বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

বাউল মতের শিকড় সন্ধানে
বাউল মতের শিকড় সন্ধানে

কিছু প্রাসঙ্গিক কথা(এক)

বাউল কথাটি কোথা থেকে উৎপত্তি তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে গবেষকগনের মতে শ্রী চৈতন্য দেবের জন্মের বহু পূর্বে এর আবির্ভাব। “চর্চাপদ” এর উপপাদ্য যা কালোচিত বিবর্তনের ধারায় বৈঞ্জব রসবাদে যুক্ত হয়। এর সঙ্গে ভারতীয় যোগ আর সুফি তত্ত্বের সাদৃশ্য। বর্তমানে এর শীর্ষস্থানে লালন শাইজী, তিনি হিন্দু কি মুসলমান কোন জাতি গোত্রের দাবীদার নয়। একজন মানবতাবাদী মহামানবের পক্ষে তা সম্ভবও নয়, বিশ্বের বিচিত্রতা ও বিশালতার কাছে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থানও নেই।

বর্তমানে লালন শাইজীর জীবনী নিয়ে যে সমস্ত জাল জালিয়াতি আর কল্পিত কাহিনীর সৃষ্টি হচ্ছে, সেই সমস্ত বাতুলতা সন্মন্ধে কবির ভাষায় একটি কথায় বলবঃ-

“কোন কালেতে কেটে গেছে কালীদাসের কাল। পণ্ডিতেরা তর্ক করেন নিয়ে তারিখ সাল।।”

গানগুলি বিকৃত ও বিলুপ্ত হয়েছে সেই সঙ্গে বিকৃত হয়েছে মত, পথ আর বিনষ্ট হয়েছে আসল সৌন্দর্য।

সবলোকে কয় লালন ফকির হিন্দু না যবন
লালন বলে আমার আমি না জানি সন্ধান।।
বিবিদের নাই মুসলমানি, পৈতা নাই যার সেওতো বাউনি,
বোঝরে ভাই দিব্য জ্ঞানী, লালন ফকির তেমনি খাতনার জাত একখান।।

ডঃ আবুল আহসান চৌধুরীর মতে “খাতনার জাত” কথাটি ঠিক নয়। কারণ যে গানের প্রথমে বলা হয়েছে আমার আমি না জানি সন্ধান, ঠিক সেই গানের শেষে যদি বলা হয় “খাতনার জাত”, তাহলে পরস্পর বিরোধী দুইটি কথা বৈধ বলে স্বীকার করা যায় না। তাছাড়াও পাঞ্জু শাহের সুযোগ্য পুত্র মরহুম খন্দকার রফিউদ্দিন সাহেবের ভাব সঙ্গীত গ্রন্থের ৯১ পৃষ্ঠা ২৫১ নং ঐ গানে ‘খাতনার জাত’ কথাটি কোথাও উপস্থিত নেই।

বিবিদের নাই মুসলমানি, পৈতা নাই যার সেওতো বাউনি,
বোঝরে ভাই দিব্য জ্ঞানী, লালন ফকির তেমনি জাতি একজন।।
গানগুলি যে বিকৃত হয়েছে তাঁর আরো একটা প্রমাণ দেওয়া যায়।
“সব সৃষ্টি করল যে জন, বল তাঁরে সৃষ্টি কে করেছে।”
(লালন সংগীত ১ম খণ্ড ২৯)

এই প্রশ্নটি শাইজী ছাড়াও অন্যান্য দার্শনিকগনের চিন্তার সুক্ষ সাক্ষ্য কিন্তু গানের পরের কথাগুলি সুক্ষ দৃষ্টির আলোকে খুব একটা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাছাড়াও এমন কিছু গান আছে, সেগুলিতে শাইজীর ভণিতা থাকলেও শাইজীর রচনা বলে হয় না। শাইজীর কতগান রচনা আছে, সে সম্নধে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তাঁর মীমাংসা করা একপ্রকার অসম্বভ, তবে আমার বাউল মতের গুরু কোকিল সাঁই বাবাজীর মুখে শোনা আছে, তাঁর আমলে ছেউড়িয়াতেই সাড়ে এগারশ ছিল আরো তাঁর বাইরেও ছিল। গানের খাতাগুলি এক একজন নিয়ে যায় তা আর কেউ ফেরত দেয় না।

শাইজীর ধর্মমত নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আমার মনে হয় তাঁর মীমাংসা তিনি নিজেই করে গেছেন।

ডাইনে বেদ বামে কোরআন।
মাঝখানে ফকিরের বয়ান।

অন্যত্র বলেছেনঃ-

নাড়ার নাড়ি ভাবের গোড়া। তার করণ বেদ বিধি ছাড়া।।

তবে দিব্য জ্ঞানী সাধু মহৎ দার্শনিকগনের নিজস্ব বা স্বতন্ত্র একটা ধর্মত আছে। সেগুলি আমাদের পক্ষে বোঝা খুবই কঠিন। তবে তাঁদের বেলায় এটুকুই বলা যায় মানবধর্ম, মানবতন্ত্র, বিস্তারিত অর্থে প্রাকৃতিক মানবতন্ত্র। (Natural Humanism) তাই বলে অন্য কোন ধর্মীয় মহৎ শিক্ষাকে বাদ দেওয়া হয় না, তাই অন্য কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দোষ ধরা উচিত হবে না।

সঙ্গীত গুলিকে বিভিন্ন ধারায় উপধারায় ভাগ করা যায়, তার মধ্যে সাধন সঙ্গীতগুলি চার ভাগে বিভক্ত, যথাক্রমে স্থুল, প্রবর্ত, সাধক, সিদ্ধ, পারিভাষিক জটিলতার কারণে আর আমার দক্ষতার অভাবে সেদিকে না যেয়ে সহজবোধ্য দিকটাই আলোচনা করছি। নবুয়ত-বিলায়েত এই গানগুলির দিকে লক্ষ্য করেই আকৃষ্ট হয়েছে মুসলমান ভক্তগণ। আর রাধাকৃষ্ণ গৌরাঙ্গ তত্ত্ব সন্মন্ধীয় সঙ্গীতগুলির দিকে লক্ষ্য করে আকৃষ্ট হয়েছেন হিন্দু ভক্তগন যদিও সেগুলির বেশী পরিমান পারিভাষিক, এর আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে দার্শনিক তত্ত্বের গান সেই দিকটাই লক্ষ্য করে আকৃষ্ট হয়েছেন, গতানুগতিক বুদ্ধির বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া সত্যের সন্ধানী দরদী মনের ভক্তগন, এই গান গুলো মনে হয় বিলুপ্ত হয়েছে বেশী পরিমানে। পরিবেশ চর্চা আর সংরক্ষণের অভাবে, যাও সামান্য কিছু পাওয়া যায় তার বিচার বিশ্লেষণ করে বলাও কল্পনাবিলাসী, দর্শনদ্রোহী, প্রথাসিদ্ধ, সামাজিক দিক দিয়ে বিপজ্জনক।

তবে এই দার্শনিক তত্ত্বগুলি রাজনীতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে নয়, সদা স্বতন্ত্র। নিজস্ব একটা স্বতন্ত্র দিব্য দর্শনের ধারা থাকা সত্ত্বেও নিজস্ব একটা মত পথ গড়ে ওঠেনি, মনে হয় ঔপোনিবেশিক কারণে। জীবনে আর প্রকৃতির নিয়ম বিধানকে তুচ্ছ জেনে উপনিবেশবাদ আর পরকাল নির্ভরশীল মধ্যযুগীয় খন্ডিত চিন্তা চেতনা বাঙ্গালী জাতির উপর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় বাউল গানের কড়চায়।

মরমীগণ যথাক্রমে আউল, বাউল, সাঁই, দরবেশ, নেড়া, নেড়ী, সহজিয়া, কর্তাভজা আরও কিছু গুরুবাদী শাখা-প্রশাখা আছে, এই সমস্তগণের আচার-আচরণ এক থাকার কারণে, এই মতের লোকগুলি একই সঙ্গে সাধু সঙ্গ করেন, ধর্ম বিশ্বাসের নামে এই সমস্তগণের ভিতর কোন প্রকার অসহিঞ্জুতা দেখা যায় না। মানবতা ছাড়া সাম্প্রদায়িকতা শিক্ষা দেয় না, অন্য কোন সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধ করেনা কিন্তু সমস্ত সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধ করেনা কিন্তু সমস্ত সংস্কৃতি থেকে পৃথক।

সাধনতত্ত্ব নিয়ে যে সমস্ত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আমি সেই সম্নন্ধে সামান্য কিছু আলোচনা করছি। অধ্যাপক ডঃ উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য মহোদয় তাঁর “বাংলার বাউল ও বাউলগান” গ্রন্থে চারি চন্দ্রের সাধন সন্মন্ধে বলেছেন যে, মল-মুত্র, রজঃবীর্য মিলন করে বাউল সাধকগণ পান করেন, এইটাই নাকি চারিচন্দ্রের সাধন। এটা শুধু ডঃ ভট্টাচার্য মহোদয়ের একার কথা নয় প্রকৃত তত্ত্ব না জানা আরো অনেকের। এটা প্রকৃত লালনপন্থী বাউলগণের বেলায় অত্যন্ত আপত্তিকর। আমি সেই চারিচন্দ্রের সাধন। এটা প্রকৃত লালনপন্থী বাউলগণের বেলায় অত্যন্ত আপত্তিকার। আমি সেই চারিচন্দ্রের সাধন সংগীতগুলির কিছু কিছু অংশ উপস্থিত করে ঐ সমস্ত ভ্রান্ত ধারণাগুলির অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছি, জানিনা কতদূর তথ্য নির্ভর আর বিশ্বাসযোগ্য হবে। গানগুলিকে ধারাবাহিকভাবে না সাজিয়ে ব্যাখ্যা করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী, সেই সঙ্গে পারিভাষিক অর্থ জানা প্রয়োজন। সত্য তৈরি করা যায় না, অনুসন্ধান করে নিতে হয়।

