আম (Mango) গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও উপগ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন একটি ফল। Anacardiaceae গোত্রের Mangifera indica প্রজাতির এ ফল গাছের উৎপত্তির ইতিহাস সুপ্রাচীন। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মতে, আম বাংলাদেশ, আসাম (ভারত) ও মায়ানমারসহ ভারত উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলের স্থানীয় ফল। অন্যান্য প্রজাতি যথা M. laurina-এর উৎপত্তি সম্ভবত মালয় অঞ্চলে। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে।
ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় ও লোকজ অনুষ্ঠানে ব্যবহার্য ফলাদির মধ্যে আমের ব্যবহার সর্বাধিক। এসব অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমের মতো অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক খুব কম ফলেরই রয়েছে। কথিত আছে, স্বয়ং গৌতম বুদ্ধকে একটি আম্রকানন উপহার দেওয়া হয়েছিল যেন তিনি তার ছায়ায় বিশ্রাম নিতে পারেন। প্রাচীনকালে আমের কদর আর গুরুত্ব বোঝাতে সংস্কৃতে এর নামকরণ করা হয় আম, যার অর্থ মজুদ খাদ্য বা রসদ। বিখ্যাত চীনা পর্যটক হিউয়েন-সাং ৬৩২ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন। ধারণা করা হয় তিনিই আমকে সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে পরিচিত করান। মুগল সম্রাট আকবর তাঁর শাসনামলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) ভারতের লাখবাগের দারভাঙার সন্নিকটে প্রায় এক লক্ষ আম গাছ রোপন করেছিলেন। সেটিকে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সুসংগঠিত আমবাগান বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশে আম একটি জনপ্রিয় ফল। বহু বছর ধরে আভিজাত্য বহন করছে আমের এই অদ্ভুত নামগুলো। কিন্তু প্রত্যেকটি আমের নামকরণের পেছনে রয়েছে ইতিহাস। আসুন জেনে নেই এমন নামের কারণ।
ফজলি আম: জানা যায়, ১৮০০ সালে ফজলি বিবি নামে এক বৃদ্ধা বাস করতেন গৌড়ের এক প্রাচীন কুঠিতে। তার বাড়ির উঠানেই ছিল একটি আমগাছ। তিনি গাছটির খুব যত্ন নিতেন। ওই এলাকার কালেক্টর রাজভেনশ একবার বৃদ্ধার ঘরের কাছে শিবির স্থাপন করেন। তার আগমনের খবর পেয়ে বৃদ্ধা সেই আম নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন।
রাজভেনশ সেই আম খেয়ে খুবই মজা পান। সেই আমের নাম জানতে চান। কিন্তু ইংরেজি না বুঝে শুধু ‘নেম’ শুনেই নিজের নাম বলে দেন ফজলি বিবি। সেই থেকেই এই আমের নাম ‘ফজলি’।
ফজলি বা ফকিরভোগ মৌশুমি ফল আমের একটি প্রকারভেদ। এই ফল দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বদিকে বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ ও বিহারে পাওয়া যায়। আমের অন্যান্য প্রজাতির থেকে দেরিতে ফলে এই ফসল। সাধারণতঃ জ্যাম ও আচার তৈরিতে ব্যবহৃত ফজলি, আকারে বেশ বড় হয়; এক কিলোগ্রাম বা তারও বেশি ওজনের হতে পারে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলা এবং বাংলাদেশের উত্তরদিকের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ফজলি চাষের জন্য বিখ্যাত।
এপ্রিল, ২০০৮ থেকে মার্চ, ২০০৯ সময়ের মধ্যে ভারত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মালদা জেলার ফজলি আমের জন্য ভৌগলিক সূচক লাভ করেছে। বাংলাদেশও রাজশাহীর ফজলির জন্য ২০১৩ সালে ভৌগলিক সূচক পাবার ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে।
ল্যাংড়া আম: মোঘল আমলে দ্বারভাঙায় এই আম চাষ শুরু হয়। কিন্তু তখন কেউ এর নাম নিয়ে মাথা ঘামাননি। পরে আঠারো শতকে এক ফকির খুব সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। সেই ফকিরের পায়ে একটু সমস্যা ছিল। সেই থেকেই নাকি ওই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।
ল্যাংড়া আম বা বারানসী আম ভারতের অন্যতম একটি বিখ্যাত আম। এটি পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র উত্তর ভারতে চাষ করা হয়। এই আম পাকার পর খানিক হলদে রঙের হয়। জুলাই মাসের দিকে এই আম পাকতে শুরু করে এবং বাজারে পাওয়া যায়। এই আমকে ছোটো ছোটো টুকরো করার ক্ষেত্রে আদর্শ বলে মনে করা হয়। এছাড়া নানা আম থেকে তৈরী খাদ্যের ক্ষেত্রেও আদর্শ বলে মনে করা হয়।
লক্ষ্মণভোগ আম: ব্রিটিশ আমলে ইংরেজ বাজারের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ একটি আম গাছ রোপণ করেন। স্বাদে-গন্ধে সেই আম ছিল অতুলনীয়। লক্ষ্মণ চাষির নাম থেকেই লক্ষ্মণভোগ আমের উৎপত্তি।
গোপালভোগ আম: ইংরেজ বাজারে নরহাট্টার গোপাল নামের এক ব্যক্তি চাষ করেন এ আম। সেই থেকে গোপাল চাষির নামে গোপালভোগের উৎপত্তি হয়।
গোলাপখাস আম: গন্ধের জন্য বিখ্যাত এ আম। গোলাপ ফুলের মতো গন্ধ থাকায় এই আমকে গোপালখাস নামে ডাকা শুরু হয়। প্রাচীন বাংলার আমগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এর গায়ে গোলাপের রঙের লালচে আভা রয়েছে।
গুটি আম: ছোট এক ধরনের আম খেয়ে সেই আঁটি নিজের বাগানে পুঁতেছিলেন মালদহের এক দরিদ্র কৃষক। সেই আঁটি থেকেই জন্ম নিয়েছিল একটি আম গাছ। কাঁচা অবস্থায় টক। কিন্তু পাকলে খুব মিষ্টি। আঁটি বা গুটি থেকে গাছটি জন্মায় বলে আমের নামও হয়ে যায় ‘গুটি’।
আশ্বিনা আম: আশ্বিন মাসে পাকে যে আম তাকে ‘আশ্বিনা’ বলে। আশ্বিনা জাতের আম গাছে থাকে সাধারণত আগস্ট মাস পর্যন্ত। কিছু কিছু এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও এ আম পাওয়া যায়।
দশেরি আমঃ উত্তর প্রদেশের আমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাদশাহি খানদানের ইতিহাস৷ যেমন আমের রাজা দশেরির কথাই ধরা যাক৷ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষৌ থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা পার হলে পড়ে মালিহাবাদ নামে একটা জায়গা৷ উন্নত প্রজাতির আম দশেরির জন্য এই এলাকা চিহ্নিত৷ এখানে ৩৫ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে আছে আমের বাগান৷ রাজ্যের মোট আমের ফলনের ১২.৫ শতাংশ আম এই মালিহাবাদেই হয়৷ তাই মালিহাবাদকে বলা হয় ‘‘আমের রাজধানী''৷
স্থানীয় লোকজনদের মতে অবশ্য মালিহাবাদ এবং দশেরি আম নিয়ে নানা গল্পকথা আছে৷ কেউ কেউ বলেন, প্রায় ২০০ বছর আগে ফকির মহম্মদ খান ওরফে গয়া মালিহাবাদির নেতৃত্বে একদল আফ্রিদি পাঠান ভাগ্যান্বেশনে আফগানিস্তানের সীমান্তে খাইবার গিরিপথের এক গ্রাম থেকে পেশাওয়ার হয়ে হিন্দুস্থানে আসে৷ প্রথমে তাঁরা আসে উত্তর প্রদেশের ফারুকাবাদে৷ সেখান থেকে অবধ-লক্ষৌ-এ৷ মহম্মদ খানের বীরত্ব এবং যুদ্ধ বিদ্যার নৈপূণ্য দেখে অবধের নবাব খুশি হন৷ বকশিস হিসেবে মহম্মদ খান ফলের বাগান করার অনুমতি প্রার্থনা করেন নবাব বাহাদুরের কাছে৷ সঙ্গে সঙ্গে তা মঞ্জুর হয়৷ কথিত আছে, মহম্মদ খান প্রথম মালিহাবাদে আমের চারা রোপণ করেন৷
তবে দশেরি আম বাগান সবই এককালে ছিল নবাবদের৷ পরে অন্যদের ইজারা দেয়া হয়৷ বাংলায় আমের খ্যাতি এককালে ছিল মুর্শিদাবাদের নবাব আমলে৷
আম্রপালিঃ আম্রপালি আমকে অনেকেই আম রুপালি হিসেবে চিনে। আসলে এই আমটির আসল নাম আম্রপালি। ভারতের গবেষকরা পৃথিবীর বিস্ময়কর এক আম সৃষ্টি করেছেন। এই সেই আম্রপালি। ভারতের শ্রেষ্ঠ নর্তকীর নাম ছিল আম্রপালি।
১৯৭৮ সালে ভারতের আম গবেষকরা দশহোরি ও নিলাম-এই দুটি আমের মধ্যে সংকরায়ণের মাধ্যমে আম্রপালি আমের জাত উদ্ভাবন করেন। এই জাতের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত আমাদের দেশের আবহাওয়ার কারণে উন্নত জাতের আম এক গাছে এক বছর ফলে পরের বছর ফলে না। কিন্তু আম্রপালি প্রতিবছর ফলে। এর মিষ্টতার পরিমাণ ল্যাংড়া বা হিমসাগরের চেয়ে বেশি। গাছ বামন আকৃতির। ফলনও বেশি। পাঁচ হাত দূরত্বে এক হেক্টর জমিতে এক হাজার ৫০০ আম্রপালির চারা রোপণ করা যায়। আমের আকার লম্বাটে। আষাঢ় মাসে পাকে। গড় মিষ্টতার পরিমাণ ২৩ শতাংশের বেশি। আঁটি সরু। সুস্বাদু আঁশবিহীন। ১৯৯০ সালে প্রথম আমাদের দেশে আম্রপালির চারা আসে। বর্তমানে দেশে ৩০ থেকে ৫০ টাকায় আম্রপালির চারা কিনতে পাওয়া যায়। যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, নড়াইল, মাগুরা জেলায় আম্রপালির অনেক বড় বড় বাগান রয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকায়ও এখন প্রচুর পরিমাণে আম্রপালি চাষ হচ্ছে। প্রতি হেক্টরে ১৬ মেট্রিক টন আম্রপালি ফলে। আম্রপালি অনেকটা সবজির মতো। প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ সার দেওয়া প্রয়োজন। ১২-১৪ বছর বয়স হলে গাছ কেটে নতুন চারা লাগালে ভালো হয়। এর কারণ হচ্ছে, বয়সী আম্রপালি গাছের ফল ছোট হয় ও ফলন কমে যায়। আম্রপালি অতুলনীয় মিষ্টি স্বাদযুক্ত একটি আম । এর রং ও গন্ধ অসাধারন । এই আম সাইজে কিছুটা লম্বা ও ছোট । আম রুপালি ওজনে ৭৫ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে । কম আঁশ যুক্ত এই আমটির খোসা পাতলা এবং আঁটিও পাতলা । আম্রপালি সাধারনত ফজলি আমের পরে আসে।
