নবপ্রাণ আন্দোলনের তরফে কিছু কথা
নবপ্রাণ আন্দোলনের বাংলার ভাবান্দোলনের সঙ্গে একটা নাড়ির সম্পর্ক গড়ে তোলার সাধনা করছে। এই কালে “সাধনা” কথাটার ব্যবহার বিপজ্জনক। সরল ভাবে বলা যায় আমরা বাংলার ভাবান্দোলনের সঙ্গে আনন্দের, জ্ঞানের বা প্রজ্ঞার এবং একই সঙ্গে চর্চা বা কাজের সম্পর্ক রচনার চেষ্টা করছি।
চর্চা বা কাজের সম্পর্ক গড়ে তোলা এক দিক থেকে সহজ, কিন্তু ভাবচর্চা, বলাবাহুল, তুলনামূলক ভাবে কঠিন নিষ্ঠা ও অধ্যবশায়ের পথ। ছেউড়িয়ার নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে নিয়মিত সাধকদের - বিশেষত ফকির লালন শাহের গানের চর্চা, গানের বাণী হ্নদয়ঙ্গম করা ও অর্থদ্যেতনা বিচার ও সুর নিয়ে গবেষণা, প্রভাতে গোষ্ঠ গান ও সন্ধ্যায় নিয়মিত দৈন্য গানের আসর, নিয়মিত সাধুসঙ্গ, দোল পূর্ণিমায় দোল উৎসব উদযাপন, ফকির লালন শাহের তিরোধান দিবসে সৃতিসভা ও দৈন্য গান পরিবেশনা, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে চর্চার যে ধারা আমরা গড়ে তোলার চেষ্টা করছি তা এখন কমবেশি অনেকেরই জানা। এই ক্ষেত্রে নবপ্রাণ সাধুগুরু ও শাইজির অনুরাগী এবং অনুসারীদের যে ভালবাসা ও সহযোগিতা পেয়ে এসেছে তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এখানে উল্লেখ করা জরুরী। তাছাড়া নবপ্রাণ সঙ্গীতঘর ঢাকায় সক্রিয়। নবপ্রাণ আন্দোলনের প্রতি রবিবার প্রবর্তনার “আড্ডা”-য় নিয়মিত গান ও তত্ত্বলোচনার অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে – বিশেষত বাংলার সাধকদের যেসব গান ঢাকার শ্রোতাদের পক্ষে শোনা কঠিন আমরা তা শোনানো ও গানের ভাব নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছি।
কিন্তু ভাব যে সকল চিহ্নব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হাজির থাকে সেটা শুধু মৌখিক বা লিখিত ভাষা নয়। জীবনাচরণ, সেবাসাধন বা খাদ্যব্যবস্থা, অনুষ্ঠান বিন্যাস ও অনুষ্ঠান পরিচালনা পদ্ধতি, আখড়াবাড়ীতে আভ্যন্তরীণ পরিবেশ, এমনকি গাছপালা লাগানো, ওষুধি গাছের সংগ্রহ – সবই ভাষা – সবকিছুর মধ্য দিয়ে আমরা নিজের অন্তরে যা বাইরে সেই রূপ নিয়ে হাজির থাকি। একই সঙ্গে যুক্তি, জ্ঞান বা তত্তের সীমা কোথায় সেই দিকটাও সম্পর্কেও আমরা ওয়াকিবহাল।
সামগ্রিক ভাবে বাংলার ভাবান্দোলনের নানান সংগ্রাম – গতি, বাঁক, প্রকাশ ও চর্চার নানাবিধ তৎপরতার ব্যাপারে আমরা আগ্রহি। এটা ভাবার কোন কারণ নাই যে বাংলার ভাবান্দোলন কোন ছেদ ছাড়া সোজাসিধা পথে সরল রেখায় চলেছে কিংবা ভাবের দিক থেকে তাঁর নিরবিচ্ছিন্ন বিকাশ ঘটেছে। ওর মধ্যে অবশ্যই নানান ছেদ উল্লস্ফন অধঃপতনসহ বহু ছোট বড়ো স্রোত ও নদী বইছে। তবে, বলাবাহুল্য, ফকির লালন শাহ্ একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে রয়েছেন। সঙ্গত কারনেই তাঁর গান ও বাণী আমাদের চর্চার খুবই কেন্দ্রীয় বিষয়ে পরিণত হয়েছে। শাইজী আমাদের গবেষণার বিষয় নন, চর্চার বিষয়। ‘আনন্দ’ বাংলার ভাব চর্চার দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপযপূর্ণ ধারণা। শাইজিকে আনন্দ স্বরূপ ভজনাই আমাদের ইচ্ছা।
যেহেতু “ভাব” বলতে আমরা এখনো ভাববাদ বুঝি, সেই কারণে সাবধান করে দেওয়া দরকার বাংলার ভাবান্দোলনের ভাষায় ভাবচর্চা আর ভাববাদ এক কথা নয়। আমরা ভাববাদ বলতে যা বুঝি সেই অর্থে বাংলার ভাবান্দোলন ‘ভাববাদী’ নয়। কথাটা খুবই সাবধানে বুঝতে হবে। কাকে ‘বস্তু’ বা কাকে ‘ভাব’ বলে সেই দার্শনিক বিচার আমাদের জ্ঞান ও কর্মের জগতে অতিশয় অস্পষ্ট। আমাদের জ্ঞানচর্চার দৌড় অতোটুকুই যে ভাব হচ্ছে বস্তুর বিপরীত একটা ব্যাপার। ‘প্রগতিশীল’ হওয়ার অর্থ হচ্ছে ভাবের বিপরীত বস্তুর পক্ষে অবস্থান নেওয়া। অথচ ‘বস্তু’ বলে চরাচরে কিছু নেই। ‘বস্তু’ নামক এই ‘সামান্য’ (universal) বা বিমূর্ত (abstract) ধারনা ভাব ছাড়া আর কি? যে কারণে ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসকে বস্তুবাদীদের কাছ থেকে তাঁর আর মার্কসের দর্শন ও রাজনীতির ফারাক স্পষ্ট করবার জন্য “দ্বান্দিক বস্তুবাদ” কথাটা তৈয়ার করতে হয়েছে। ভাষার মধ্যস্থতা ছাড়া কিংবা কোন ভাবগত ধারণার আশ্রয় না নিয়ে বিশেষ বা সামান্য কিংবা দেখা অদেখা বস্তু সম্পর্কে কথাবার্তা বলা অসম্বভ। এই সংশয়গুলো আমাদের কাছে খবর হিসাবেও এসে পৌঁছায়নি। এখানে সেই সকল মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। শুধু এতোটুকু বলে রাখলে চলবে বাংলার ভাবান্দোলনের প্রধান প্রবণতা বস্তুময়তায় বা ইহলৌকিকতায়। পারলৌকিকতায় নয়। তথাকথিত ‘পারলৌকিক’ বা ‘আলৌকিক’ বিষয় নিয়ে ইহলোকে কথাবার্তা চলতেই পারে – কিন্তু সেটা চালায় ইহলৌকিক ‘মানুষ’। প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম বা পরলোকে ‘বিশ্বাস’ এখানে খুঁজে পাওয়া অসম্বভই বলা চলে। বাংলার ভাবুকেরা ‘বর্তমান’ নিয়ে নগদ কারবারে কারবারি। তাঁদের কথা হচ্ছে, ‘এখানে না দেখি যারে চিনব তাঁরে কেমন করে?’ বাংলার ভাবান্দোলনের প্রধান ভাবুকদের আধ্যাত্মিক, মরমী ইত্যাদি আজগুবি কোন বিশেষণে অভিহিত করা সেই কারণে অতিশয় মূর্খতা। কিন্তু সেটা আমরা হরহামেশা করি, সেই কারণে শুরুতেই সাবধান করে দিতে হোল।
তাছাড়া বস্তু ও ভাব পরস্পর থেকে আলাদা – যে প্রজ্ঞা এই অনুমান বা ধারনাকেই গোঁড়ায় প্রশ্ন করে – অবিদ্যা, মায়া বা বিভ্রম বলে ধরে নেয় – তাঁর জ্ঞানচর্চার মধ্যে ভাববাদ বা বস্তুবাদ কথাটা তাৎপর্যহীন। যাকে আমি ‘বস্তু’ বলে নামকরন করছি, সেটা তো আমারই ভাব, কারণ বস্তু নিজেকে তো নিজে এই নাম দেয় নি। যাকে ভাব বলছি সেটাও তো আমার বস্তুময় শরীরেরই ব্যাপার। শরীর নাই, কিন্তু ‘ভাব’ আছে বা ‘বস্তু’-র দ্বিবিভাগটার মধ্যেই নিহিত রয়েছে চিন্তার অপরিচ্ছন্নতা। গোলমাল। এক বিশাল মুশকিল। নবপ্রাণে আমরা যখন ‘ভাব’, বা ‘ভাবচর্চা’ শব্দগুলো ব্যাবহার করি তখন তাকে সাবধানেই তাহলে বুঝতে হবে।
লালনের গান গাইতে গিয়ে আমাদের খুবই মুশকিলে পড়তে হয়। একটি গানের নানান ভাষ্য আছে। যারা লালনের গান সংগ্রহ ও সম্পদনা করেছেন তাঁদের সংকলনেও অনেক সমস্যা আছে। ফলে ব্যাবহারিক তাগিদে নবপ্রাণে আমরা লালনের গানের একটা অনুসরণযোগ্য ভাষ্য তৈরি করে নিতে বাধ্য হয়েছি। কোন ‘শুদ্ধ’ ও “প্রামাণ্য” পাঠ নির্ণয় এখানে উদ্দেশ্য নয়। শ্রুতি ও সৃতিনির্ভর সংস্কৃতির মধ্যে দানা বাঁধা এবং মুখের ভাষায় রূপলাভ করা উচ্চারণের ‘প্রামাণ্য’ ও ‘শুদ্ধ’ পাঠ নির্ণয়ের সীমাবদ্ধতা ও মুশকিল দুটোই আছে। সেটা অন্যত্র আমরা আলোচনা করেছি। তাছাড়া আমাদের ভাষ্যই শেষ কথা, এই অহংকার মোটেও আমাদের নেই।
লালনের বানীর ভাষ্য তৈরি করতে আমরা কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। এখানে সেই বিষয়ে সাধারণভাবে কিছু আলোকপাত করবো। এই ভাষ্য তৈরি করতে গিয়ে লালনের আখড়ায় তিনটি খাতা ও অন্যান্য সংগ্রাহক ও সম্পাদকের যেসব সংকলন ব্যাবহার করেছি সেই বিষয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা করব। নবপ্রাণে আন্দোলনের সংগ্রহক ও পাঠের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও পাঠককে একটা সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া দরকার। সেই চেস্টাও আমরা এখানে করব।
শুরুতেই “ভাষ্য” কথাটা কেন ব্যাবহার করছি তাঁর তফসির দরকার। শ্রুতি ও স্মৃতিনির্ভর সংস্কৃতির ভাব ও ভাষা যারাই সংগ্রহ করেন একটা ঝাড়াই বাছাইয়ের পরই তাঁরা ছাপাখানায় সেগুলো পাঠান এবং সেগুলো সম্পাদিত হয়ে বেরোয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে-গানটা সম্পাদক হাজির করেন সেটা তাঁর একটি ভাষ্যও বটে। এই কারণে যে সেটা তাঁর তরফে গানটির একটি ব্যাখ্যাও। অবশ্যই। গানটিকে সংগ্রাহক বা সম্পাদক যেভাবে বুঝেছেন এবং তাঁর যে-অর্থ গ্রহণ করেছেন সেই আলোকেই তো তিনি ঝাড়াই-বাছাই করেন। ওর মধ্য দিয়ে গানের একটি ব্যাখ্যাও দাঁড়িয়ে যায় বৈকি। আমাদের প্রয়াসও এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম নয়।
লালনের গান অনেকেই সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্য গবেষক, লালনের ঘরের সাধক, ভক্ত ও আরো অনেকেই আছেন যারা নিজের উৎসাহে এমনকি নিছক ব্যবসায়িক স্বার্থেও শাইজীর গান সংগ্রহ করেছেন। তাঁদের সকলের অবদানই কৃতজ্ঞচিত্তে আমাদের স্বীকার করতে হবে। কার সংগ্রহ ভুল কারটা প্রামাণ্য সেই বিতর্ক ও মীমাংসা হয়তো দরকার, কিন্তু “বিশুদ্ধ” ও “প্রামাণ্য” পাঠ সংগ্রহের আতিশয্য নবপ্রাণে আমরা খানিকটা সন্দেহের চোখেই দেখি। সংগ্রহীত গানটির কথা অপরিবর্তিত ও সুর যদি অক্ষত উদ্ধার করা যায় তাহলে তো খুবই ভালো কথা। আমরা তাঁর বিরোধী অবশ্যই নই। আমরা নিজেরাও সেই চেষ্টাই করেছি। কিন্তু প্রমাণ ও শুদ্ধতার আতিয্যের আড়ালে এই গানগুলোর সঙ্গে যে জীবন ও জীবনচর্চার বিষয়গুলো ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তাকে না জেনে না বুঝে বাক্য শুদ্ধ করা, কথা ঠিক করে দেওয়া কিংবা নিজের খেয়ালখুশি মতো সংস্কার সাধন শিক্ষিত জনের অহংকার ও অজ্ঞতা দুটোই প্রমাণ করে।
