ভ্রমণ
ভ্রমণ (Travel) হচ্ছে লোকজনের তুলনামুলকভাবে দূরতম ভৌগোলিক স্থানের মধ্যে গতিবিধি বা চলন, এবং মানুষজন সাধারণত পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, গাড়িতে, ট্রেনে, নৌকায় কিংবা প্লেনে ভ্রমণে যায়। ভ্রমণকালে সাথে ব্যাগ বা লাগেজ থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে এবং ভ্রমণটা একমুখী কিংবা রাউন্ড ট্রীপও হতে পারে। ধারাবাহিক গতিবিধির মাঝে একটুখানি অবকাশ যাপনও ভ্রমণের অংশ হয়ে থাকে।ভ্রমন ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, ধর্মিয় ইত্যাদি স্থানে হয়ে থাকে। ছাত্রছাত্রিদের জন্যে প্রথম দুটি লিখিত জায়গা উচ্চ শিক্ষায় নিশ্চয় দরকার। মনের শান্তি, সূদ্ধতা, প্রেরণা প্রভৃতির জন্যে ধর্মিয় স্থান।
বাংলাদেশ রূপবৈচিত্রে অনন্য একটি দেশ। এ দেশে রয়েছে সমুদ্র, পাহাড়, নদী, নিদর্শন এবং স্থাপনাসহ আকর্ষণীয় অনেক স্থান। এসব স্থান পর্যটকদের মুহূর্তেই আকৃষ্ট করে। ভ্রমণে যাওয়ার আগে এসব স্থান সম্পর্কে একটু ধারণা থাকা ভালো। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণের আগে উক্ত স্থান সম্পর্কে অবশ্যয় ভালো ধারণা নিয়ে যাবেন।
-
চির কুমার দয়াল বাবা মস্তান (রঃ)
হয়রত কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন (রঃ) প্রকাশ্যে হয়রত জমির শাহ্ মস্তান (রঃ) (আগমনঃ ৯ - ১১ - ১৮৩৩ইং ওফাতঃ ১৮-০৯-১৯৩২ইং) ওলী কুলের শিরোমণি, চার তরীকার কান্ডারী, নকশবন্দি চিরকুমার মজলুম মোজাদ্দেদীয়া দয়াল বাবা মস্তান (রঃ) নামে পরিচিত।
-
কেল্লা শাহ্ ওরফে হযরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রাঃ)
১৩০৩ সালে হযরত শাহজালাল (রাঃ) ইসলাম প্রচারের জন্য ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে এসেছিলেন সিলেটে। এই ৩৬০ জন শিষ্যের মাঝে অন্যতম ছিলেন সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রাঃ)। তিনি হযরত শাহজালাল (রাঃ) খুব কাছের লোক ছিলেন। আখাউড়ার খড়মপুরে অবস্থিত হযরত সৈয়দ আহম্মদ গেছুদারাজ (রাঃ) এর দরগাহ যা কেল্লা শহীদের দরগাহ বা কেল্লা শাহ্ নামে সমগ্র দেশে পরিচিত।
-
হযরত শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (রাঃ)
শাহ্ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী (জন্ম: অজ্ঞাত - মৃত্যু ১০৫৩ খ্রীঃ) একজন সুফি দরবেশ। নেত্রকোণা সদর উপজেলার মদনপুর নামক স্থানে শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমীর সমাধি রয়েছে। ১০৫৩ খ্রীস্টাব্দের কিছু পূর্বে পশ্চিম এশিয়ার তুরস্কের সেলজুক রাজ্য থেকে সুফী সাধক শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমী(রহঃ)-র আগমন বলে কথিত আছে।
-
হযরত শাহ সুলতান বলখী মাহিসওয়ার (রঃ)
হযরত শাহ সুলতান বলখী মাহিসওয়ার (রঃ) ছিলেন চৌদ্দ শতকের দরবেশ। এই মহাপুরুষ ইসলাম প্রচার করার উদ্দেশ্যে সুদূর বল্লখদেশ থেকে এই বগুড়া মহাস্থান গড়ে আগমন করেন। এখানে এসে হিন্দু রাজা পরশুরামকে পরাজিত করেন এবং ইসলাম ধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত করে এখানেই শায়িত আছেন।
-
হালতির বিল
হালতির বিল বা হালতি বিল নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে নলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত বিল। এটি অত্র অঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
-
চলন বিল
চলন বিল বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলনবিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিলটিতে পলিমাটি জমে, এর আকার সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।
-
চিত্রশিল্পী এস, এম সুলতান
শেখ মোহাম্মদ সুলতান (১০ আগস্ট ১৯২৩ - ১০ অক্টোবর ১৯৯৪) যিনি এস এম সুলতান নামে সমধিক পরিচিত, ছিলেন একজন বাংলাদেশী প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।
-
জমিদার বাড়ির বাধা ঘাট - নড়াইল
