Mr. Anwar Ali, one of the organizers of Liberation
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নিউক্লিয়াসের কুষ্টিয়ার প্রথম সদস্য জনাব আনোয়ার আলী ১৯৪৪ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভার অধীন আড়ুয়াপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মনোয়ার আলী, মাতা নুরজাহান বেগম।
আনোয়ার আলী ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে সর্বজৈষ্ঠ। তার লেখাপড়ার হাতে খড়ি নিজ গৃহে। লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সমাজ সেবায় শৈশবেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি একজন ভালো ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন। মোহিনী মোহন বিদ্যাপীঠ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। কুষ্টিয়া কলেজ থেকে আই,এ পাশ করেন।
ছাত্রজীবনে বহু আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদে ঝাপিয়ে পড়তেন। ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত এন,এস,এফ-এর বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াকু সৈনিক আনোয়ার আলী, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জেল হাজতে গিয়েছেন। ফলে রাজবাড়ী কলেজ থেকে বি,এ পাশ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ অধ্যায়নরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠকের ভুমিকা পালন করেন। নিউক্লিয়াসের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে জেল হাজতে গিয়েছেন এবং অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন।
শৈশবকাল থেকেই তিনি আদর্শবান যুবক ছিলেন। তিনি ১৯৮৯-৯১ সালে সর্বপ্রথম বিপুল ভোটে কুষ্টিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই পৌর এলাকায় অধিকাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল প্রকার অবকাঠামোর উন্নয়ন, সমাজসেবা ও জনকল্যানমুলক উন্নয়নের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৯৯৩-৯৮ মেয়াদে পুনরায় কুষ্টিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং পৌরসভার রাস্তাঘাট, ড্রেনসমুহের নির্মানসহ সুন্দর একটি শহর গড়ে তোলেন।
২০০৪ সালে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ইতিপুর্বে হরিশচন্দ্র ও মঃ আঃ রহিম দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর আনোয়ার আলী তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জনাব আনোয়ার আলী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন এবং জাতীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে তিনি নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টেগর লজ উদ্ধার করে সেখানে ওল্ড হোম গড়ে তুলেছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভাকে নিজ সন্তানের মত করে গড়ে তুলেছেন। জনাব আনোয়ার আলী কুষ্টিয়া থেকে সাপ্তাহিক পরীক্রমা পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন।