আধ্যাত্মিক সাধক চিশতীয়া নিয়ামীয়া তরিকার পীর মনসুর শাহ্ চিশতী। ইলমে মারেফাতের জগতে তিনি উচ্চতর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে তিনি দেশে বিদেশে ভক্ত অনুরাগীদের মাঝে এখনও বেঁচে আছেন।
তার প্রায় লক্ষাধিক শীর্ষ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিম বাংলাতে তার বহু শিষ্য রয়েছে। তার জন্ম ১৮৭১ সালে কুষ্টিয়ার মজমপুর ইউনিয়নের উদিবাড়ী গ্রামে। তার পিতার নাম-হাদি উদ্দিন। ১৯৮৭ সালে তার মৃত্যুর পর ১৯শে পৌষ ওফাৎ দিবস ও ৩রা চৈত্র, ২১শে আশ্বিন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। দিবসগুলোতে উদিবাড়ী দায়রা পাক দরবার শরীফে আলোচনা সভা ও ওয়াজ মাহফীলের আয়োজন করা হয়।
মাজারের খাদেম মেজবাউর রহমান জানান, অনুষ্ঠানে দেশ বিদেশ থেকে তার অনেক ভক্ত অনুরাগীরা সমবেত হয়। এছাড়াও তার মাজার দর্শনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষের আগমন হয়। তবে মনসুর শাহের মাজার কেন্দ্রিক কোন ধরনের শিরক বিদআতী কার্যক্রম যেমন কবর সেজদাসহ কোন শরীয়ত বিরোধী কর্মকান্ড হয় না। তার মৃত্যুর পর মনসুর শাহের সন্তান রুহুল আলম চিশতী গদিনশীন পীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। মনসুর শাহের লিখিত ২১টি গ্রন্থ এলমে মারেফাতের অনন্য কিতাব হিসাবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
এর মধ্যে ছেররোল কোরআন, স্বর্গীয় প্রেম, তৌহিদে এলাহী, হাদিস পরিচয়, আশেকে রাসুল (সাঃ), নামাজ পরিচয়, নামাজের গুপ্ত পরিচয়, রত্নমালা, মুক্তির আলো, রোজার পরিচয়, ইচিৎ বাণী বা খোদা প্রাপ্তির পথে, মারেফতের চাবুক, জ্ঞান সিন্ধু, দেওয়ান শরীফ, অন্ধের চুদান, সত্যের আলো, কর্ত্তব্য পালন, আমপারার কাব্যানুবাদ, শেজারায়ে তায়েবা, আল্লাহ প্রদত্ত কোরআন কৈ, নেয়ামতে খোদা, আসরার এলাহী, মনসুরের বানী, রদ্দে বদগুমান, হাক্কোল মোবিন উল্লেখযোগ্য।
কিভাবে যাওয়া যায় মনসুর শাহ্ মাজার:
কুষ্টিয়া মজমপুর গেট হতে রিক্সা, ভ্যান, অটোরিক্সায় উদিবাড়ী গ্রামে শাহ্ সুফী মনছুর শাহ্ এর মাজারে আসা যায়।
অবস্থান:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উদিবাড়ী গ্রাম।