জনাব মোঃ আব্দুল আওয়াল মিয়া ১৯৪৫ সালের ২৬ জানুয়ারী কুষ্টিয়া জেলার পান্টিতে জন্মগ্রহন করেন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান জনাব আঃ আওয়ালের পিতা মরহুম আলহাজ্জ্ব আব্দুল জব্বার। সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি খ্যাত। তাদের পৈত্রিক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে।
কৃতি ও মেধাবী জনাব মোঃ আব্দুল আওয়াল মিয়া পান্টি হাই স্কুল থেকে ১৯৬১ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৩ সালে কুষ্টিয়া কলেজ থেকে মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে মেধা তালিকায় ১০ম স্থান অধিকার করেন। ১৯৬৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্সসহ স্নাত্বক এবং ১৯৬৭ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৮৬ সালে এল এল বি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উপরোক্ত তিনটি পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হন দ্বিতীয় শ্রেনী পেয়ে। জনাব মোঃ আব্দুল আওয়াল মিয়া ছাত্রজীবনে প্রথমে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনে জড়িত হয়ে পড়েন এবং তদানীন্তন পুর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেন ছাত্র লীগে। তিনি উভয় ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপুর্ন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
ছাত্র থাকাকালে ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে, ১৯৬৬ এর ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন সহ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ও গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রেখেছেন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। জনাব মোঃ আব্দুল আওয়াল মিয়া পাকিস্তান আমলে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলন, ১৯৬৯ এর আইয়ুব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গনঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনবদ্য অবদান রেখেছেন।
এরশাদ বিরোধী আট বছরের লাগাতার সংগ্রামে ১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী সকল গনঅভ্যুত্থানেও তিনি দ্বায়িত্ব পালন সহ অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন। সৈরাচার পতনের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সাধারন নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করেন এবং কুষ্টিয়া ৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন।
রাজনীতির পাশাপাশি জনাব আব্দুল আওয়াল মিয়া সমাজ সেবা, সাংস্কৃতিক তৎপরতা এবং জনকল্যানমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে বিশেষ ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। রোটারী ক্লাব ধানমন্ডি ( ঢাকা ) শাখার পরিচালক জনাব আব্দুল আওয়াল মিয়া আরো অনেক সংস্থা ও সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ পদে দ্বায়িত্বে ছিলেন ও আছেন। তিনি ১৯৬২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি স্ত্রী সাহানা আওয়াল এবং দুই পুত্র, দুই কন্যা নিয়ে সুখী গৃহকোণ রচনা করেছেন। প্রথম পুত্র আব্দুস সালাম সুইডেনে শিক্ষা জীবন শেষ করেছে। দ্বিতীয় পুত্র আবু হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিনান্সে মাস্টার্স, প্রথম কন্যা তাহমিনা বিবাহিতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, কনিষ্ঠ কন্যা ঢাকায় বদরুন্নেছা কলেজ থেকে মাস্টার্স।