রূপগঞ্জের চিত্রা নদীর পাড়ে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো জমিদারদের বাঁধা ঘাটটি। রোমান স্থাপত্যের আদলে নির্মিত ঘাটটি বেশ দৃষ্টিনন্দন। ঘাটের ওপরের অংশে আছে ২০টি কারুকার্যময় থাম, প্রতিটি ২০ ফুটের মতো উঁচু। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চাকরি করতেন খুলনা কালেক্টরেটে। সেখান থেকে তিনি নৌকায় আসতেন নড়াইল মহকুমা শহরে। পথেই ছিল জমিদারবাড়ির বাঁধা ঘাটটি।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত (২৫ জানুয়ারি ১৮২৪ – ২৯ জুন ১৮৭৩) ঊনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ও নাট্যকার এবং প্রহসন রচকার। তাকে বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব গণ্য করা হয়। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি হিসেবেও তিনি পরিচিত।
-
কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন
সুচিত্রা সেন (৬ এপ্রিল, ১৯৩১ - ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। তার জন্মগত নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
-
পাবনা মানসিক হাসপাতাল
পাবনা মানসিক হাসপাতাল মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী, অসুস্থ অথবা আহতকে ঔষধ ও শল্যচিকিৎসা এবং যথাযথ সেবাশুশ্রূষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশ এর একমাত্র মানসিক হাসপাতাল। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ এ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রচুর দর্শণার্থী আসেন।
-
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিতি প্রায় ১শ' বছরের পুরোনো ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী রেল জংশন স্টেশন ও ইয়ার্ড'। এটি দেশের প্রাচীনতম এবং অন্যতম বৃহৎ রেল স্টেশন এবং জংশন। ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী পৌরসভা সদরে অবস্থিত।
-
গজনার বিল
পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ও দর্শনীয় স্থান হলো বিল গাজনা। ১৬ টি ছোট-বড় বিলের সমন্বয়ে তৈরি এই গাজনার বিল সুজানগর উপজেলার প্রায় মাঝখানে অবস্থিত।
-
হজরত মালেক-উল-গাউস (রঃ) মাজার শরিফ
কোন এক সময় বর্ণিত দর্শনীয় স্থানে সূফি দরবেশ হজরত মালেক-উল-গাউস (রঃ) তাঁর আস্তানা গড়ে তুলে ইসলাম প্রচার শুরু করেন।
-
ঢোল সমুদ্র দীঘি
ঝিনাইদহে রাজা মুকুট রায় নামে এক প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন। রাজা মুকুট রায়ের অনেক সৈন্য সামন্ত ছিল। কথিত আছে তিনি ১৬ হল্কা হাতি, ২০ হল্কা অশ্ব ও ২,২০০ কোড়দার না নিয়ে বের হতেন না। খাঁন জাহান আলী (রাঃ) এর মত তিনিও জলাশয় প্রতিষ্ঠায় যত্নবান ছিলেন। রাস্তা নির্মাণ ও জলাশয় খনন করতে করতে তিনি অগ্রসর হতেন।
-
পাগলা কানাই
পাগলা কানাই বা কানাই শেখ (Pagla Kanai) (জন্ম: ৮ মার্চ ১৮০৯-মৃত্যু: ১২ জুলাই ১৮৮৯) আধ্যাত্নিক চিন্তা চেতনার সাধক-অসংখ্য দেহতত্ত্ব, জারি, বাউল, মারফতি, ধূয়া, মুর্শিদি গানের স্রষ্টা।
-
কালীপদ বসু (কে. পি. বসু)
কালিপদ বসু, যিনি কে. পি. বসু নামেও পরিচিত (১৮৬৫ - ১৯১৪) একজন প্রখ্যাত বাঙালি গণিতশাস্ত্রবিদ ও বিজ্ঞানশিক্ষক। তিনি কে. পি. বসু পাবলিশিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।
-
রাখাল শাহ্ এর মাজার
রাখাল শাহ্ হচ্ছেন একজন পীর বা আওলিয়া তিনি এই এলাকাই ইসলাম প্রচার করার জন্য এসেছিলেন এবং এখানেই মৃত্যু বরন করেন যার কারনে এই মাজারের নাম রাখাল শাহ্ এর মাজার নামকরন করে এখানে তার ভক্তগন সব সময় থাকে এবং জিকির আজগার ও গান বাজনা করে।
-
বজরা শাহী মসজিদ
বজরা শাহী মসজিদ ১৮শ সতাব্দীতে নির্মিত নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি মাইজদীর চারপাশের "সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থাপনা" গুলির একটি। ২৯ নভেম্বর ১৯৯৮ থেকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ বজরা শাহী মসজিদের ঐতিহ্য রক্ষা এবং দুর্লভ নিদর্শন সংরক্ষণের জন্য কাজ করছে।
-
নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে দ্বীপটি জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ (চিংড়ীর স্হানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চরও বলা হত।
Page 1 of 3