শফিকুল ইসলামের নাটক “সাঁইজির বাড়ী যাব” পাঁচটি অংশ ও ১৫টি চরিত্রের মোট ৫৬ পৃষ্ঠার নাটকের বই যা সম্পাদনা করেছেন কুষ্টিয়ার ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, গীতিকার নাজির উদ্দিন আহমেদ। প্রকাশক – লেখক নিজেই শফিকুল ইসলাম, জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া ( পুরাতন পাকার মাথা ), কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
প্রথম প্রকাশ ১৩ই ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১ ফাল্গুন ১৪২১ বঙ্গাব্দ। অক্ষর বিন্যাস – ফরিদ আহমেদ, ইউনিটি কম্পিউটার সেন্টার, ১০৫/৩ আর,সি,আর,সি রোড, কোর্টপাড়া, কুষ্টিয়া। মুদ্রন আহম্মেদ প্রেস, ৩৭/১ স্যার ইকবাল রোড ( নারিকেল তলা ), কুষ্টিয়া। প্রচ্ছদ নোভা মাল্টিমিডিয়া, রজব আলী সুপার মার্কেট, এন,এস,রোড, কুষ্টিয়া। সম্পাদনা ও প্রকাশনার সার্বিক তত্ত্বাবধান – নাজির উদ্দিন আহমেদ। বইটির মুল্য রাখা হয়েছে ৮০/- ( আশি টাকা মাত্র )।
লেখক পরিচিতি
লেখক শফিকুল ইসলাম এর জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৮০। পৈতৃক ভিটা – কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া গ্রামে। পিতার নাম মোঃ আব্দুল মান্নাফ, মাতার নাম সুফিয়া বেগম। শিক্ষাগত যোগ্যতা নবম শ্রেনী পাশ। তার রচিত উপন্যাস, নাটক ও কবিতা সবগুলোই পান্ডুলিপি আকারে রয়েছে। কেবলমাত্র “সাইজির বাড়ি যাব” নাটকটি প্রথম প্রকাশ। প্রকাশক লেখক শফিকুল ইসলাম নিজেই আর সম্পাদনার দায়িত্ব নেন ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, গীতিকার নাজির উদ্দিন আহমেদ।
লেখক শফিকুল ইসলাম পেশায় একজন হকার। ট্রেনে, বাসে, স্কুল-কলেজে, ষ্টেশনে সহ বিভিন্ন যায়গায় সে হকারি করে বেড়ায়। সে কুমারখালীর “দুর্জয়” নামের একটি নাট্য দলের সদস্য। শফিকুল ইসলামের লেখালেখি করার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই ছিলো, কিন্তু নানা জটিলতার কারনে সে লেখতে পারে না। ১৯৯৫ সাল থেকে তার লেখালেখি শুরু হয় তৈরি হয় নিজের লেখা বই প্রকাশ করার ইচ্ছা। যা থেকেই শফিকুল ইসলাম বেশ কিছু কবিতা, উপন্যাস ও নাটক লিখেছেন। কিন্তু সে তার এই ইচ্ছাকে এ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। শুধু এই নাটকের বইটি ছাড়া “সাঁইজির বাড়ি যাব”। লেখক শফিকুল ইসলাম তার নাটকের বইটি নিয়ে কুষ্টিয়াশহর.কম (kushtiatown.com) অফিসে এসে বেশ কয়েকবার অনুরোধ করে, তার লেখা এই বইটি আমরা যেন আমাদের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে সাঁইজির ভক্ত ও দেশের বিভিন্ন নাট্য গোষ্ঠিদের সহ পাঠক-পাঠিকা, নাটক অনুরাগী এবং সুধীমহলে জানাই যারা মঞ্চ নাটক করে থাকেন। তাই লেখকের অনুরোধ রাখতে আমার এই লেখা।
সম্পাদকের কথা
