শাহ্ আজিজুর রহমান (১৯২৫-১৯৮৮) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ১৯২৫ সালে কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহন করেন। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে মুসলিম লীগের হয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।
বিএনপি গঠনের পূর্বে ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামের একটি দল হঠন হয়। সেই সময় তৎকালীন মুসলিম লীগের একটি অংশ নিয়ে এই দলে যোগ দান করেন। পরে জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হয়। সেই সময় তিনি বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী হয়ে উঠেন।
জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শাহ্ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন এবং তিনি বিএনপি দলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮২ সালে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসায় শাহ্ আজিজুর রহমান পদচ্যুত হন।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মতো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও ভূমিকা পালন করেন তবে তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি ১৯৭১ সালে জাতিসংঘের পাকিস্তান কূটনৈতিক দলেন নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাকে গ্রেফতার করা হলেও ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিবুর রহমান তাকে মুক্তি দেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়ায় কৈপাল গ্রামে তার স্মৃতি বিজড়িত একটি বাংলো রয়েছে। যেখানে তিনি তার সময় কাটাতেন। তবে সেখানে তার একটি খাঁট ও একটি বাক্র(box)ছাড়া আর কিছুই নাই। বাংলোটি তার ছেলেদের নিযুক্ত একজন দেখাশোনা করেন।
এছাড়াও তারাগুনিয়া বাজারে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন যেটি তার নামঅনুসারে শাহী মসজিদ নামে খ্যাত। দৌলতপুরের কয়েকটি মসজিদের মধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ এটি।
শাহ্ আজিজুর রহমান ১৯৮৮ সালে ৬২-৬৩ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করেন।