চেয়ে দেখ নারে মন দিব্য নজরে,
চারি চাঁদে দিচ্ছে ঝলক মণিকোঠার ঘরে।।
হলে সেই চাঁদের সাধন, অধর চাঁদ পায় দরশন,
চাঁদেতে চাঁদের আসন, রেখেছে ঘিরে।।

এবারে লক্ষ্য করা যেতে পারে, মণিকোঠা আর চাঁদেতে চাঁদের আসন ঘিরে রেখেছে। আরও একটা সাধন সঙ্গীতের কিছু অংশ উল্লেখ করছি।

সেই মণি বাঁধা ঘাট, মাঝে মুকুন্দ কপাট।
চারি চন্দ্র শহরে ফেরে, মাঝ খানে সে লাট।।

এবারে সহজেই অনুমেয়, চারি চন্দ্রের ভিতরে (লাট) আরও একটা পৃথক সত্ত্বা। এবারে আরও একটা সঙ্গীতের কিছু অংশ।

চারি চন্দ্রে এক চন্দ্র ঢাকা রয়,
ক্ষণেক ক্ষণেক পৃথক রূপ হয়,
সেই মণিকোঠার খবর সেই জানে।।

এবারে সহজেই বোঝা যায় যে, চারি চন্দ্রের সাধন সন্মন্ধে যা বলে লোক চক্ষে হেয় প্রতিপন্ন আর অপাংত্তেয় করা হয় সেগুলি আদৌ সত্য নয়। আরও একটা সাধন সঙ্গীতের কিছু অংশ উপস্থিত করছি।

সেই চন্দ্রপক্ষ কয়, নেত্র বেদ হয়,
দ্বিগুণ করিরে ভেদ, জানলে জানা যায়,
কর চৌগুণের গুণ, তাতে হয় স্তম্ভন।।

অর্থাৎ চারি চন্দ্রের ক্রমসাধনাবলে সাধনগণ স্তম্ভন শক্তি লাভ করেন। পতনের হাত থেকে রক্ষা আর শুক্রাণু নিয়ন্ত্রক করে, জন্মদান নিয়ন্ত্রণ করা সহজসাধ্য হয়। মরমীগনের ধারণা যাদের শক্রানু আর জন্মদান নিয়ন্ত্রণে নেই তাঁরা অনেক অশান্তি আর দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পায় না। এটা সংসারীগনেরও কল্যাণ বহন করে। নির্বাচিত করা যায় নিজের সংসারকে। অবশ্যম্ভাবী যেখানে উপেক্ষিত, অশান্তি সেখানে অনিবার্য। চারিচন্দ্রের সাধনা প্রাকৃতিক নিয়মতান্ত্রিক আর গাণিতিক, এর ভিতর কোনও প্রকার পৈশাচিকটা নেই। এ প্রসঙ্গে যেটা সহজে জানা যায় সেটা সহজে গ্রহণ করা যায় না, আর যেটা গ্রহণ করা যায় সেটা সহজে জানা যায় না। পদ্ধতিগত দিক ছাড়া এর সঠিক মূল্যায়ন অসম্ভব। সবচেয়ে বেশী অসুবিধা হচ্ছে পারিভাষিক জটিলতা।

তিনজনা সাত পান্থির উপরে,
আধা পান্থি আছে ধরা জানগা যা তাঁরে।
লালন বলে তাই জানিলে, মিলবেরে পথের দাড়া।।

আমার পক্ষে এই পরিভাষায় পরিবেষ্টিত পরিভাষার অর্থ করা আদৌ সম্ভব নয় কিন্তু এমন কোন বিশ্ব পণ্ডিত আছেন যে তিনি এর অর্থ করে বোঝাতে পারেন? আমার মতো না জেনে জানার ভান করা লোক হাজার হাজার।