হাড়িভাঙ্গা আমঃ বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত জমিদার বাড়ীর বাগানে প্রজাবাৎসল, উদারমনা ও সৌখিন রাজা তাজ বাহাদুর শিং এর আমলে আমদানিকৃত ও রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির সুগন্ধিযুক্ত ফুল ও সুস্বাদু ফলের বাগান ছিল যা ১৯৮৮ সালের বন্যা ও ভাঙ্গনে যমুনেশ্বরী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় । ১নং খোরাগাছ ইউনিয়নের তেকানী গ্রামের মৃত নফল উদ্দিন পাইকার, পিতা মৃতঃ তমির উদ্দিন পাইকার আমের ব্যবসা করতেন । তিনি জমিদারের বাগানসহ অন্য আম চাষীদের আম পদাগঞ্জসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি করতেন । জমিদার বাগানের আমদানীকৃত আমের মধ্যে একটি আম অত্যন্ত সুস্বাদু, সুমিষ্ট ও দর্শনীয় হওয়ায় তিনি উহার একটি কলম (চারা) নিয়ে এসে নিজ জমিতে রোপন করেন । বরেন্দ্র প্রকৃতির জমি হওয়ায় শুকনো মৌসুমে গাছের গোড়ায় পানি দেয়ার সুবিধার্থে একটি হাড়ি বসিয়ে ফিল্টার পদ্ধতিতে পানি সেচের ব্যবস্থা করেন কিন্তু অল্পদিনের ব্যবধানে কে বা কারা উক্ত হাড়িটি ভেঙ্গে ফেলেন । কালের বিবর্তনে বৃক্ষটি ফলবান বৃক্ষে পরিণত হয় । মৃত নফল উদ্দিনের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব ও ভোক্তাবৃন্দ উক্ত গাছের আম খাওয়ার পর এত সুস্বাদু আমের উৎস সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কে বা কারা যে গাছটির হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছিল এটি সেই গাছেরই আম । গাছকে সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নফল উদ্দিন কর্তৃক উচ্চারিত বা মুখ নিঃসৃত হাড়িভাঙ্গা কথার সূত্র ধরেই পরবর্তীতে এটি “হাড়িভাঙ্গা” নামে পরিচিত লাভ করে।
হাড়িভাঙ্গা আম গাছের চেহারা লক্ষ্যণীয় ও আকর্ষণীয় । ডগা বা ছায়ন পূষ্ট ও বলিষ্ঠ । উহার ছায়ন দ্বারা গ্রাফটিং করলে বা ডালে জোড়কলম লাগালের গাছ অতি দ্রুত বৃদ্ধি পায় । অল্প দিনের মধ্যে ডালপালা বিস্তৃত হয়ে গাছের পরিধি লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়ে যায় । চারা রোপনের পরবর্তী বছরেই মুকুল আসে, তবে প্রথম বছরে মুকুল ভেঙ্গে দিলে গাছের ডগার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও বলিষ্ঠ হয়ে ওঠে । হাড়িভাঙ্গা আম গাছের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো গাছের ডালপালা উর্ধ্বমূখী বা আকাশচুম্বী হওয়ার চেয়ে পাশে বেশী বিস্তৃত হতে দেখা যায় । ফলে উচ্চতা কম হওয়ায় ঝড়-বাতাসে গাছ উপড়ে পড়েনা এবং আমও কম ঝড়ে পড়ে । আমটির উপরিভাগ বেশী মোটা ও চওড়া, নিচের অংশ অপেক্ষাকৃত চিকন । আমটি দেখতে সুঠাম ও মাংসালো, শ্বাস গোলাকার ও একটু লম্বা । আমের তুলনায় শ্বাস অনেক ছোট, ভিতরে আঁশ নেই । আকারের তুলনায় অন্য আমের চেয়ে ওজনে বেশী, গড়ে ৩টি আমে ১ কেজি হয় । কোন কোন ক্ষেত্রে একটি আম ৫০০/৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে । পুষ্ট আম বেশী দিন অটুট থাকে । চামড়া কুচকে যায় তবুও পঁচে না । ছোট থেকে পাকা পর্যন্ত একেক স্তরে একেক স্বাদ পাওয়া যায় । তবে আমটি খুব বেশী না পাকানোই ভাল।
