বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

জমিদার বাড়ির বাধা ঘাট - নড়াইল
জমিদার বাড়ির বাধা ঘাট - নড়াইল

রূপগঞ্জের চিত্রা নদীর পাড়ে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো জমিদারদের বাঁধা ঘাটটি। রোমান স্থাপত্যের আদলে নির্মিত ঘাটটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। ঘাটের ওপরের অংশে আছে ২০টি কারুকার্যময় থাম, প্রতিটি ২০ ফুটের মতো উঁচু। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চাকরি করতেন খুলনা কালেক্টরেটে। সেখান থেকে তিনি নৌকায় আসতেন নড়াইল মহকুমা শহরে। পথেই ছিল জমিদারবাড়ির বাঁধা ঘাটটি।

বঙ্কিমচন্দ্র চিত্রা নদীতে নৌকায় বসে কারুকার্যময় ঘাটটি দেখতেন। নড়াইল জমিদারদের বিভিন্ন ইতিহাস আর ঘাটটির প্রতি তৈরি হওয়া ভালোবাসার চিহ্ন পাওয়া যায় তাঁর 'কমলাকান্তের দপ্তর' আর 'কৃষ্ণকান্তের উইল' গ্রন্থে। নড়াইল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই ছিল জমিদারদের বসতি।

১৯৫১ সালের পর ধীরে ধীরে তাঁরা দেশান্তরী হতে থাকেন। রেখে যান বিশাল বিশাল কারুকার্যময় প্রাসাদ, চিত্রা নদী তীরের বাঁধা ঘাট, ভিক্টোরিয়া কলেজ, মঠ, মন্দিরসহ নানা কীর্তি। তাঁরা যাওয়ার পর লুটপাটের শিকার হয় জমিদারবাড়ি।

১৯৮৩-৮৪ সালে সরকারি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে পুলিশ লাইন, সরকারি শিশুসদন। টিকে আছে ক্ষয়িষ্ণু দুটি পিলার, একটি মঠ, আর একটি সর্বমঙ্গলা মন্দির। জমিদারবাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের ঘাটটি ছিল সংরক্ষিত। এটি শুধু জমিদারবাড়ির মহিলারাই ব্যবহার করতেন। জমিদারবাড়ি থেকে পালকিতে ঘাটে নেমে স্নান সারতেন জমিদারবাড়ির কন্যা-জায়া-জননীরা।

ভিক্টোরিয়া যুগের সেই প্রাচীন ঘাটটি এখন পরিচিত চিত্রাপাড়ের রূপগঞ্জ বাঁধা ঘাট নামে।

কিভাবে যাবেনঃ-

নড়াইলে পৌঁছে আপনি রিকশা অথবা ভ্যানে করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারবেন। তবে সবকিছু ভালভাবে দেখার জন্য আপনি পায়ে হাঁটতেও পারেন। এই ঘাটটি নড়াইল শহর থেকে খুব বেশি দূরে অবস্থিত নয়।

Add comment

ইতিহাস এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন