Dol purnima festival
লালন স্মরণে দোল পূর্ণিমা উৎসবের আজ শেষ দিন। এবারের উৎসবে দেশের সব জেলা থেকেই লালন ভক্তরা ছুটে এসেছে। এছাড়া বাংলাদেশের বাহির থেকেও অনেক লালন ভক্তরা এসে তার ধামে ভিড় জমিয়েছে।
সাধু সঙ্গ এবং লালন গান গেয়ে স্মরণ করা হচ্ছে তাঁকে। তাঁর গানের অর্থ এবং ভাব বিনিময় হচ্ছে এই দোল পূর্ণিমায়। লালনের গান এবং তাঁর বাণী শুরু হয় মধ্য রাতে সে এক অপুরুপ দৃশ্য।
পূর্ণিমার চাঁদ যখন মাথার উপর আসে অন্য দিকে লালনের পাগল করা গান। এক সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই রাতে লালনের কথা গুলাকে পুনরায় শুনানো হয়। মানব জাতির কৃপার জন্য।
তাঁর কোন কথাই জেনো ফেলে দেবার নয়। তাঁর প্রত্যেক কথাতেই মর্ম আছে। যদি কেউ সেটাকে উপ্লব্দধি করতে পারে।
তাঁর বাণী কোন ধর্মকে ছোট করেনি বরং তাঁর কথার সাথে সব ধর্মের কথার মিল পাওয়া যায়। সকল ধর্ময় শান্তির জন্য, লালন ও ঠিক তাই করে গেছেন মানুষের কল্যাণের কথা বলে গেছেন।
দোল পূর্ণিমাতে কেন লালন স্মরণ উৎসব হয় ?
নিজামুদ্দিনের ধারণা, হয়তো দোল পূর্ণিমার তিথিতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন বলেই লালন তাঁর জীবদ্দশায় ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে খোলা মাঠে শিষ্যদের নিয়ে সারারাত ধরে গান বাজনা করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় এখনো লালন একাডেমীর প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের দোল পূর্ণিমার রাতে তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণউৎসব এর আয়োজন করে থাকে।
লালন জীবিত থাকতে ফাল্গুনের পূর্ণিমাতে, তাঁর শিষ্যদের নিয়ে সারা রাত গান করতেন নিয়মিত। তাই তিনি বিদায় নেওয়ার পর থেকে ফাল্গুনের দোল পূর্ণিমাতে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠান করা হয়। আর এই আয়োজন করে থাকে "লালন একাডেমী" সরকার দ্বারা পরিচালিত।
এবারের উৎসবে যারা আসতে পারেননি তাদের সামনের "দোল পূর্ণিমাতে" আমন্ত্রন রইল।