বাংলা তথ্য ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই প্রয়াস। ইতিহাস এবং ঐতিহ্যর তথ্য দিতে চাইলে ইমেইল kushtia.contact@gmail.com অথবা ফোন করুনঃ- ০১৯৭৮ ৩৩ ৪২ ৩৩

Select your language

বাংলা ভাষায় মুসলমানদের অবদান
বাংলা ভাষায় মুসলমানদের অবদান

বাঙালি জাতির ইতিহাসের বাংলায় বসবাসকারী অন্য যেকোনো সম্প্রদায়ের চেয়ে জাতীয় জীবনে অবদানের ক্ষেত্রে মুসলমানরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষাকে বাঙালি জাতির ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাদের বীরোচিত ভূমিকার কোনো তুলনা হয় না।

বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধকরণ ও বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদায় আসীন করার পেছনে তাদের অবদান কোনোদিন ভুলবার নই। বাংলায় মুসলমানদের আগমনের পূর্বে বাংলা ভাষা অত্যন্ত অবহেলিত অবস্থায় ছিল। ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেন বলেন, মুসলমান আগমনের পূর্বে বঙ্গভাষা কোনো কৃষক রমণীর মতো দীনহীন বেশে পল্লী কুটিরে বাস করতেছিল। বাংলা ভাষা মুসলমান প্রভাবের পূর্বে অতীব অনাদর ও উপেক্ষায় বঙ্গীয় চাষার গানে কদাচিত আত্মপ্রকাশ করতেছিল। পন্ডিতেরা নস্যাদার থেকে নস্য গ্রহণ করে শিখা দোলাইয়ে সংস্কৃত শ্লোকের আবৃতি করতেছিলেন এবং ‘তৈলাধার পাত্র’ কিংবা ‘পত্রাধার তৈল’ এ লয়ে ঘোর বিচারের প্রবৃত্ত ছিলেন। সেখানে বঙ্গভাষার স্থান কোথায়? ইতরের ভাষা বলে বঙ্গভাষাকে পণ্ডিতমণ্ডলী দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতেন, হাড়ি-ডোমের স্পর্শ হতে ব্রাহ্মণরা যেমন দূরে থাকেন বঙ্গভাষা তেমনই সুধী সমাজের কাছে অপাংক্তেয় ছিল, তেমনি ঘৃণা, অনাদর ও উপেক্ষার পাত্র ছিল। কিন্তু হীরা কয়লার খনির মধ্য থেকে যেমন জহুরীর অপেক্ষা করে থাকে, বঙ্গভাষা তেমনই কোনো শুভদিন, শুভক্ষণের জন্য প্রতীক্ষা করতেছিল। মুসলমান বিজয় বাংলা ভাষার সেই শুভদিন, শুভক্ষণের সুযোগ আনয়ন করল। বঙ্গ সাহিত্যকে একরূপ মুসলমানদের সৃষ্টি বললেও অত্যুক্তি হবে না। [দ্র.শ্রী দীনেশ চন্দ্র সেন, বঙ্গভাষার ওপর মুসলমানদের প্রভাব]।

চর্যাপদ থেকে বাংলাভাষার উৎপত্তি হয় বলে মনে করা হয়। বৌদ্ধ সহজিয়াদের মধ্যেই এই চর্যাপদ সীমাবদ্ধ ছিল, তাকে বাংলাভাষা বলাও দুস্কর। বাংলা ভাষায় যখন আরবি, ফার্সি, উর্দু, তুর্কি শব্দ প্রবেশ করতে লাগল তখন থেকে এ ভাষা শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত ভাষা হিসেবে ক্রমবিকশিত হতে লাগল। মুসলিম শাসনের পরশে এসে তা প্রাণচাঞ্চল্যে উজ্জীবিত হয়ে উঠল। মধ্যযুগের সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডক্টর আহমদ শরীফ বলেন, তুর্কি শাসনামলে রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে বাংলা লেখা রাজকীয় সাহিত্যের বাহন হলো।

উল্লেখ্য যে, ৬২৮ খৃস্টাব্দে মক্কার কুরাইশদের সাথে হুদায়বিয়ার সন্ধির পর আরবের বাইরে ইসলাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে, যার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পায় ৬৩২ খৃস্টাব্দে। মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের পরবর্তী সময়ে। ওই সময়ে আরবরা ব্যবসা-বাণিজ্য ও ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চীন, ভারতবর্ষ ও আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আরব বাণিজ্য জাহাজে করে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের অধিকারী সাহাবিরা বিভিন্ন দেশে গমন করতে থাকে। অনেক সময় আরব সমুদ্রগামী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে যাত্রাবিরতি করতো। সে সময় জাহাজে অবস্থানরত সাহাবিরা চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তবে তারা ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেননি। তাদের অনেকের মাজার শরীফ চীনের ক্যান্টন শহরের ‘ম্যাসেঞ্জার মসজিদ’ প্রাঙ্গণে দেখা যায়। যা অ্যানসেসটরস গ্রেভইয়ার্ড নামে পরিচিত।

