কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পূর্বে কুষ্টিয়া নদীয়া জেলার (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৯ সালে কুষ্টিয়ায় একটি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। হ্যামিলটন'স গেজেট প্রথম কুষ্টিয়া শহরের কথা উল্লেখ করে।
-
রেনউইক রেষ্ট হাউজ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী-এম ডি, রেনউইক, কুষ্টিয়া সরকারী
-
বিসিক রেষ্ট হাউজ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- এ জি এম,বিসিক, কুষ্টিয়া সরকারী
-
সুগার মিল রেষ্ট হাউজ, কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- এম ডি, সুগার মিল, কুষ্টিয়া সরকারী
-
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রেষ্ট হাউজ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- জীএম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, কুষ্টিয়া সরকারী
-
এলজিইডি রেষ্ট হাউজ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, কুষ্টিয়া সরকারী
-
সড়ক ও জনপথ রেষ্ট হাউজ, কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ, কুষ্টিয়া সরকারী
-
জেলা পরিষদ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ, কুষ্টিয়া সরকারী
-
সার্কিট হাউজ কুষ্টিয়া
পরিচালনাকারী- জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়া
-
ফকির লালন সাঁই এর দর্শন এবং তারুণ্যের দায়বদ্ধতা
ফকির লালন সাঁই তাঁর জীবদ্দশায় প্রতি বছর দোল পূর্নিমার রাতে ভক্ত-সাধুদের নিয়ে এক মিলন উৎসবের আয়োজন করতেন। সারারাত ধরে চলত এ সাধুসঙ্গ। সেটিকে উপজীব্য করেই প্রতি বছর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় পালিত হয় তিন/পাঁচদিনব্যাপী লালন স্মরণ উৎসব। তিনি আজ আর আমাদের মাঝে নেই একথা যেমন সত্য তেমনিভাবে তিরোধানের পরেও যে তাঁর চিন্তা ও দর্শন আমাদের ভাবনার জগতে ঢেউ তোলে– এটিও চরম সত্য; সে ঢেউ প্রবাহমান হবে যুগ যুগ ধরে সেটি আরও সত্য। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে সেই দর্শন তাই নানাভাবে ঘুরে ফিরে আসছে, আসবে বারংবার। কারন, হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদমুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র ও পৃথিবী বিনির্মানে আমরা যারা তরুণ তাদের জন্য লালন দর্শন এক অনন্য আলোকবর্তিকারূপে পরিগণিত হতে বাধ্য।
-
কুষ্টিয়ার রাষ্ট্র ভাষার আন্দোলন
পটভূমি: ১৯৪৭ সালের ১৪ইআগষ্ট পাকিস্তান ১৫ই আগষ্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে। এর পর থেকেই দেশদুটিতে রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বহুভাষিক ভারতে তখন কোন সর্বভারতীয় ভাষা ছিল না। এজন্য ব্রাহ্মণ্যবাদী রাষ্ট্রনায়কগণ এক ভাষার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবোধ গঠনের লক্ষ্যে ভারতের একটি আঞ্চলিক ভাষা হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত নেন। ভারতের রাষ্ট্রভাষার এ ঘোষণাকে বাংলা ভাষাভাষী হিন্দুরাও মেনে নিয়েছিল।
-
নদীটির নাম হিসনা
নদীটির নাম হিসনা। এক সময় ওর প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ছিল পদ্মার সাথে। আসলে পদ্মা ওর মা। নদী যখন তার সন্তানের প্রন্তানকে প্রসারিত করে, তার চলার পথের দুধারে তখন ধারণ করে প্রমত্তা রূপ। পাড়ির কোন একটা অংশের বিপুল ভাঙন স্ফীত করে তার শরীর। তারপর সেই স্ফীত অংশটাকে চিরে দিয়ে প্রসারিত করে তার শাখা- প্রশাখা। হিসনাও নাকি কোন একসময় ছিল পদ্মার প্রত্যক্ষ শাখা নদী। যদিও এখন তাকে দেখে বোঝার আর কোন উপায় নেই সেও কখনও নদী ছিল। তার বুকেও উড়েছে হাজারও পাল।
-
কুষ্টিয়ার গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ
ঊনবিংশ শতাব্দির শেষভাগে কুষ্টিয়ার সন্তান মীর মশাররফ হোসেন রচনা করেন তাঁর অমরগ্রন্থ 'বিষাদ সিন্ধু'। কিন্তু প্রায় শতবর্ষ পর তারই জন্মভূমিতে যে আর একটি বিষাদ সিন্ধু রচিত হতে যাচ্ছে তা কি তিনি ভাবতে পেরেছিলেন? ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে হিংস্র পাক শ্বাপদরা আঘাত হানে লালনের দেশ কুষ্টিয়ায়। শুরু করে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ। কিন্তু কুষ্টিয়ার বাঘা যতীনের অনুসারীরা তাদের রুখে দিয়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। কুষ্টিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সেই বিজয় আখ্যান বর্ণনা করেছেন ইত্তেফাকের কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু।
