রাজবাড়ী
রাজবাড়ী জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পদ্মা নদী, পশ্চিম থেকে পূর্বে পদ্মা ও যমুনার সঙ্গমস্থল দৌলতদিয়ার সামান্য উত্তরে আরিচা ঘাট। পদ্মার অপর পারে পাবনা ও মানিকগঞ্জ। দক্ষিণে পদ্মার শাখা নদী গড়াই নদী, গড়াই-এর ওপারে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা। পূর্বে ফরিদপুর ও পশ্চিমে কুষ্টিয়া। রাজবাড়ীকে ঘিরে পদ্মা, চন্দনা, গড়াই নদী ও হড়াই নদী।
-
মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী
মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী (জন্মঃ- ১৮৮৮ মৃত্যুঃ- ১৫ ডিসেম্বর ১৯৪০) যিনি সচরাচর সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরী নামে অভিহিত বাংলাভাষার একজন লেখক এবং সাংবাদিক। তিনি শিক্ষা সংস্কারের মাধ্যমে পশ্চাৎপদ মুসলমানদের অগ্রগামী করেন।
-
মীর মোশাররফ হোসেন - বাংলা সাহিত্যের পথিকৃৎ
মীর মোশাররফ হোসেনের সংক্ষিপ্ত জীবনী উনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ট মুসলিম সাহিত্যিক রুপে খ্যাত 'বিষাদ সিন্ধুর' অমর লেখক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ই নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন। মীর মোশাররফ হোসেনের বংশতালিকাঃ সৈয়দ সা’দুল্লাহ, মীর উমর দরাজ, মীর ইব্রাহীম হোসেন, মীর মোয়াজ্জম হোসেন, মীর মোশাররফ হোসেন।
-
পূর্ববাংলার রেলওয়ের আগমন এবং এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক জীবনের উপর এর প্রভাব ১৮৬২-১৯৪৭
ত্রৈলোক্যনাথ আমার জন্ম বৎসর ১৮৭৫। গ্রামের নাম বহরকালুখালি। কালুখালি স্টেশন হইতে এ গ্রামের দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল। পোড়াদহ হইতে গোয়ালন্দ রেলপথে জগতি, কুষ্টিয়া, কোর্ট, কুষ্টিয়া (পরে কুষ্টিয়ার পূর্বদিকে গড়াই নদীর ব্রিজ পাড়ে চরাইখোল নামক একটি স্টেশন হয়)।
-
এদেশের রেল বিকাশ
অষ্টদশ শতাব্দীর পূর্বে যাতায়াত ও যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল স্বল্পগতিসম্পন্ন পশুতে টাকা গাড়ি, মানুষে টাকা পালকি, পাল তোলা নৌকা ইত্যাদি। বাস্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর থেকে দ্রুতগতিসম্পন্ন যানবাহনের সাহায্যে যোগাযোগ সহজ ও দ্রুত হতে থাকে। আজকের দিনে টেলিফোন, মুঠোফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট যোগাযোগের গতি, আলোর গতির সমানে এনে দিয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবী যেন মুঠোর মধ্যে। এতদ্বসত্ত্বেও কোনো দেশেই রেলের গুরুত্ব হ্রাস পায়নি। বরং স্বল্প খরচ, নিরাপদ, আরামদায়ক যাতায়াত হিসেবে জাপান, ভারত, চীন, ইউরোপ, আমেরিকা রেলের গতি বৃ্দ্ধিতে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে চলছে। পর্যায়ক্রমিক পালের গতি, অশ্বের গতি, ইঞ্জিনের গতি এবং বর্তমান ব্যবহৃত আলোর গতি সভ্যতা বিকাশের ধারাবাহিক পরিমাপক।
-
নীল বিদ্রোহ ও নীল চাষের সমাপ্তি
১৮৫৮ সালে নীলবিদ্রোহের অগ্নি দেশময় ছড়িয়ে পড়লেও নীলচাষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছিল অনেক আগ থেকেই। ১৮১০ সাল থেকেই নীলচাষের বিরুদ্ধে প্রজা সাধারণ সংগঠিত হতে থাকে।
-
এদেশে নীলের চাষ
বৃটিশ শাসনকালে এদেশে নীলের চাষ, নীলের ব্যবসা, নীলচাষের সাথে প্রজাকুলের দুর্ভোগ এবং নীলচাষের বিরুদ্ধে সচেতন মহল এবং কৃষককুলের বিদ্রোহ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নীলচাষকে কেন্দ্র করে ইংরেজ সাহেব, কুঠিয়াল এবং এদেশের জমিদার, জোতদার, মহাজনদের প্রজাশোষণ, নিপীড়ন ও অন্যায় অত্যাচারের এক করুন চিত্র পাওয়া যায়। ইংরেজ শাসনকালে ১৭৯৫ থেকে ১৮৯৫ প্রায় একশত বছর এদেশে নীলের চাষ ও ব্যবসা ছিল। বর্তমান যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, ফরিদপুর, ঢাকা, পাবনা জেলাসহ পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপকাকারে নীলের চাষ করা হত। এ অঞ্চলেই নীলচাষের বিরুদ্ধে বিদ্রেহ গড়ে ওঠে যা ‘নীলবিদ্রোহ’ বলে পরিচিত। নীলচাষের বিরুদ্ধে কলম ধরেন সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষিত সমাজ।