ধর্মতত্ত্ব
ধর্মতত্ত্ব (ইংরেজি ভাষায়: Theology) দর্শন কেন্দ্রিক জ্ঞানের একটি ক্ষেত্র যাতে ধর্মীয় অনুমান এবং আত্মপক্ষসমর্থনবিদ্যা (apologetics) সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচিত হয়। উৎপত্তির প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিকভাবে ধর্মতত্ত্ব খ্রিস্টান ধর্মের সাথে বেশি সম্পৃক্ত যদিও পরবর্তীকালে সকল ধর্মের (বিশেষ করে ইসলাম এবং ইহুদি ধর্ম) অধ্যয়নই এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেদিক থেকে বলা যায়, ধর্ম, ধর্মের প্রভাব এবং ধর্মীয় সত্যের প্রকৃতি নিয়ে পদ্ধতিগত ও যৌক্তিক অধ্যয়নের নামই ধর্মতত্ত্ব। জ্ঞানের এই শাখার বহুল আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বর, মানবতা, বিশ্বজগৎ, নির্বাণ বা মুক্তি এবং পরলোকতত্ত্ব।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 13660
বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হিসাবে আল্লাহ পাক আদম আলাইহিস সালাম -কে নিজ দু’হাত দ্বারা সরাসরি সৃষ্টি করেন (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে আঠালো ও পোড়ামাটির ন্যায় শুষ্ক মাটির তৈরী সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 4907
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ। যে কারণে এ অঞ্চলে মুসলিম-হিন্দু খ্রিষ্টান যে যার ধর্ম চারণ সহজভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার জন্ম ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর। দেশ ভাগের পূর্বে বর্তমান বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা কুষ্টিয়া সদর, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর মহকুমা ছিল অবিভক্ত নদীয়া জেলার অংশ। নদীয়া নবদ্বীপ ছিল হিন্দুধর্ম ও শাস্ত্রাদি চর্চার প্রধান ক্ষেত্র। ত্রয়োদশ শতকের প্রারম্ভে বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়ের ফলে বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের সুত্রপাত। নবদ্বীপে শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাব ও বৈষ্ণব ধর্মমত প্রচার এ জেলা তথা বাংলার মুসলমানদের উপর যে বেশি প্রভাব ফেলেছিল তা অনস্বীকার্য। এ ছাড়া আউল-বাউল, সহজীয়া হযরতি-গোবরাট প্রভৃতি প্রায় পনেরটি উপধর্ম মতের জন্ম-বিকাশ ও সাধন ক্ষেত্র নদীয়া-নবদ্বীপ-কুষ্টিয়া অঞ্চল।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 5375
খোশ আমদেদ মাহে রমজান কৃচ্ছ্রপূর্ণ ও আত্মসংযমের মাস। হিজরি সালের নবম মাস পবিত্র মাহে রমজান উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য আল্লাহর অপার সন্তুষ্টি ও তাঁর প্রতিশ্রুত বেহেশত লাভের সওগাত। ‘রামাদান’ শব্দটি আরবি ‘রাম্দ’ ধাতু থেকে উদ্ভূত। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দহন, প্রজ্বলন, জ্বালানো বা পুড়িয়ে ভস্ম করে ফেলা।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 3714
অশেষ রহমত ও বরকত নিয়ে মাহে রমজানের আগমন হয়েছিল। আল্লাহর আদেশে, তাঁর সাধারণ নিয়মে তা আমাদের মধ্য থেকে বিদায়ও নিয়ে গেল। তবে নানা ইবাদত-বন্দেগী, আমল ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে এ পুন্যের মাস আমাদের জন্য রেখে গেছে এক বড় শিক্ষা, মহা পয়গাম। এই শিক্ষা ও পয়গামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করে এর উপর গোটা বছর অবিচল থাকতে পারলেই এ মাসের পূর্ণ শোকরগোযারী হয় এবং আবার তা ফিরে পাবার আকাক্সক্ষা সত্য ও যথার্থ হয়।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 4291
খোশ আমদেদ মাহে রমজান। পবিত্র রমজান মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর নিকটবর্তী হওযার মাস। এ মাসে মানুষ নিজের গুনাহ হতে ক্ষমা প্রর্থনার সুযোগ পায় এবং আল্লাহর প্রকৃত বান্দা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পূর্বেকার সকল পাপ ও পঙ্কিলতা হতে মুক্ত হয়ে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার দিকে ধাবিত হয়।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 4695
ঈদে মিলাদুন্নবী (مَوْلِدُ النَبِيِّ) হল আরবি তিনটি শব্দের সম্মিলিত রূপ। ঈদ,মিলাদ ও নবী এই তিনটি শব্দ নিয়ে এটি গঠিত। আভিধানিক অর্থে ঈদ অর্থ খুশি, মিলাদ অর্থ জন্ম, নবী অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে মহানবী সঃ এর দুনিয়াতে আবির্ভাবের আনন্দকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 5351
ইসলাম (আরবি ভাষায়: الإسلام) একটি একেশ্বরবাদী এবং আব্রাহামিক ধর্ম; যা কুরআন (যা এমন এক কিতাব যা হবহু আল্লাহর বানী) এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদত্ত শিক্ষা পদ্ধতি, জীবনাদর্শ (বলা হয় সুন্নাহ এবং হাদিস নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে ) দ্বারা পরিচালিত। ইসলামের অনুসারীরা মুহাম্মদ (সাঃ)-কে শেষ নবী বলে মনে করেন।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 4547
ইসলামী শরীয়তে রোজা হলো আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়ত সহ সুবহে সাদিকের প্রারম্ভ হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকা। রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব পুর্ন একটি মাস।
- Details
- Written by: সালেক উদ্দিন শেখ
- Category: ধর্মতত্ত্ব
- Hits: 6530
ইসলামের মূল পাঁচটি রুকনের মধ্যে তৃতীয় রুকন হলো রোজা। রোজা শব্দটি ফারসি যার আরবি প্রতিশব্দ হলো সাওম। সাওমের আভিধানিক অর্থ থেমে যাওয়া, বিরত থাকা বা বিরত রাখা। ইসলামি শরিয়তে সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে কোনো কিছু পানাহার, পাপাচার ও কামাচার থেকে বিরত থাকার নামই সিয়াম বা রোজা। শুধু অনাহারে দিনযাপনের নাম সিয়াম নয়। শুধু উপবাসে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকার হলেও হতে পারে, কিন্তু নৈতিক ও আত্মিক উন্নতির মুখ দেখা যেতে পারে না।