মশিউর রহমান রিংকু
তরুণ শিল্পী মশিউর রহমান রিংকু পরিচিত মূলত ফোক গান দিয়ে। ২০০৫ সালে একটি ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে পরিচিতি তৈরি হয় তাঁর। ছোটবেলায় কথা বলতে শেখার সাথে সাথেই শুরু হয় তাঁর গান গাওয়া। গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠায় আগ্রহ তৈরি হয় ফোক গানে। ফোক গানে আধুনিক যন্ত্র সংযোজন করে গান করেন রিংকু। এজন্য তাঁকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে। তবু তিনি মনে করেন গানের মৌলিকতা ঠিক রেখে আধুনিকায়ন করাটা সময়োপযোগী কাজ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিনি লোকগান সংগ্রহ করেছেন।
লোকগানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে ‘আদি’ নামে একটি ব্যান্ডও গঠন করেছেন রিংকু। সামনে লালনের ১০০ গান নিয়ে তিনি অ্যালবাম বের করবেন যেটা বাংলাদেশ ও ভারত থেকে প্রকাশিত হবে।
-
পর মানুষে দুঃখ দিলে
পর মানুষে দুঃখ দিলে দুঃখ মনে হয় না
পর মানুষে দুঃখ দিলে
দুঃখ মনে হয় না।
আপন মানুষ কষ্ট দিলে
মেনে নেওয়া যায় না॥ -
এসব দেখি কানার হাট বাজার - হাট বাজার
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
এসব দেখি কানার হাট বাজার
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।। -
বাউল
বাউল (Baul) একটি বিশেষ লোকাচার ও ধর্মমত। এই মতের সৃষ্টি হয়েছে বাংলার মাটিতে। বাউলকূল শিরোমণি লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচতি লাভ করে। বাউল গান যেমন জীবন দর্শনে সম্পৃক্ত তেমনি সুর সমৃদ্ধ। বাউলদের সাদামাটা কৃচ্ছসাধনার জীবন আর একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোই তাদের অভ্যাস। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করে।