বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্, গগন হরকরা, কালজয়ী ঐতিহাসিক উপন্যাস বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন, কবি আজিজুর রহমান, বিপ্লবী বাঘা যতীন, কাঙাল হরিনাথ মজুমদার, ওহাবী আন্দোলনের অগ্রপথিক কাজী মিয়াজান এর মত বিদগ্ধ মানুষের পদচারণায় ধন্য পদ্মা-গড়াই বিধৌত সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়ার জনপদ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জববার, আনোয়ার উদ্দীন খান, ওস্তাদ আঃ মোতালেব, প্রয়াত গীতিকার মাসুদ করিম, ওস্তাদ রবি রায়, ওস্তাদ ইব্রাহিম হোসেন, ওস্তাদ আঃ কাদের, নার্গিস পারভীন, ফরিদা পারভীন, কন্ঠশিল্পী চন্দনা মজুমদার, খালিদ হোসেন, তিমির নন্দী, সুফিয়া মনোয়ার, মিল্টন খন্দকার, রতন খন্দকার ও এস.আই টুটুলসহ অনেক খ্যাতিমান শিল্পী বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়াও বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের সঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে বাউল শিল্পী মৃত- মকছেদ আলী সাঁই, মোহিন শাহ্, খোদা বখশ্ শাহ্, আঃ করিম শাহের অবদান অপরিসীম। চিত্র নায়িকা সুজাতা, রাজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, আফরোজা বানু, সালাউদ্দিন লাভলু, মনোজ সেন গুপ্ত, আজম শান্তনু, মাসুম রেজা, ফেরদৌস হাসান ও বন্যা মির্জার মত গুণী শিল্পী জন্ম গ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়ার পূন্য ভূমিতে।
কুষ্টিয়ার শিল্পী পরিবারের তীর্থস্থান জেলা শিল্পকলা একাডেমী, শিশু একাডেমী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন কুষ্টিয়ার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে গতিশীল করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।