বর্তমান কুষ্টিয়া রেল ষ্টেশন, বাজার যে স্থানে হইয়াছে, ঐ স্থানের নাম কুষ্টিয়া নহে। ঐ স্থানের নাম ডাকদহ। ডাকদহ নামেই চিরকাল প্রচলিত ছিল। মহাকুমা স্থাপনের পর হইতে ডাকদহ নাম ক্রমে লোপ পাইতেছে।
... ডাকদহের উন্নতি হইতেছে। বাজার বসিয়া গিয়াছে। সরকারি ঘর দরজা উঠিতেছে। ... কুষ্টিয়া নূতন মহাকুমা বসিয়াছে, দিন দিন উন্নতি হইতেছে। যে মাঠের মধ্যে দিনে ডাকাতী হইত সেই মাঠে মে. টি আই কেনীর দালান কোঠা বসিতেছে, নতুন বাজার হাট বসিতেছে। নদীর ঘাটে বোট বজরার আমদানী ষ্টীমার আমদানী হইতেছে। রেলের গাড়ী নিয়মমত চলিবে।
... কুষ্টিয়ার মহাকুমা স্থাপিত হইলে (অনুমান ১৮৬০-৬১), কিছুদিন পাবনার অধীনে থাকিয়া পরে নদীয়া জেলার অধীন হয় (১৮৬৩)। মুন্সী কফিলউদ্দীন কুষ্টিয়ার নাজীর। ... (যখন) কুষ্টিয়ার মহাকুমা স্থাপিত হয়, তখন কুষ্টিয়া পাবনার অধীন ছিল। ... সে সময়ে সপ্তাহে একদিন গাড়ী আসিত। ... টিকিট হয় নাই। রেলের কাজকর্মের লোকজন আর সাহেব বিবিরা এমনি চড়িয়া আসিতেন।
সে সময় কুষ্টিয়ার ষ্টেশন (পুরাতন) প্রস্তুত হয় নাই। ... মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের দক্ষিণ দিকে রেলওয়ে ষ্টেশনের গাঁথুনি আরও হইয়াছে। ... টিকিট কিনিয়া যাত্রীবেশে রেলগাড়িতে কখনও চড়ি নাই। এই প্রথম আরোহণের ইচ্ছা। কুষ্টিয়ার ষ্টেশন হইতে চতুর্থ শ্রেণীর গাড়ীতে চড়িলাম। চতুর্থ শ্রেণীতে আপন মনের মত বিছানা করিয়া আরামের সঙ্গে শুয়ে বয়ে যাও-কোন কষ্ট বা খেজালত নাই।