এছাড়াও অনেক নামে আম আছে তাঁর নামকরণের সঠিক ইতিহাস আমাদের জানা নেই। তবে অনুসন্ধান চলছে এই সব আমের নামের সঠিক ইতহাস জানা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন, আমরা তা তুলে ধরবো বিশ্ব দরবারে। যেমনঃ- খিরসা, অরুনা, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি।
আমের প্রকারভেদ (জাত)
- ফজলি
- আশ্বিনা
- ক্ষীরমন
- সেন্দুরা গুটি
- ল্যাংড়া
- গৌড়মতি
- গোপালভোগ
- মধু চুষকী
- বৃন্দাবনি
- লখনা
- তোতাপুরী (ম্যাট্রাস)
- রাণী পছন্দ
- ক্ষিরসাপাত
- আম্রপালি
- হিমসাগর
- বাতাসা
- ক্ষুদি ক্ষিরসা
- বোম্বাই
- সুরমা ফজলি
- সুন্দরী
- বৈশাখী
- িয়ার চারা
- রসকি জাহান
- হীরালাল বোম্বাই
- ওকরাং
- মালদা
- শেরীধণ
- শামসুল সামার
- বাদশা
- রস কি গুলিস্তান
- কন্দমুকাররার
- নাম ডক মাই
- বোম্বাই (চাঁপাই)
- ক্যালেন্ডা
- রুবী
- বোগলা
- মালগোভা
- হিমসাগর রাজশাহী
- কালুয়া (নাটোর)
- চৌষা লখনৌ
- সিডলেস
- কালিভোগ
- বাদশাভোগ
- কুষ্ণকলি
- পাটনাই
- গুটি লক্ষনভোগ
- বাগান বিলাস
- গুটি ল্যাংড়া
- পাটুরিয়া
- পালসার
- আমিনা
- কাকাতুয়া
- চালিতা গুটি
- রং ভীলা
- বুদ্ধ কালুয়া
- রাজলক্ষী
- মাধুরী
- ব্যাঙ্গলোরা
- বন খাসা
- পারিজা
- চন্দনখোস
- দুধ কুমারী
- ছাতাপোরা
- চোষা
- জিলাপি কাড়া
- শীতল পাটি
- পূজারী ভোগ
- জগৎ মোহিনী
- দিলসাদ
- বিশ্বনাথ চ্যাটার্জি
- বেগম বাহার
- রাজা ভুলানী
- নাবি বোম্বাই
- সিন্দি
- ভূতো বোম্বাই
- গোলেক
- বারি আম ৭
- কালী বোম্বাই
- চকচকা
- পেয়ারা ফুলী
- ভ্যালেনাটো
- সিন্দুরী ফজলী
- আমব্রা
- গুলাবজামুন
- আলম শাহী
- অস্ট্রেলিয়ান আম
- মায়া
- দাদাভোগ
- শরবতি ব্রাউন
- আলফান
- রত্না
- লাড্ডু সান্দিলা
- ছোটীবোম্বাই
- কালিজংগী
- দ্বারিকা ফজলি
- মিঠুয়া
- বোম্বে সায়া
- বোম্বে গ্রিন
- তোহফা
- কাচ্চা মিঠা মালিহাবাদ
- তৈমুরিয়া
- জাহাঙ্গীর
- কাওয়াশজি প্যাটেল
- নোশা
- জালিবাম
- বাগান পল্লি
- ভারতভোগ
- ফজরী কলন
- সাবিনা
- সেন সেশন
- লতা বোম্বাই
- আল্লামপুর বানেশান
- আর-২ এফ-২
- শ্রাবণী
- ইমামপছন্দ
- জনার্দনপছন্দ
- কৃষ্ণভোগ
- সারুলী
- ইলশে পেটী
- কলম বাজি
- ইয়াকুতিয়া
- গুটী
- ভুজাহাজরী
- ম্যাটরাজ
- সামার বাহিতশত আলীবাগ
- গোলাপবাস
- জুলী
- ভেজপুরী
- কালুয়া গোপালভোগ
- কলম সুন্দরী
- বনারাজ
- ম্যাডাম ফ্রান্সিস
- মিক্সড স্পেশাল
- মোহাম্মদ ওয়ালা
- সফেদা মালিহাবাদ
- খান বিলাস
- জাফরান
- মধু মালতী
- জিতুভোগ
- পলকপুরী
- কাকরহিয়া সিকরি
- পাথুরিয়া
- বোম্বে কলন
- কেনসিংটন
- কাকরহান
- মিছরি দমদম
- সামার বাহিশ্ত
- মানজানিল্লো নুনেজ
- নাজুকবদন
- ফারুকভোগ
- রুমানি
- টারপেন টাইন
- কেনসিংটন
- কাকরহান
- মিছরি দমদম
- সামার বাহিশ্ত
- মানজানিল্লো নুনেজ
- নাজুকবদন
- ফারুকভোগ
- রুমানি
- টারপেন টাইন
- কুমড়া জালি
- দুধিয়া
- মহারাজ পছন্দ
- ম্যানিলা
- পিয়ারী
