তিন দশক ধরে সুরের সাধনা করে লালন সঙ্গীত বা ফোক সঙ্গীত এর জগতে স্থায়ী আসন আসন নিয়েছেন যে মরমী শিল্পী, চন্দনা মজুমদার- কুষ্টিয়া কুমারখালির কুন্ডুপাড়ার প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিবারে গর্বিত সদস্য।
বাবা নির্মল চন্দ্র মজুমদার একজন অত্যন্ত গুণী কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক। মা স্বর্গীয় অনিমা মজুমদারও ছিলেন সংগীত প্রিয় মানুষ।
চন্দনার গানের প্রথম হাতে খড়ি বাবার কাছেই। মূলত নজরুল সংগীত দিয়েই তার গান গাওয়ার শুরু। চন্দনা মজুমদার এর বাবা লালন ও লোকসংগীত শিল্পী। বাবার ইচ্ছানুযায়ী চন্দনা নজরুল সংগীত দিয়েই তার শিল্পী জীবন শুরু করেন। নজরুল ও ক্লাসিক্যাল গানের তালিম নেন- ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খানের কাছে। নজরুল পরিষদে ভর্তি হয়ে নজরুল সংগীতের উপর পাঁচ বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন।
চন্দনা মজুমদার এক সময় লালন গীতির দিকে ঝুঁকে পরেন। মরমী গানের রানী- ফরিদা পারভীনের লালন গানের সুর তাকে লালনগীতির প্রতি আকৃষ্ট করে। মোকছেদ আলী সাঁইয়ের কাছে লালনের গানে তিন বছর তালিম নেন। এরপর মরহুম খোদা বশখ সাঁই এর কাছে লালন গানে দীর্ঘ দিন সময় নিয়ে তালিম নেন। ব্যক্তি জীবনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কিরন চন্দ্র রায়ের সাথে ১৯৮৯ ইং সালে। শিল্পী দম্পত্তির একমাত্র সন্তান শতাব্দী রায়। পড়াশুনার পাশাপাশি শতাব্দী রায় সঙ্গীত চর্চাও করে।
দীর্ঘ তিন দশক থেকে নিরবিচ্ছিন্ন সুরের সাধক চন্দনা মজুমদার বর্তমানে ছায়ানটের লোক সংগীত বিভাগে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।