ঐ গ্রন্থের ভট্টাচার্য মহোদয় সাড়ে চব্বিশ চন্দ্রের কথা বলেছেন, সাধন কথা বলেননি। হাতে পায়ের কুড়ি আঙ্গুল কুড়ি চন্দ্র, চক্ষু-কর্ণ চারি চন্দ্র, আর নাভি মূল অর্ধ চন্দ্র, এই কথাগুলিও অগ্রহণযোগ্য। এটাও প্রাকৃতিক নিয়মতান্ত্রিক আর গাণিতিক গতিধারা ভিন্ন, এর সব কিছুই দেহতত্ত্ব নয়, দেহের বাইরেও, আর তা হচ্ছে ব্রক্ষান্ড তত্ত্ব।(Cosmology)

১. সাড়ে চব্বিশ চন্দ্র সাধন, অঙ্গে করিয়ে ধারণ, বাণে পঞ্জ গুণ করে,
২. শুদ্ধ করিয়ে ভাগু, যায় ব্রক্ষন্ড, অখণ্ড ধামের উপরে।
৩. যে লীলা ব্রক্ষান্ডের পরে, কি দিব তুলনা তাঁরে,
৪. রসিক জনা জানতে পারে, অরসিকে চমৎকার।।
৫. স্ত্রীলিঙ্গ পুংলিঙ্গ আর নপংশুকে শাসিত কর,
৬. যে লিঙ্গ ব্রক্ষান্ডের উপর, তাহে প্রকাশি।।

মনে হয় সাড়ে চব্বিশ চন্দ্রের সাধনায় জীবনের আনন্দ, কল্যাণ অব্যাহত থাকে, খুব সম্ভব চিকিৎসক আর বিচারক লাগে না। ষঠচক্রের কঠোরতা আর অধিবিদ্যার অসম্ভবতা এতে নেই মরমীগণের প্রথানুসারে ভজনে বিঘ্ন সৃষ্টি আর আত্না বৈরি হওয়ার ভয়ে, তাঁদের ভজন কথা একমাত্র সত্য সংযম রক্ষাকারী নীতিজ্ঞান পরিপুষ্ট নিষ্ঠাবান ভক্ত ছাড়া বাইরের কারও পক্ষে জানা সম্ভব নয়।

অনেকে মনে করেন, লিখে যা বলে প্রকাশ করলেই অনেক কিছু পরিবর্তন করে দেওয়া যায়। বাস্তবে তা কোন ক্রমেই সম্ভব না আর অপাত্রে দান করিলে বিষময় ফল ফলে এটা বহু পরীক্ষিত, বহু প্রমাণিত। পরম কল্যাণকর কোন তত্ত্ব যদি উপলদ্ধি না হয়ে পুঁথিগত হয় তাহলে সেটা গবেষণাগারের বিষয়বস্তু হয়ে দেখা দেয়, আর তাঁর দ্বারা মানবগণের অকল্যাণের দিগন্ত সৃষ্টি হতে পারে।

এই মতের দুইটা দিক বহু কষ্টে জানা গেছে, একটা হচ্ছে সত্য সংযম রক্ষা করে নিষ্ঠা ভক্তির ভিতর দিয়ে চরিতার্থের পথে এটা নিরাপদ এবং বিলম্বে ফলপ্রাপ্ত হয়, আর একটা জীবন আর প্রকৃতির নিয়ম বিধানের অন্তর্নিহিত তথ্যের আত্নহিতকর পদ্ধতি অবলম্বন করে সিদ্ধি লাভের পথে সেটা সদ্য ফলপ্রাপ্ত কিন্তু বিপদও আছে।

“যে জন সুধার লোভে যেয়ে মরে গরল পিয়ে, মন্থনের সুতার জানে না তাঁরা”

এইটা আগে শিক্ষা দেওয়া হয় না, এখানে যোগ্যতার প্রশ্ন আছে। এই জ্ঞান সহজ সঞ্চারিত না হওয়ায় এর স্থান হয় অসাধারণ পন্ডিতগনের কাছে আর হীন কর্তৃত্ব, যার সংখ্যা একেবারেই সীমিত। এটা আজও পযন্ত গুরু গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ।

বহু পূর্ব থেকে এই মত পথকে রক্ষা করার চেয়ে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা বেশী। কারণ মনে হয়, বোধের অসমর্থতাই, সাহিত্য দর্শনের মাপকাঠি, না হয় তাঁদের স্বভাব। আবার এটাও হতে পারে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সার্বিক ব’লে মনে করা। উর্বর মস্তিস্ক আর শক্তিশালী কেন্দ্র যা বলে, সাধারণ মানুষ তাই বিশ্বাস করে, বিচার করে দেখে না।

পরিশেষে বলবঃ

উপায় সুপাধি হেতু উপাধি সম্বব।
ধৈর্য অবলম্বনে বিনে বুঝিতে দুর্লভ।। (ভাবের গীত)

কবিরাজ শ্রী মনোরঞ্জন বসু
৪/ দরি মাগুরা (সাহা পাড়া)
০২/০২/১৯৯৮ ইংরেজি

Add comment

সংস্কৃতি এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন