কবি
কবি সেই ব্যক্তি বা সাহিত্যিক যিনি কবিত্ব শক্তির অধিকারী এবং কবিতা রচনা করেন। একজন কবি তাঁর রচিত ও সৃষ্ট মৌলিক কবিতাকে লিখিত বা অলিখিত উভয়ভাবেই প্রকাশ করতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট, ঘটনাকে রূপকধর্মী ও নান্দনিকতা সহযোগে কবিতা রচিত হয়। কবিতায় সাধারণত বহুবিধ অর্থ বা ভাবপ্রকাশ ঘটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধারায় বিভাজন ঘটানো হয়। কার্যত যিনি কবিতা লিখেন, তিনিই কবি।
-
মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না
কুলবিল মুমিনিন আরশে আল্লাহ
কুলবিল মুমিনিন আরশে আল্লাহ
এইতো আল্লাহর ঠিকানা
ওরে মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না।। -
আমি বলব কি শুনবে কে বুঝবে কিরে ধুন্দা
এই দুনিয়া মায়ার জালে বান্ধা
আমি বলব কি শুনবে কে বুঝবে কিরে ধুন্দা
এই দুনিয়া মায়ার জালে বান্ধা।। -
মন তুই দেখবি বল কারে ?
সকল গোল-মাল মিটে যাবে তারে দেখলে
সকল গোল-মাল মিটে যাবে তারে দেখলে
সু-নজরে দেখবি বল কারে মন তুই দেখবি বল কারে।। -
আঁধারে ঘিরিলো কোথা যাই বলো
কে দেবে আমারে পথ দেখাইয়ারে
আঁধারে ঘিরিলো কোথা যাই বলো
কে দেবে আমারে পথ দেখাইয়ারে
আঁধারে ঘিরিলো।। -
কত আশা ছিল
আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া
আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া।।
জীবনও ভরিয়া কাঁদিতে হইলো -
পিরিতি জান্নাতি ফল ধরলনা মোর বাগানে
আমি কি সুখে জীবন খাটাবো, যাবো বলো কোনখানে
আমি কি সুখে জীবন কাটাবো
যাবো বলো কোনখানে?
পিরিতি জান্নাতের ফল
ধরলো না মোর বাগানে।। -
এ বিশ্ব বাগানে সাঁই নিরাঞ্জনে
মানুষ দিয়া ফুটাইল ফুল
এ বিশ্ব বাগানে সাঁই নিরাঞ্জনে
মানুষ দিয়া ফুটাইল ফুল। -
জালাল উদ্দিন খাঁ
জালাল উদ্দীন খাঁ (১৮৯৪-১৯৭২) পূর্ব ময়মনসিংহের একজন বিশিষ্ট বাউল কবি ও গায়ক। তাঁর জন্ম নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটি গ্রামে। তাঁর পিতার নাম সদরুদ্দীন খাঁ।
-
আমার জনম গেল বিনা সাধনে
সারা জীবনের ভুল ওরে আমার পড়েছে মনে
আমার জনম গেল বিনা সাধনে
সারা জীবনের ভুল ওরে আমার পড়েছে মনে
এখন কি করিতে কি করি হায় রে
আমার দিন গেল মনের ভ্রমে।। -
পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে
সে আমারে ভুলবে কেমনে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে
পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে
সে আমারে ভুলবে কেমনে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে।। -
তুমি জানো নারে প্রিয়
তুমি মোর জীবনের সাধনা
তুমি জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না।। -
কি সাপে কামড়াইল আমারে
ওরে ও সাপুড়িয়া রে জ্বলিয়া পুড়িয়া মলেম বিষে
কি সাপে কামড়াইলো আমারে
ওরে ও সাপুড়িয়া রে
জ্বলিয়া পুড়িয়া মলেম বিষে।। -
বিজয় সরকার
কবিয়াল বিজয় সরকার (ফেব্রুয়ারি ১৬, ১৯০৩ - ডিসেম্বর ০৪, ১৯৮৫) একজন বাউল কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকার। তিনি ২০১৩ সালে একুশে পদক পান।
-
ভবা পাগলা
ভবা পাগলা (১৮৯৭-১৯৮৪) আসল নাম ‘ভবেন্দ্র মোহন সাহা’। তাঁর জন্ম আনুমানিক ১৮৯৭ খৃস্টাব্দে। তাঁর পিতার নাম ‘গজেন্দ্র কুমার সাহা’। ভবা পাগলারা ছিলেন তিন ভাই এক বোন। তিনি দেখতে ছিলেন একরকম হালকা পাতলা গড়ন, গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, মাথায় ঝাঁকড়া চুল, চিবুকে এক গোছা দাঁড়ী।
-
ফুল-ফাগুনে - কবি আজিজুর রহমান
ফাগুনে ফুল-বনে রূপেরই খেলা,
পাপড়ি-পাতায় হাসি খুশীর মেলা। -
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - গুরুদেব, কবিগুরু, বিশ্বকবি
বাঙলা ভাষার অন্যতম কবি, গীতিকার, সুরকার, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, শিক্ষাবিদ, সমালোচক ভাষাবিদ, চিত্রশিল্পী, চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজ-সংস্কারক।
-
বিষাদ-সিন্ধু - মীর মশাররফ হোসেন
Bishad Shindhu
বিষাদ-সিন্ধু কারবালার যুদ্ধক্ষেত্রকে উপাত্ত করে রচিত মীর মশাররফ হোসেনের ঐতিহাসিক উপন্যাস। এটি যথাক্রমে ১৮৮৫, ১৮৮৭ ও ১৮৯১ সালে তিন ভাগে প্রকাশিত হয়; পরবর্তীতে সেগুলি একখন্ডে মুদ্রিত হয়।
-
বাঙালী নান্দনিকতায় রবীন্দ্রনাথ
নীহাররঞ্জন রায় "বাঙ্গালীর ইতিহাস : আদি পর্ব" প্রবন্ধে বলেছেনঃ-
.. .. .. কাজেই, রাজা, রাষ্ট্র, রাজপাদোপজীবী, শিল্পি বণিক, ব্যবসায়ী, শ্রেষ্ঠী, মানপ, ভূমিবান মহত্তর, ভূমিহীন কৃষক, বুদ্ধিজীবি, সমাজসেবক, সমাজশ্রমিক, ‘অকীর্তিতান্ আচন্ডালান্ ’প্রভৃতি সকলকে লইয়া প্রাচীন বাংলার সমাজ। ইহাদের সকলকে লইয়া তবে বাঙালীর কথা, বাঙালীর ইাতিহাসের কথা।
-
কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম (জন্মঃ- মে ২৫ ১৮৯৯, মৃত্যুঃ- আগস্ট ২৯ ১৯৭৬ ইংরেজি) (জন্মঃ- জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ – মৃত্যুঃ- ভাদ্র ১২, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালী মণীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
-
রবীন্দ্রনাথ প্রতিটি বাঙ্গালীর মজ্জায় মিশে আছে - আবুল মাল আব্দুল মুহিত
বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের চেতনা, আমাদের অনুপ্রেরণা, বাঙালির জাতিসত্বা ও চলার শক্তি এবং প্রতিবাদের হাতিয়ার। বাঙালী জাতি বড় ভাগ্যবান যাদের সঠিক পথের দিশারী হিসেবে পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথকে।
Page 2 of 5