আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া
আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া।।
জীবনও ভরিয়া কাঁদিতে হইলো
কত আশা ছিল, কত আশা ছিলরে বন্ধু, কত আশা মনে ছিল,
কত আশা ছিলরে আমার, কত আশা আমার ছিল।
বন্ধুরে যৌবনও সময়ে কত সহ্য করে
পরের ঘরেতে আমার দিন যে গেল।।
আসিবে বলে আমায় আশাতে রাখিলে।।
নিরাশা করিলে হইতো ভাল
কত আশা ছিল, কত আশা ছিলরে বন্ধু, কত আশা মনে ছিল,
কত আশা ছিলরে আমার, কত আশা আমার ছিল।
বন্ধুরে, গেল দিনওমনি আসিলো রজনী
তব আগমনি কতই বাজিলো।।
কত যে বসন্ত গেল নাহি অন্ত।।
প্রাণকান্ত আমার বিদেশে রইলো
কত আশা ছিল, কত আশা ছিলরে বন্ধু, কত আশা মনে ছিল।
আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া
জনমও ভরে আমায় কাঁদিতে হইলো
কত আশা ছিলরে আমার, কত আশা আমার ছিল।।
বন্ধুরে, (কবি) জালাল উদ্দিন বলে মরণের কালে
দিও হাতে তুলে পথেরও আলো।।
আবার, মুখপানে চাহিও হাসিয়া কহিও।।
হৃদয়ে বসিও কথা ফুরাইলো
কত আশা ছিল, কত আশা ছিলরে বন্ধু, কত আশা মনে ছিল
কত আশা ছিলরে আমার, কত আশা আমার ছিল।
আগে না জানিয়া পিছে না ভাবিয়া।।
জনমও ভরিয়া আমার কাঁদিতে হইলো
কত আশা ছিল, কত আশা ছিলরে আমার, কত আশা আমার ছিল।।
কথাঃ- জালাল উদ্দিন খাঁ
শিল্পীঃ- বাউল সুনিল কর্মকার এবং শিশু শিল্পী শফিকুল ইসলাম