কিন্তু যে দিকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা হোল, ফকির লালন শাহের গান গরিব ও নির্যাতিত শ্রেণীর গান, নিরক্ষরের গান, তথাকথিত ‘শিক্ষিত’-দের নয়। প্রামাণ্য বা শুদ্ধ পাঠ নির্ণয়ের প্রক্রিয়াটা নিতান্তই শিক্ষিত পরিমণ্ডলের ব্যাপার। এই প্রক্রিয়ায় যাদের গান তাঁদেরকেই শেষমেষ খারিজ করে দেবার একটা প্রচ্ছন্ন উদ্যেগই শুরু থেকেই সচল থেকে – যার উপর লালনের অনুসারী ও অনুরাগীদের একসময় আর নিয়ন্ত্রণ নাও থাকতে পারে। সরল ও সহজ ভাবে নিজ নিজ আঞ্চলিক উচ্চারণে এমনকি অনেক সময় শব্দ ও কথা পাল্টিয়ে খানিকটা ওলটপালট করে শাইজীর গান তাঁর অনুসারী ও ভক্তরা গাঁয়, এটা সত্যি। শিক্ষিত শুদ্ধবাদীদের চোখে একে “বিকৃতি” মনে হয়। এর একটা বিহিত তাঁরা করতে চান – উদ্দেশ্য এক ধরণের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে খোদ ভাবচর্চার ওপর – সাধকদের জীবনচর্চার ওপর একটা শাসন কায়েম করা। ভাবুকতার উপর শাসন প্রতিষ্ঠা। ভাষাকে ‘প্রমিত’ করা, গানকে ‘শুদ্ধ’ করার এই উদ্দেশ্য পরিহার করে আসলে পদকর্তার মূল ভাষ্য উদ্ধার করা দরকারি কাজ। এটা আমরা মানি। যদি তাই হই তবে সেটা যারা গাইছেন, অর্থাৎ সেই গরিব, নিরক্ষর আর নির্যাতিত মানুষগুলো, যারা শাইজীকে অমর করে রেখেছেন, সেই ভক্ত ও অনুরাগীদেরই সেটা করতে হবে। তাঁদের জীবনচর্চার জায়গা থেকে ভুলশুদ্ধের বিচার হওয়া জরুরী। এই গানগুলো আধুনিক সাহিত্য নয়, অতএব সাহিত্যর মানদণ্ড দিয়ে তাঁদের চাঁচাছোলা করতে গেলে নষ্ট করে ফেলারই ভয় থাকে।
আমরা যখন লালনের গানের অনুসরণ যোগ্যে ভাষ্য তৈরি করছি, আমরা নিজেরা গাইবার জন্য, নবপ্রাণে আখড়াবাড়ীর দৈনিন্দিন জীবনচর্চার সঙ্গে সঙ্গতি রাখবার দরকারে। শুধু গান হিসাবে নয়। এটা আমরা পরিষ্কার করে দিতে চাই কারও গান শুদ্ধ করে দেবার যোগ্যতা আমরা রাখি না। আমাদের এই ভাষ্য অন্য কারো তুলনায় শুদ্ধও নয়, প্রামাণ্য নয়। আমরা নিজেদেরই বিশেষ উদ্দেশ্যে এই ভাষ্য নিজেদের প্রয়োজনে তৈরি করেছি। একমাত্র আগামি দিনগুলোতেই আমরা আস্তে আস্তে বুঝব এই কাজটি আদ্যেউ ন্যায্য হয়েছে কিনা। ফকির লালন শাহের তাৎপর্য যদি খানিকটা আমরা বুঝে থাকি তাহলে এই সত্যটাও আমরা উপলব্ধি করেছি শাইজীর প্রতি নিরংকুশ ভক্তি ও ভাবের দশায় আচ্ছন্ন যে-গান তাঁর চেয়ে আর কোনকিছুই অধিক সত্য, বিশুদ্ধ আর প্রামাণ্য হতে পারে না। ফলে শাইজীর কোন ভক্ত তাঁর গান যখন গাইছেন সেটা ভক্তিজাত কিনা সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। ভুল সংশোধন করা যায়, কিন্তু ভক্তিহীনকে জ্ঞান সাধনার সদর রাস্তায় বা প্রজ্ঞার পথে আনা যায় না।
তবে সতর্ক করে দেওয়া ভালো যে সেই ভক্তি যেন আবার বর্ধমানের মধুবন গ্রামের সাধুর মতো না হয় ভোলাই শাহের শিষ্য জহিররুদ্দীন শাহের আছিয়ত অনুসারে লালন শাঁইয়ের একটি পুরনো খাতা যার কবরে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল [মন্টু শাহ্ ৯৩]।
সগ্রহঃ সাঁইজীর দৈন্য গান – ফরহাদ মজহার