- জান মাহমুদ
- সামার বাহিশত রামপুর
- মাডু
- লা জবাব মালিহাবাদ
- লাইলী আলুপুর
- নীলম
- মিশ্রীভোগ
- পদ্মমধু
- বাঙামুড়ী
- পুনিত (হাইব্রিড-১৩)
- বেলখাস
- শ্রীধন
- আমান খুর্দ বুলন্দাবাগ
- পালমার
- কারাবাউ
- অ্যামিলী
- কোরাকাও ডি বই
- নিসার পছন্দ
- পাহুতান
- বোররন
- হিন্দি
- সফেদা বাদশাবাগ
- র্যাড
- আরুমানিস
- বাংলা ওয়ালা
- মোম্বাসা
- রোসা
- ক্যাম্বোডিয়ানা
- ফজরী জাফরানী
- বোম্বাইখুর্দ
- এক্সট্রিমা
- বদরুল আসমার
- শাদওয়ালা
- সামার বাহিশত কারানা
- এসপাডা
- বাশীঁ বোম্বাই
- কর্পূরা
- হুসনে আরা
- সফেদা লখনৌ
- শাদউল্লা
- আজিজপছন্দ
- কর্পূরী ভোগ
- জিল
- সারোহী
- গ্লেন
- টমি অ্যাটকিনসন
- স্যাম-রু-ডু
- মাবরোকা
- হিমাউদ্দিন
- ফ্লোরিডা
- কেইট
- ইরউইন
- নাওমী
- কেন্ট
- টাম অ্যাটকিন্স
- আলফন্সো
- নারিকেল ফাঁকি
- জামাই পছন্দ
- লক্ষণভোগ
- ভাদুরিয়া কালুয়া
- চিনি ফজলী
- মল্লিকা
- সূর্যপুরী
- হায়াতী
- পাউথান
- দুধস্বর
- গোলাপ খাস
- বেনারসী ল্যাংড়া
- পাটনামজাথী
- জালিবান্দা
- মিছরিদানা
- নাক ফজলী
- সুবর্ণরেখা
- কালা পাহাড়
- বারি আম-২
- বউ ভুলানী
- জমরুদ
- অরুনা (হাইব্রিড-১০)
- নীলাম্বরী
- ফোনিয়া
- চৌষা
- ডায়াবেটিক আম
- সিন্ধু
- বোগলা গুটি
- রাজভোগ
- দুধস্বর ( ছোট )
- মোহন ভোগ
- হাঁড়িভাঙ্গা
- টিক্কা ফরাশ
- আম্রপলি (বড়)
- হিমসাগর (নাটোর)
- মৌচাক
- মহানন্দা
- তোতাপুরী
- বাউ আম-৩
- বারি-৩
- পুকুর পাড়
- কোহিতুর
- বিলু পছন্দ
- কাগরী
- চিনিবাসা
- দুধ কুমার
- মন্ডা
- লাড্ডু
- সীতাভোগ
- শোভা পছন্দ
- গৃঠাদাগী
- ছোট আশ্বিনা
- ঝুমকা
- দুসেহরী
- কালী ভোগ
- ভবানী চরুষ
- আলফাজ বোম্বাই
- মধুমনি
- মিশ্রীকান্ত
- গিড়াদাগী
- কুয়া পাহাড়ী
- বিড়া
- দ্বারভাঙ্গা
- বারি আম-৪
- আরাজাম
- গোবিন্দ ভোগ
- কাঁচামিঠা
- মতিমন্ডা
- পোল্লাদাগী
- দাদভোগ
- শ্যামলতা
- মিশ্রীদাগী
- কিষান ভোগ
- ভারতী
- বারোমাসি
- দেওভোগ
- বারি-৮
- আম্রপলি (ছোট)
- সিদ্দিক পছন্দ
- লতা
- বাদামী
- আনারস
- জহুরী
- রাখাল ভোগ
- গুটি মালদা
- বারি আম-৬
- রগনী
- বাউনিলতা
- গৌরজিত
- বেগম ফুলি
- আপুস
- ফজরীগোলা
- সফেদা
- আনোয়ার রাতাউল
- বাবুই ঝাঁকি
- মনোহারা
- রাংগোয়াই
- গোল্লা
- কাজি পছন্দ
- রাঙামুড়ী
- বড়বাবু
- করল্লা
- জালিখাস
- কালিয়া
- সাটিয়ারকরা
- সফদর পছন্দ
- ছুঁচামুখী
- বারি আম-৫
- কাদের পছন্দ
- এফটি আইপি বাউ আম-৪
- দিল্লির লাড়ুয়া
- টিয়াকাটি
- এফটি আইপি বাউ আম-৯(শৌখিন চৌফলা)
- এফটি আইপি বাউ আম-১(শ্রাবণী-১)
- এফটি আইপি বাউ আম-৭(পলি এ্যাম্বব্রায়নী-২)
- এফটি আইপি বাউ আম-২ (সিঁন্দুরী)
- এফটি আইপি বাউ আম-১০(শৌখিন-২)
- এফটি আইপি বাউ আম-৩(ডায়াবেটিক)
- এফটিআইপি বাউ আম-৮ (পলিএ্যাম্বব্রায়নী-রাংগুয়াই-৩
- এফটি আইপি বাউ আম-১১(কাচা মিঠা-১)
- এফটি আইপি বাউ আম-৬(পলিএ্যাম্বব্রায়নী-১)
- এফটিআইপি বাউ আম-১২(কাচা মিঠা-২)
- এফটি আইপি বাউ আম-১৩(কাঁচামিঠা-৩)
- এফটি আইপি বাউ আম-৫(শ্রাবণী-২)