এ উপমহাদেশে মুসলিম আধিপত্য বিস্তারে রাজনীতি ও ধর্মের যৌথ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দেশ জয় করেন রাজা-বাদশাহ ও সৈনিকেরা। কিন্তু এ দেশের মানুষের মন জয় করেন মরমী সাধকগণ।
ভারতবর্ষের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাংলাদেশেও অসংখ্য মরমী সাধকের আগমন ঘটে। পূর্বেও এ কথা উল্লেখিত হয়েছে। এমন কি বিজয়ী রাজপুরুষদের আগমনের আগেই এদেশের মাটিতে সূফীদের দরবার গড়ে উঠে ঐতিহাসিক সুত্রে সে খবর জানা গেছে।
সূফীদের উদার নীতিতে আকৃষ্ট হয়ে প্রথমে এ দেশীয় নিম্ন শ্রেণীর লোকেরা ইসলাম গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে বহিরাগত উচ্চ শ্রেণীর মুসলমানও দেশের নানা স্থানে আবাস গড়ে তোলেন।
আরব, তুর্কী, মুঘল, ইরানী ইত্যাদি জাতির সমকালে আফগান-আগমন বাংলাদেশের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আফগানরা বংশগতভাবে আফগানিস্তানের অধিবাসী এবং “পাঠান” নামে পরিচিত। বস্তুত পাঠানরাই ঐ দেশের প্রধান জনগোষ্ঠী ও শাসক শ্রেনী।
উল্লেখ্য, মুঘল যুগে যে সমস্ত সম্ভ্রান্ত মুসলমান দিল্লির বাদশাহ-প্রদত্ত সনদবলে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারি প্রাপ্ত হন, তাঁদের অনেকে পাঠান ছিলেন। এ রূপ একটি পাঠান বংশে কবি পাঞ্জু শাহের জন্ম। তাঁর কাব্যে এ তথ্যের সপক্ষে কিছু মন্তব্য আছে। সেখান থেকে একটি চরণ উদ্ধত করা যেতে পারে। কবি বলেন –
“পাঠান কুলেতে জন্ম জানিবা আমার”।
সংক্ষিপ্ত হলেও এখানে কবির বক্তব্য স্পষ্ট। কবি-পুত্র খোন্দকার রাফিউদ্দিন এবং খোন্দকার রইচউদ্দিন এ তথ্যের সাথে একমত। সুতারাং পাঞ্জু শাহ্ যে পাঠান বংশের সন্তান ছিলেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
পাঞ্জু শাহ্ আরো তথ্য সমুহঃ-