মো: হাতেম আলীর জন্ম ১৯১০ খ্রী: মৃত্যু ১৪ই বৈশাখ সোমবার ১৩৮২ বাংলা/২৮শে এপ্রিল ১৯৭৫ খ্রী:। কুষ্টিয়া থানার উদিবাড়ী মজমপুর, জেলা নদীয়া (তৎকালীন)। উত্তম নিবাস, ৭১/১ রামচন্দ্র রায় চৌধুরী ষ্ট্রীট, কোর্টপাড়া, কুষ্টিয়া। পিতা- মো: ওসমান গণি, তার মৃত্যু ১৯১৮ খ্রী:। মাতা মোছা: উত্তম নেছা, দাদা মো: কুদরত শাহ।
১ম স্ত্রী মোছা: সাকিরন নেছা। ১ম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিবাহ। ২য় স্ত্রী মোছা: লতিফুন নেছা। তার সন্তানাদি ৪ পুত্র ৪ কন্যা।
লেখাপড়াঃ - ১৯২১ খ্রী: জগতি এম ই স্কুল হতে ষষ্ঠ শ্রেনীতে তিনি হাজী মহসীন বৃত্তি প্রাপ্ত হন। ১৯২৬ খ্রী: কুষ্টিয়া হাই স্কুল থেকে অংকে ১০০ নম্বর পেয়ে ১ম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯২৮ খ্রী: পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে অংকে ১০০ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে আই এস সি পাশ করেন। ১৯৩০ সালে একই কলেজ থেকে বি এস সি পরীক্ষা দেন। কিন্তু অংকে ১০০ নম্বরসহ সর্ববিষয়ে প্রথম বিভাগ থাকলেও রসায়ন ব্যবহারিক পরীক্ষায় খারাপ করায় অকৃতকার্য হন। ৮ বছর বয়সে পিতৃ হারা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান সাংসারিক বাস্তবতায় আর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারেন নাই।
কর্মজীবনঃ - প্রথমে জগতি এম ই স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে কুষ্টিয়া হাই স্কুল ও মিউনিসিপাল একাডেমীতে শিক্ষাকতা করেন এবং ১৯৬৪ সালে সিরাজুল হক মুসলিম হাই স্কুলে অংকের শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঐ স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি খুবই সুনাম অর্জন করেন। অংক ছিলো তার কাছে পানির মতো সহজ। তাই অনেকে তাহাকে অংকের জাহাজ বলতেন। কুষ্টিয়ার অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিই তার ছাত্র ছিলেন ও আছেন। তিনি লেখালেখিও করতেন। মুসলিম হাই স্কুলে অনেক বার্ষিকী, ম্যাগাজিন তাহার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সেই আমলে জগতিতে ননী ডাক্তার, প্রফুল্ল সরকার, বীরেন ডাক্তার, মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ উকিলদের সাথে নাটকও করেছেন। যাত্রার নায়িকার অভিনয় করেছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত ছিলেন।
বৃটিশ শাসনামলে তিনি পর পর ২ দফা মজমপুর ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও পাকিস্তান আমলে জজদিগের জুরী হিসাবে কয়েকবার মনোনয়ন পান। তাহার সততা, নিষ্ঠাবোধ ও ন্যায় পরায়নতা সমাজের আদর্শ ব্যক্তি রুপে প্রতিষ্ঠিত করে, যাহা বর্তমান সময়ে দুর্লভ। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অংক শাস্ত্রের পরীক্ষক ছিলেন।
May allah blessings.