খলিফা উমর (রা.)-এর শাসনামলে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে ইসলাম ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সে সময় বাংলাদেশে আরব, ইরাক, ইরান, মিসর, তুরস্ক, ইয়েমেন, খোরাসান প্রভৃতি অঞ্চল থেকে সুফি, দরবেশ, অলি-আওলিয়াদের আগমন ঘটে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে ইসলাম প্রচার করেন। ইসলামের সুমহান আদর্শ ও সাম্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে দলে দলে লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। এসব ইসলাম প্রচারক নিজস্ব ভাষার পরিবর্তে বাংলাদেশের মানুষের ভাষা শিখে সেই ভাষাতেই ইসলামের শিক্ষা, সৌকর্য, নীতি, আদর্শ এদেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তখন থেকেই আরবি, ফারসি, তুর্কি শব্দ বাংলা ভাষা দেহের সাথে মিশে যেতে থাকে এবং এসব শব্দ এদেশের মানুষের মুখের ভাষায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। তাই একথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলা ভাষা এরই ফলে প্রকৃত জীবন লাভ করে। ১২০৪ খৃস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গ বিজয়ের পর এদেশে মুসলিম শাসনের শুভ সূচনা হয়। মুসলিম শাসনের পূর্বে এখানে যেসব রাজার শাসন ছিল তারা বাংলা ভাষাকে অবজ্ঞা করতো এবং এ ভাষাকে তারা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।

বলা হয়েছিল, অষ্টাদশ পুরাণাদি রামস্য চরিতানিচ/ভাষায়াং মানব: শ্রুতৃা রৌরবং নরকং ব্রাজং’ অর্থাৎ অষ্টাদশ পুরাণ, রামচরিত ইত্যাদি মানব ভাষায় [বাংলা] চর্চা করলে রৌরব নরকে যেতে হবে। ইখতিয়ার উদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর নেতৃত্বে বাংলায় মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চার এক নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়। সেই সাথে বাংলার মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সুখ লাভে সমর্থ হয়। বাংলার মুসলিম শাসকগণ এদেশের মানুষদেরকে খাদেম বা সেবক মনে করতেন এবং বাংলার মানুষের উন্নতিতে আত্মনিয়োগ করেন। এসব শাসক বাংলার মানুষের কাছে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। বাংলার মানুষের কাছে শাহে বাঙ্গালা, সুলতানে বাঙ্গালা হিসেবে তারা পরিচিত ছিলেন এবং এদেশের মানুষের জাতীয় পরিচয় ছিল বাঙ্গালিয়ান। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সুলতানি আমলেই বৃহত্তর স্বাধীন বাঙ্গালার প্রথম গোড়াপত্তন হয়। বিশ্বের দরবারে আজ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যে খ্যাতি তার নেপথ্য নায়ক কিন্তু সেই মধ্যযুগের সুলতানি শাসকরা।

সুলতানি আমলই হচ্ছে বাংলা ভাষা সাহিত্যের সোনালি যুগ। কেবল ভাষা সাহিত্যের ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শিক্ষা-দীক্ষা, শান্তি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাঙ্গালা এক অভাবনীয় উন্নতি লাভ করে। সেকালের যেসব মুসলিম কবি সাহিত্যিক বাংলা ভাষা-সাহিত্যের উন্নতিতে বিরাট অবদান রেখে গেছেন তন্মধ্যে শাহ মুহম্মদ সগীর, সৈয়দ হামজা, শেখ চান্দা, শেখ ফয়জুল্লাহ, দোভাষীর পুঁথির উদ্ভাবক শাহ গরীবুল্লাহর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয়ের পর ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশের মুসলমানদের দমনের উদ্দেশ্যে নানা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ইংরেজরা ১৮০০ খৃস্টাব্দে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘ সাড়ে ৫০০ বছর ধরে গড়ে ওঠা মুসলিম লালিত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাঞ্জলতার ওপর আঘাত হানে। তারা বাংলা ভাষার সাথে কটমটে ও দুর্বোধ্য সংস্কৃত শব্দ যুক্ত করে বাংলা ভাষাকে কঠিন ভাষায় রূপান্তরিত করে। এ প্রসঙ্গে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘পলাশীর প্রান্তরে যদি মুসলমানদের পরাজয় না ঘটত, তবে হয়তো প্রচলিত পুঁথির ভাষায় বাংলার হিন্দু-মুসলমানদের পুস্তকের ভাষার মর্যাদা পেতো। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বাংলার মুসলিমগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত থাকায় দুর্বোধ্য সংস্কৃত শব্দ মিশ্রিত বাংলা ভাষা চর্চায় নিজেদের তারা তেমনভাবে মেলে ধরতে পারেনি।

১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লবের পর তারা নতুন করে আবার সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে আসে। ওই শতাব্দীর আশির দশকে ফুরফুরা শরীফের পীর সাহেব কেবলা মুজাদ্দিদে যামানা মওলানা আবু বকর সিদ্দিকী [রহ.] বাংলায় সাহিত্য চর্চায় এগিয়ে আসতে এদেশের মুসলিম কবি, সাহিত্যিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান এবং নিজেও এব্যাপারে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা দান করেন। সে সময় থেকেই বাংলার মুসলিম কবি, সাহিত্যিকরা নতুন উদ্যমে সাহিত্য চর্চায় নিজেদের নিয়োজিত করেন। একই ধারাবাহিকতায় অসাধারণ পা-িত্যের অধিকারী যশোরের খড়কীর পীর মাওলানা শাহ মোহাম্মদ আবদুল করিম রহমতুল্লাহ আলাইহি বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম প্রামাণ্য, বিস্তারিত ও মৌলিক তাসাউফ গ্রন্থ ‘এরশাদে খালেকিয়া বা খোদাপ্রাপ্তি তত্ত্ব’ গ্রন্থটি রচনা করেন। ১৮৯৯ খৃস্টাব্দে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশক থেকে এবং বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই মুসলিম কবি সাহিত্যিক লেখকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় এবং তারা নতুন উদ্যমে বাংলার ভাষা-সাহিত্য ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিজেদের নিয়োজিত করেন। এসব কবি, সাহিত্যিকদের মধ্যে কায়কোবাদ, মীর মোশাররফ হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, কবি গোলাম মোস্তফা, কবি জসিম উদ্দীন, কবি ফররুখ আহমদ, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মওলানা আকরাম খাঁ, মুন্সী রিয়াজউদ্দীন আহমদ, রিয়াজউদ্দীন মাশহাদী, মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ, মাওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, শেখ আবদুর রহীম, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সৈয়দ মুজতবা আলী, ডা. লুৎফর রহমান, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, এয়াকুব আলী চৌধুরী, কাজী আবদুল ওদুদ, কাজী ইমদাদুল হক, নজিবর রহমান প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে আবির্ভূত হয়ে বাংলা সাহিত্যে রীতিমত বিপ্লব ঘটান। সে সময় চলছিল বাংলা সাহিত্যের রবীন্দ্র যুগ। সেই রবীন্দ্র সুদৃঢ় বলয় ভেদ করে কবি নজরুল আরেক নতুন বলয়ের জন্ম দেন।

মুসলিম আগমনের পূর্বে যে বাংলা ভাষা ছিল নিদারুণভাবে ঘৃণিত, যে বাংলা ভাষা চর্চা করলে রৌরব নামক নরকে যাওয়ার ভয় দেখানো হতো, সেই বাংলা ভাষা মুসলিম সুলতানদের একান্ত তত্ত্বাবধানে রাজকীয় সম্মান লাভ করেছিল, তাকে আবার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত প্রমুখের অকালে প্রাণ দিতে হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালির জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূত্রপাত হয় এবং ব্যাপক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে অবশেষে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মুসলিম আগমনের পূর্বে তৎকালীন হিন্দু পণ্ডিতেরা বাংলাভাষাকে ইতরের ভাষা বলে উপহাস করতো। বাংলায় মুসলিম আগমনের পর বাংলাভাষা নবজীবন লাভ করে।

মুসলিম শাসক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও মনীষীদের প্রচেষ্টার ফলে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধি অর্জন করে এবং বিশ্বের দরবারে অন্যতম সেরা ভাষাগুলোর মধ্যে নিজেকে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়। শুধু কী তাই? বাংলা ভাষার মর্যাদার কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশের মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর এসবই বাংলা ভাষায় মুসলমানদের অবদানের ফসল।

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ- এম এস শহিদ দৈনিক সংগ্রাম

Add comment

সংস্কৃতি এর নতুন প্রবন্ধ

সর্বশেষ পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

তথ্য সম্পর্কে খবর

আমাদের নিউজলেটার সাবস্ক্রাইব করুন এবং আপডেট থাকুন