বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান দীপু মাহমুদ পেলেন সেরা শিশু সাহিত্যিকের পুরস্কার
কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান দীপু মাহমুদ পেলেন সেরা শিশু সাহিত্যিকের পুরস্কার

দীপু মাহমুদ জন্ম ১৯৬৫ সালের ২৫ মে। শৈশব ও বাল্যকাল কেটেছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে চুয়াডাঙ্গা জেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামে। বেড়ে ওঠা স্নেহময়ী কালিশংকরপুর কুষ্টিয়া।

পড়াশুনা করেছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতায়। আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে ।

উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, নাটক, ইতিহাস, প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি সক্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ষাট। এরমধ্যে আছে উপন্যাস- স্বপ্নযাত্রা ১৯৭১, ফেরা হয় না, তবু ভালোবেসো এবং ফিরে এসো কমেলা। ছোটগল্প সংকলন- উত্তরপুরুষ, মেঘ জড়ানো দিন ও তরব আলির চাদর। শিশুসাহিত্য- নিতুর ডায়েরি ১৯৭১, বুসেফেলাস, বারো ভূত, বাঘের মন খারাপ, নিতি মেঘ হবে, এক যে ছিল ছোট পাখি, নয় পরি, দুই জন্ম, মিরুর স্বপ্নখাতা, মাহিনের জুতো জামা, কিটি, রিকি, পুতলি ও ছেলেধরা, ছোটকু, রায়া ও ছোটকু এবং আরও কিছু শিশুতোষ বই। ইতিহাস- ১৯৭১ দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গন, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস: যেভাবে স্বাধীন হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা ও ভাষা আন্দোলনের কিশোর ইতিহাস: চুয়াডাঙ্গা জেলা। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন শিশুসাহিত্যিক মোহাম্মদ নাসির আলী স্বর্ণপদক, সুনীতি অ্যাওয়ার্ড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ সম্মাননা।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে লেখা “নিতুর ডায়েরি ১৯৭১” বইয়ের জন্য এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৫ পেয়েছেন কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান শিশুসাহিত্যিক দীপু মাহমুদ।

২৮শে জুলাই ২০১৭ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকাস্থ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশুসাহিত্যিক, গবেষক ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক আসাদ চৌধুরী এবং সাংবাদিক ও শিশুসাহিত্যিক আনিসুল হক। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এম নুরুল কাদের ফাউন্ডেশনের অনারারি সেক্রেটারি মোস্তফা হোসেইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এম নুরুল কাদের ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন রোকেয়া কাদের। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন শিশুসাহিত্যিক মনি হায়দার।

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম আজাদ বীর প্রতীককে সম্মাননা দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের বইপড়া ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এই পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ী শিশুসাহিত্যিকদের প্রতিকৃতি প্রদর্শনী ও চিত্র প্রদর্শনী ছিল। শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

শিশু সাহিত্যে কুষ্টিয়ার কৃতিসন্তান দীপু মাহমুদের পুরস্কার প্রাপ্তি সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়াকে করেছে গৌবান্বিত। সাহিত্য ক্ষেত্রে তার এই অবদান চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে সাংস্কৃতিক প্রেমীদের মাঝে। শিশুসাহিত্যে পুরস্কারে ভূষিত ব্যক্তি বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা দীপু মাহমুদ সাহিত্যের সবধারায় লেখালেখি করছেন। তবে শিশু-কিশোর সাহিত্যে উলে¬খযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি অত্যন্ত গুণী মানুষ। লেখাপড়ার উচ্চ শিখরে উঠে নিজেকে আলোকিত করতে সক্ষম হয়েছেন। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের বরেণ্য শিশু সাহিত্যিক দীপু মাহমুদ ২০১৬ সালে শিশুসাহিত্যিক ‘মোহাম্মদ নাসির আলী’ স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ওই বছরেই তিনি কল্পবিজ্ঞান লেখায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য “সায়েন্স ফিকশন সাহিত্য পদক পান।

উপন্যাস, ছোটগল্প, কবিতা, নাটক, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি সক্রিয়। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৬০টি। উপন্যাস- ‘ফেরা হয় না’, ‘তবু ভালোবেসো’ এবং ‘ফিরে এসো কমেলা’। ছোটগল্প সংকলন- ‘উত্তরপুরুষ’, ‘ ‘মেঘ জড়ানো দিন ও তরব আলির চাদর’। শিশুসাহিত্য- ‘বুসেফেলাস’, ‘নিতুর ডায়েরি ১৯৭১’, ‘বারো ভূত’, ‘বাঘের মন খারাপ’, ‘নিতি মেঘ হবে’, ‘এক যে ছিল ছোট পাখি’, ‘নয় পরি’, ‘দুই জন্ম’, ‘মিরুর স্বপ্নখাতা’, ‘মাহিনের জুতো জামা’, ‘কিটি’, ‘রিকি’, ‘পুতলি ও ছেলেধরা’, ‘ছোটকু’, ‘রায়া ও ছোটকু’। ইতিহাস- ‘১৯৭১ দক্ষিণ পশ্চিম রণাঙ্গন’, ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস : যেভাবে স্বাধীন হলো চুয়াডাঙ্গা জেলা’ ও ‘ভাষা আন্দোলনের কিশোর ইতিহাস : চুয়াডাঙ্গা জেলা’।

বরেণ্য এই লেখক বলেন, আমি সব বয়সের মানুষের জন্য লিখছি। আমার লেখা বেশকিছু বই আছে শিশুতোষ। আছে কিশোর গল্প ও উপন্যাস। বড়দের জন্য উপন্যাস লিখছি। আর কিছু শিক্ষামূলক বই। খুব ছোটবেলায় যারা আমার লেখা পড়বে, আমি জানি তারা কিশোর বয়সে এসে আমার লেখা খুঁজবে। আবার বড় হয়েও খুঁজবে। তাই সব বয়সের জন্য লেখা। চাকরির সুবাদে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে আমার বিভিন্ন বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি সেগুলো লিখে যাচ্ছি বই আকারে যেন অভিজ্ঞতা বিনিময় সম্ভব হয়।’ স্ত্রী রূপা (যিনি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত) ও যমজ দুই পুত্র সন্তান খালিদ ও গালিব। যাদের নিয়ে দীপু মাহমুদের লেখালেখির নিজস্ব ভুবন। তার বাবাও একজন গুণী মানুষ। তিনি একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল হুদা ঢাকা কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে চাকুরি জীবন শুরু করেন। ছিলেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। পরে চাকরি করেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে। মা মিসেস হামিদা বেগম। ৬ ভাই ১ বোনের মধ্যে দীপু মাহমুদ বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান।

Add comment

সংস্কৃতি এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন