শিশু অভিনয় শিল্পী হিসেবে চৌড়হাস মুকুল সংঘ স্কুল থিয়েটার থেকে যাত্রা শুরু আমিরুল ইসলামের। এরপর রাসেল স্মৃতি সংসদ, নুপুর, বোধন, পরিমল থিয়েটারসহ কুষ্টিয়ার সবগুলো থিয়েটারেই কমবেশি অবদান আছে তাঁর। সেই সাথে সমান গতিতে চলেছে লালনের মাজার কেন্দ্রিক বাউল গানের চর্চা।
২০০১ সালে সেন্টার ফর এশিয়ান থিয়েটারে কাজের সুযোগ পেয়ে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। কাজ করার সুযোগ পান শহীদুল আলম সাচ্চুর ‘থিয়েটার সেন্টারে’। এর কিছুদিন পরেই প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন রিসোর্স বাংলাদেশ থিয়েটারে।
২০০৭ সালে প্রখ্যাত নাট্যকার মাসুম রেজা ও শামসুল আলম বকুল প্রতিষ্ঠিত দেশনাটকে অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার রচিত টেলিভিশন নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম (ধারাবাহিক) লালন কয় যেতে পারি, নীলচন্দ্র, স্বচ্ছ স্বরবর, অবোধ, আলাল দুলাল, বিষাক্ত বিষাদ, ময়ূর চিত্ত, অবগুণ্ঠিত চাঁদ। একক ও টেলিফিল্ম: ভাটির কলমী, বায়ুবীয় ভালবাসা, কালোপদ্ম, বিষচোখ, কালোপদ্ম, নিন্দার কাটা, রংমাখামুখ ও ভুজঙ্গনা। মঞ্চ নাটক রচনা: বেড়া, ত্রিবেণী, কমলাপুরের ককিলারা, পদ্ম গোখরা ও পরমানুষ। আমিরুল ইসলাম অভিনীত টিভি নাটকগুলো হলো- আরশিনগর, কোন সীমানায় মুক্তি, তেভাগা, তের কাহন, ইট কাঠের খাঁচা, নীল নির্জনে, চৌদ্দ ফ্রেম, বারোটা বেজে পাঁচ, একটি সাধারণ প্রেমের গল্প, ঘরে ফেরা ও নূরজাহান অন্যতম।
তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হলো- হেলেনের চোখে বাংলাদেশ, প্রিন্স অব বেঙ্গল, লালন, কান্না, বাপজানের বায়োস্কোপ ও সোনাদ্বীপ। অভিনীত মঞ্চ নাটক: বিরসাকাব্য, জনমে জন্মান্তর, ভক্ত, বাঘাল, প্রাকৃত পুরাঙ্গণা, দর্পণে শরত্ শশী, সোনাবিবির শাড়ি, একটি পয়সা, এবার ধরা দাও, উনিশ শ একাত্তর ও বেড়া অন্যতম। নাট্য নির্দেশনাতে দেখিয়েছেন সমান পারদর্শিতা। তোতা কাহিনী, ডোমরু, ত্রিবেনী, কমলাপুরের ককিলারা, পদ্ম গোখরা পরমানুষ, পাল্লায় ফের নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন বেশ শক্ত হাতে।
কুষ্টিয়াশহর.কম তাঁর সফলতা কামনা করছে।
তথ্য সুত্রঃ- আন্দোলনের বাজার