-
৪ই ডিসেম্বর খোকসা মুক্ত দিবস
৪ই ডিসেম্বর খোকসা হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিন কুষ্টিয়ার ওই উপজেলায় বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান মুক্তিযোদ্ধারা।
-
হাসানুল হক ইনু
হাসানুল হক ইনু (জন্ম: ১২ নভেম্বর ১৯৪৬) বাংলাদেশের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী। তিনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল তথা জাসদের একাংশের নেতা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া তিনি ৬০ এর দশকের একজন নামকরা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তার বাড়ী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা।
-
সাংস্কৃতিক রাজধানী কুষ্টিয়ার দৈনিক সংবাদপত্র
মাতৃমমতায় ভরা আমাদের প্রিয় এই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ কুষ্টিয়া।সাহিত্য-সংস্কৃতির অপরুপ সম্ভারের পরিপূর্ণ কুষ্টিয়া বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী যেমন তেমনি দৈনিক সংবাদপত্রের জেলা হিসেবে পরিচিত এক অনবদ্য। আবার কুষ্টিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানী স্থাপিত করে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ইতিহাস রচিত হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীঃ শহীদ শহিদুল ইসলাম
ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন, সার্কিট কিংবা পাওয়ার হয়ত এই গুলো ছিল তাঁর আকর্ষণের বস্তু। স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছিল তড়িৎ প্রকৌশলী হবার। সেই লক্ষ্যে পূরণের শেষ ধাপ অতিক্রম করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ বর্ষে থাকতেই ডাক আসে দেশ মাতৃকা কে বাঁচানোর। অমোঘ সেই ডাক কে উপেক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই যুদ্ধ করে নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে স্বাধীন করে গেছেন আমাদের বাংলাদেশ কে।
-
মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী কুষ্টিয়ার দুর্বাচারা
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়। মাত্র নয় মাসের যুদ্ধে বর্বর পাক বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে অতি বিরল। এ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালীকে হারাতে হয়েছে ত্রিশ লাখ তাজা প্রাণ, অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রব আর অপরিমিত ধন সম্পদ। তবু এক বুক রক্তের বিনিময়ে বাঙালী পেয়েছে রক্তিম স্বাধীনতা। তাই বাংলার মুক্তিযুদ্ধ পৃথিবীর নির্যাতিত ও পরাধীনতার গ্লানিতে দগ্ধ মুক্তিপাগল মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।
-
বংশীতলার যুদ্ধ
দূর্বাচারা গ্রামে জিয়াউল বারী নোমানের নেতৃত্বে বি এল এফ এর একটি দল ছিল। তাদের পৃথক ক্যাম্প ছিল। এমন একটি ক্যাম্পের প্রধান ছিলেন শামসুল হাদী। ৫ই সেপ্টেম্বর তার অনুপস্থিতিতে ক্যাম্প ইনর্চাজ ছিলেন শাহাবুব আলী ও বাহার তাদের নেতৃত্বে প্রায় ২০০মুক্তিযোদ্ধা ছিল। রাজাকার বাহিনী কুষ্টিয়ার পিস কমিটিকে জানিয়ে দেয়। পিস কমিটি আর্মি ক্যাম্পে জানালে পাকিস্তানী বাহিনী ভাদালিয়া হয়ে দূর্বাচারার দিকে অগ্রসর হয় । পাকসেনা আসছে এ খবর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে পৌছে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা দূর্বাচারার ২ মাইল পশ্চিমে বংশীতলায় মধ্যরাত থেকে এ্যাম্বুশ করে।
-
কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
১৯৭১ সমসাময়িক উত্তাল বাংলাদেশের ঢেউ বেশ ভালোভাবেই আছড়ে পড়ে কুষ্টিয়াতে। ১৯৭১ এ এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কুষ্টিয়া জেলার ভূমিকা ছিল নেতৃস্থানীয়। আমরা আমাদের প্রবন্ধ শুরুর সময়কাল হিসেবে বেছে নিয়েছি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসকে।
-
মুক্তিযুদ্ধে কুষ্টিয়া
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য । ০৩ মার্চ কুষ্টিয়াতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ এর ১৭ই এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা বৈদ্যনাথতলাতে (বর্তমান মেহেরপুরের মুজিবনগর) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেন। এই সরকারের নেতৃত্বেই নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ কুষ্টিয়া চূড়ান্তভাবে দখলদারমুক্ত হয়।
Page 5 of 17