন। ২০০১ এর পট পরিবর্তনের পর জোট সরকার এর নির্যাতন, নিপিড়ন, দেধড়ক হত্যা, ধর্ষন, মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার এম,আমীর-উল-ইসলাম 'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ ভুমিকা রাখেন দেশের মানুষ এই সম্মেলন থেকে ঘুরে দাড়াবার সাহস সঞ্চয় করেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাননাশের জন্য ২১শে আগস্ট ২০০৪ গ্রেনেড হামলা ও আইভি রহমান সহ ২৪ জনকে হত্যা তিনশতাধিক নেতা কর্মী আহত হবার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ও ইউরোপে জনমত গড়ে তোলেন। লন্ডন, জার্মানি, হলান্ড,সুইডেন বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশের পার্লামেন্ট সদস্য, মন্ত্রী সভার সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দের সাথে মত বিনিময় ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ও মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন। তিনি চার বার বাংলাদেশের বার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। দুই বার ভাইস চেয়ারম্যান এবং দীর্ঘ একযুগ ধরে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের Legal Education Committe এর চেয়ারম্যান। আইনজীবীদের পেশার মান উন্নয়নের জন্য অনেক সংস্কার ও উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি ২০০৬ - ২০০৭ সালে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

Add comment

কুষ্টিয়া সম্পর্কিত তথ্য

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন
আমরা কুকিজ ব্যবহার করি
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে কুকিজ ব্যবহার করি। তাদের মধ্যে কিছু সাইট পরিচালনার জন্য অপরিহার্য, অন্যরা আমাদের এই সাইট এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করতে সাহায্য করে (কুকিজ ট্র্যাক করা)। আপনি কুকিজকে অনুমতি দিতে চান কিনা তা আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি যদি সেগুলি প্রত্যাখ্যান করেন তবে আপনি সাইটের সমস্ত কার্যকারিতা ব্যবহার করতে পারবেন না।