আশক মাশুক কথা বলি এইখানে
আশক মাশুক কথা বলি এইখানে।
আশক বুঝিয়া কর পাবে নিরাঞ্জনে।।
দরদে আশক করে মেয়েদের ধ্যানে।
মেয়েরা আশক করে মরদের পানে।।
এ সব আশক ভাই ফাছেকী জানিবে।
দুনিয়াদার হয়ে যে দীন হারাইবে।।
ফাছেকী আশক তাই কবুল পড়িবে।
জেলেখার মত যদি হইতে পারিবে।।
তৈমুর বাদশার বেটী জেলেখা যে নাম।
ইছুফে খরিদ করে করিল গোলাম।।
আশকের তরে বিবি জান মাল দিল।
আঠার বছর সে আশকে জলিল।।
তার পরে আল্লার মেহের যে হইল।
ইছুফের সাথে তার মিলাইয়া দিল।।
লাইলী মজনু তারা দুনিয়ায় ছিল।
ফাছেকী আশকে তারা পাগল হইল।।
আল্লাতালা তারে যে দয়াবান হইয়া।
ছাদেকী আশকে নাম দিলেন লিখিয়া।।
ছাদেকী আশক তাই দেখ না খুঁজিয়া।
আল্লাকে চিনিয়া ধর মাশুক জানিয়া।।
আল্লাকে স্বামী জান আওরত হইয়া।
আওরত কাছে ভাই লেহ না শিখিয়া।।
যে দিনে মরদে সাদী লইল করিয়া।
সে বিবির চিন্তা যত গেল দূর হৈয়া।।
কি জানে সে রাজা আর কি জানে খাঁজানা।
চাউলের দর কত কিছুই জানেনা।।
কাছারী দরবার সে কিছুই শুনে না।
স্বামী ভূলাবার জন্য পরেন গহনা।।
ভাল বেশ ফুল তেল বিনা সে মাখে না।
স্বামী সঙ্গে শয়নের করেন বাসনা।।
হাস্য বদনেতে থাকে, না জানে ভাবনা।
শরীর যতন করে বশন-মার্জনা।।
ছোয়ারী বিহনে বিবি রাহাতে চলেনা।
দৌড়াদৌড়ি পাবে কড়ি কিছুই লাগে না।।
সুখের উপরে সুখ ভাবিয়া দেখ না।
ভালবাসে যদি তার খছম আপনা।।
যেজন পুষেছে সাদী মাবুদের সনে।
কত সুখে আছে সেই কেবা তাহা জানে।।
সামান্য স্বামীর সুখে এত এ ভূবনে।
অমর স্বামীরে পাবে যত আশকানে।।
সেই স্বামী যে পেয়েছে কি দিব তুলনা।
মউতের কালে তারে শমনে ছোবে না।।
জঠর যাতনা তার কিছুই রবে না।
দোজক বলিয়া ডর তাহার হবে না।।
দুনিয়াতে নাহি তার সুখের ভাবনা।
কাছারী যে দরবার তাহার রবে না।।
স্বামীর ভাবেতে পরে ভাবের গহনা।
নাম-মালা গলে পরে কখন ছাড়ে না।।
যথা যার তথ্য বলে স্বামী-উপাসনা।
কূল-মান ব’লে ভয় সেহত রাখে না।।
রাত্রদিন সাধে সেই স্বামীর সাধনা।
পাইবে অমূল্য ধন পুরিবে বাসনা।।
পয়ার ছাড়িয়া করি ত্রিপদী রচনা।।
আরো আছে লেখা অস্পষ্ট তাই প্রকাশ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত :( ...