কুষ্টিয়া জেলা তথা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনসংলগ্ন কাপড়ের হাট। এখানে সপ্তাহে ৩ দিন শুক্র, শনি ও রবি হাটবার। বিকিকিনি হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকার মত।
কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, ১৯৬৮ সাল থেকে এখানে হাট বসে। প্রথম দিকে সপ্তাহে ১ দিন হাট বসলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কাপড়ের চাহিদা ও দেশী বিদেশী ক্রেতা সমাগম ঘটায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বর্তমান সময়ে সপ্তাহে ৩ দিন হাট বসে। এ হাটে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৫০০ দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সূত্র আরও জানায়, পোড়াদহ কাপড়ের হাটকে ঘিরে এখানে ইসলামী ব্যাংক, আইএফ আইসি ব্যাংক জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও বীমাসহ বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যেখানে শুধু মাত্র এখানকার ব্যবসায়ীদের সাথে আর্থিক লেনদেন করা হয়ে থাকে। ভোর থেকেই শুরু হয়ে মধ্য রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। পাশাপাশি সারাদিন কাপড়ের ট্রাক লোড হতে থাকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। পোড়াদহ কাপড়ের হাটের এক ব্যবসায়ী জানান, এ হাট দীর্ঘ দিনের। এখানে ভারতীয় বর্ডারের নিকটবর্তী হওয়ায় ও পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন থাকায় এ হাটের প্রসার ও প্রচারণা এবং এখানকার কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে।
তিনি জানান, আমার বস্ত্র বিতান থেকে সপ্তাহে ৩ দিন কয়েক কোটি টাকার কাপড় দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। প্রতিদিন স্বাভাবিক বেচাকেনা তো চলেই। আলহাজ্ব বস্ত্র বিতান এর স্বত্বাধিকারী আলহাজ জানান, এ হাটে সাধারণত শাড়ি কাপড়, থ্রি পিছ লুঙ্গি, গামছা তোয়ালে গজ ও থানের কাপড় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। বাস ট্রেনসহ বিভিন্ন যানবাহনে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় হাটের প্রসার ও পাইকারি ক্রেতার সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, এখানকার কাপড় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল. রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এ হাটের কাপড়ের যোগান আসে ভারত ও স্থানীয়ভাবে। দেশের অনেক কাপড়ের হাটের যোগান নির্ভর করে পোড়াদহ কাপড়ের হাটের উপর।
পোড়াদহের এ কাপড় হাটটি দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করলেও হাটের কোনই উন্নতি হয়নি। নেই পানি নিষ্কাষণের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। বর্ষা মওসুমে একটু বৃষ্টি হলেই হাটের মধ্যে পানি বেঁধে যায়।