বাংলার গ্রাম পল্লীতে রয়ে গেছে, কতশত অসংখ্য নাম না জানা অবিকশিত, অবহেলিত কথাশিল্পী। তারা কেউ কেউ তাদের লেখা পাঠক মহলে উপস্থাপনের জন্য বই প্রকাশের প্রচেষ্ঠা করেও তা বিভিন্ন কারনে সামর্থ হারায়। এমন একজন লেখক, শফিকুল ইসলাম তার এলোমেলো অশুদ্ধ ও পরিমার্জিত নাটকের পান্ডুলিপি আমার কাছে উপস্থাপন করে, এবং পান্ডুলিপির ভুলত্রুটি সংশোধন ও সম্পাদনার জন্য অনুরোধ জানায়।
আমি তার নাটক ‘সাঁইজির বাড়ি যাব’ পান্ডুলিপির অশুদ্ধ ও অপরিমার্জিত সকল বিষয়াদি শুদ্ধ ও পরিমার্জিতভাবে সংস্করন করে যথোপযোগী করে তুলেছি, এবং তার অনুরোধে সম্পাদনা ও প্রকাশনার সার্বিক তত্ত্বাবধান নিঃস্বার্থভাবে গ্রহন করেছি,যাতে এই নবীন লেখকের মনের স্পৃহা পুরনে মনোকষ্ট দূরীভূত হয়।
বইটি মুদ্রনে প্রথম সংস্করন ভুলত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়। কারন, ভুল ভ্রান্তিই প্রকৃতি। সেহেতু এ-বিষয়ে পাঠকগন যদি তাদের সহায়তার হাত প্রসারিত করেন,তাহলে পরবর্তী মুদ্রনে ভুলত্রুটি সংশোধন করা সম্ভব হবে। তাই আমার সম্পাদিত “সাঁইজির বাড়ি যাবো” নাটকের বইখানি পাঠক-পাঠিকাদের হাতে তুলে দিলাম।
বইখানি পাঠক-পাঠিকা,নাটক অনুরাগী এবং সুধীমহলে সমাদৃত হলে, আমাদের এই শ্রম সার্থক হবে, এ প্রত্যাশা !
ছেউড়িয়া, মন্ডলপাড়া, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।
১৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৫ খ্রীঃ
১লা ফাল্গুন, ১৪২১ বঙ্গাব্দ
লেখকের কথা
আমি ১৯৯৫ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করি। কিন্তু অর্থাভাবে রচনাদি বই আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। দু-একটি কবিতা কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমি “সাঁইজির বাড়ি যাবো” নাটকটি প্রকাশের সংকল্প নিয়ে ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, গীতিকার ও কবি নাজির উদ্দিন আহমেদের শরণাপন্ন হই। এবং তার কাছে আমার নাটকের পান্ডুলিপি উপস্থাপন করে, তাকে পান্ডুলিপির সমস্ত ভুলত্রুটি সংশোধন ও সম্পাদনা এবং প্রকাশনার সার্বিক তত্ত্বাবধান-এর জন্য অনুরোধ জানাই। তিনি আমার অনুরোধে “সাইজির বাড়ি যাবো” নাটকের পান্ডুলিপির সমস্ত বিষয়াদির ভুলত্রুটি সংশোধন ও সম্পাদনা করে দেন। এবং তার সম্পাদিত বইটি প্রকাশনার সার্বিক তত্ত্বাবধান নিঃস্বার্থভাবে গ্রহন করে প্রকাশনায় আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। তার এই আন্তরিকতার জন্য আমি তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
আমার “সাঁইজির বাড়ি যাবো” নাটকটির সব চরিত্রয় কাল্পনিক। যদি কারো জীবনের সাথে এই নাটকের কাহিনী বা চরিত্র মিল হয়ে থাকে, অনুরোধ রইলো আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
“সাঁইজির বাড়ি যাবো” আমার এই নাটকের বইটি পাঠক মহলে সাড়া জাগলে তবেই আমাদের এই শ্রম সার্থক হবে। মুদ্রনে ভুলত্রুটি মার্জনীয়।
লেখক
শফিকুল ইসলাম
লেখক শফিকুল ইসলাম এর খুব ইচ্ছা আছে কেউ তার এই নাটকটি মঞ্চস্থ করুক। তাই নাটক অনুরাগী ও মঞ্চ নাটক পরিচালকগনদের ভেতরে কেউ যদি তার এই নাটকটি মঞ্চস্থ করতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন।