চন্দনা মজুমদার
চন্দনা মজুমদার মূলত লালন-সংগীত এর শিল্পী। কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড়ে তাঁর জন্ম। বাবা নির্মলচন্দ্র মজুমদার লালনগীতির শিল্পী হলেও তিনি চেয়েছিলেন নজরুলগীতি করুক চন্দনা।
কিন্তু কুষ্টিয়া, পারিবারিক পরিবেশ আর ফরিদা পারভীনের গান তাঁকে নিয়ে আসে লালনের সুরে। লালনের বাইরে রাধারমণ, হাসনরাজা, শাহ্ আবদুল করিম আরও বিভিন্ন গীতিকবির গান করেন তিনি। এছাড়া কিছু চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন চন্দনা মজুমদার।
এর মাঝে ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের একটি গান অনেক পরিচিতি পায় এবং তাঁকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাঁর সহধর্মী কিরণ চন্দ্র রায়ও বাউল গানের শিল্পী। তাই গানের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো।
-
মন চোরা রে কোথা পাই
কোথা যাই মন আজ কীসে বুঝাই
মন চোরা রে কোথা পাই।
কোথা যাই মন আজ কীসে বুঝাই।। -
এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে কেবা না মজেছে সখি
কারও কথা কেউ বলে না আমি একা হই কলঙ্কী
এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে
কেবা না মজেছে সখি!
কারও কথা কেউ বলে না
আমি একা হই কলঙ্কী।। -
চন্দনা মজুমদার
তিন দশক ধরে সুরের সাধনা করে লালন সঙ্গীত বা ফোক সঙ্গীত এর জগতে স্থায়ী আসন আসন নিয়েছেন যে মরমী শিল্পী, চন্দনা মজুমদার- কুষ্টিয়া কুমারখালির কুন্ডুপাড়ার প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিবারে গর্বিত সদস্য।
-
কুলমান সঁপিলাম তোমারে বন্ধুয়ারে
কুলমান সঁপিলাম তোমারে বন্ধুয়ারে
কুলমান সঁপিলাম তোমারে বন্ধুয়ারে।।
কুল দাও কি ডুবায়ে মারো।।
জ্বালায় তোমার অন্তরে বন্ধুয়ারে।
কুলমান সঁপিলাম তোমারে বন্ধুয়ারে।। -
কোন মিস্ত্রি নাউ বানাইলো
কোন মেস্তরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়
কোন মেস্তরি নাও বানাইলো কেমন দেখা যায়
ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নায়।। -
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি -
যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই!
সে গুণ আমার নাই গো সে গুণ আমার নাই
যে গুণে বন্ধুরে পাবো
সে গুণ আমার নাই গো
সে গুণ আমার নাই -
গান গাই আমার মনরে বুঝাই
গান গাই আমার মনরে বুঝাই
গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা -
বসন্ত বাতাসে সই গো
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে
বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে -
আর আমার দরদী নাই রে!
আমি তোমায় চাই রে বন্ধু
দরদিয়া রে, বন্ধু,
দরদিয়া রে.. -
বন্ধুরে কই পাবো সখি গো
ভাবন্ধুরে কই পাবো সখি গো
ভাবন্ধুরে কই পাবো সখি গো
সখি আমারে বলো না?
আমার বন্ধু বিনে পাগল মনে বুঝাইলে বুঝেনা -
ভাবিলে কি হবে গো, যা হইবার তা হইয়া গেছে
জাতি কুল যৌবন দিয়াছি প্রাণ যাবে তার কাছে গো
ভাবিলে কি হবে গো
যা হইবার তা হইয়া গেছে -
আমি কুল হারা কলঙ্কিনী
আমি কুল হারা কলঙ্কিনী
আমি কুল হারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছোইয়ো না গো সজনী।