বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

মোহিনী মিলের ধ্বংসাবশেষ এখন শুধু কালের সাক্ষী
মোহিনী মিলের ধ্বংসাবশেষ এখন শুধু কালের সাক্ষী

সচল অবস্থায় মোহিনী মিল সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কলের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মিল।

কুষ্টিয়া শহর থেকে রিক্সাযোগে যাওয়া যায়। সময় লাগে প্রায় ১৫ মিনিট। কুষ্টিয়ার অন্যতম বিখ্যাত ব্যক্তিত্ত্ব মোহিনী মোহন চক্রবর্তী ১৯০৮ সালে কুষ্টিয়া মোহিনী মিলস এন্ড কোম্পানী লিমিটেড নামে এই কাপড়ের মিলটি প্রতিষ্ঠা করেন। সমসাময়িক কালে অন্যান্য বস্ত্র কলের তুলনায় এই মিলের উৎপাদন অনেক বেশী মানসম্পন্ন ছিল বলে কালক্রমে এটি দেশের অন্যতম সেরা কাপড়ের মিলে পরিণত হয়।

সচল অবস্থায় মোহিনী মিল সমগ্র এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপড়ের কলের স্বীকৃতি লাভ করে।

মাত্র ৮টি তাঁত নিয়ে মিলটি উৎপাদন শুরু করে। পরবর্তীতে মোহিনী মিল ব্যপ্তি লাভ করে। এর শ্রমিক সংখ্যা প্রায় তিন হাজারে উন্নীত হয়। মোহিনী মিলের শাড়ি ও ধুতী বাংলায় জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই মিলটি মোহিনী মোহন চক্রবর্তীর সমাজ সেবা ও কর্মসংস্থান ব্যবস্থাপনার অন্যতম স্মারক। তাঁর মৃত্যুর পর নানাবিধ কারণে মিলটি প্রতি বছর বিপুল পরিমানে লোকসান দিতে থাকে। অবশেষে ১৯৮২ সালে মোহিনী মিল দেউলিয়া তালিকাভুক্ত হয়। এর পর সরকারের নিকট থেকে মেসার্স আফসার গ্রুফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর মালিক জনাব নজরুল ইসলাম এই মিলটি কিনে নেন এবং ১৯৮৪ সালে ২৫ শে সেপ্টেম্বের থেকে শাহ মাজদুম টেক্সাইল মিলস লিমিটেড নামে নামকরণ হয়। কিছুদিন পর তাও বন্ধ ঘোষনা করা হয়।

বর্তমানে মিলটি পরিত্যক্ত, ধ্বংসপ্রায় ভগ্নস্তুপে পরিণত হতে চলেছে। সামান্য কিছু নষ্ট মেশিন ও পরিত্যক্ত ঝুকিপূর্ণ ভবন ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

Add comment

ইতিহাস এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন